আর্কাইভ  বৃহস্পতিবার ● ১৮ এপ্রিল ২০২৪ ● ৫ বৈশাখ ১৪৩১
আর্কাইভ   বৃহস্পতিবার ● ১৮ এপ্রিল ২০২৪
 width=
 
 width=
 
শিরোনাম: খরার ঝুঁকিতে রংপুর অঞ্চল       সার্ভার ডাউন: রসিকে জন্ম নিবন্ধন নিয়ে ভোগান্তি চরমে       রংপুরে ফটোসাংবাদিক ফিরোজ চৌধুরীর একক আলোকচিত্র প্রদর্শনী       ডোমার ও ডিমলা উপজেলা নির্বাচনে ৩৫ জনের প্রার্থীতা বৈধ ॥ চেয়ারম্যান পদে ১২ জনের মধ্যে আওয়ামীলীগের ৭ জন প্রার্থী       নীলফামারীতে ঐতিহাসিক মুজিব নগর দিবস পালন      

 width=
 

লবণ

রবিবার, ১৮ মে ২০১৪, রাত ১০:৩১

-আদিত্য অনীক

শুধু মেয়েটার চোখে পড়ার দুঃসহ চেষ্টা ছাড়া ছেলেটা পুরাদস্তুর সাধারণ

মেয়েটা রূপে ও লাবন্যে ফ্যাশনে ও বসনে আগাগোড়া বিশেষণ।

এক ঝাক প্রজাপতি উচ্ছল তরুনের ভিড়ে ছেলেটা একেবারে অপাংতেয়।

তবু অতি বড় সাহস করে একদিন বলেই ফেলল, আমার সাথে চা খাবে?

ছেলেটার দুঃসাহসী অফারে অবাক মেয়েটা কী জানি মনে করে বলল, চল।

মেয়েটার মুখেমুখি বসা ছেলেটার বুক ধড়ফড়, আড়ষ্ট জিহ্বা,

চায়ে চুমুক দিয়ে বলল, ওয়েটার আমাকে লবন দাও।

মেয়েটা অবাক হয়ে বলল, তুমি চায়ে লবন খাবে নাকি?

ছেলেটা বলল, হা, আমার জন্ম নোনা জলের সাগর পারে,

নোনা চায়ে চুমুক দিলে আমার চোখে ভেসে উঠে আমার গ্রাম ,

নোনা জলে ভেসে যাওয়া আমার বাব-মায়ের মুখ।

মেয়েটা অবাক হয়ে শুনলো ছেলেটার কথা, তারপর বলল,

আমি কোনদিন সাগর দেখি নি,আমার বাড়ি পাহাড়ে,

ওখানে গা ছুয়ে উড়ে যায় কোমল মেঘ পাখির মতো।

সাগর আর পাহাড়ের গল্প ক্রমেই নিবিড় হলো দিনে দিনে।

তারপর বিয়ে সংসার এবং শেষে বুড়ো ও বুড়ি।

বুড়ো মরার আগে বুড়ির হাতে একটা চিঠি দিয়ে বলল, মরার পর খুলবে।

বুড়ো মারা যাবার পর বুড়ি চিঠিটা খুলল, তাতে লেখা আছে,

লবন দিয়ে চা আমি কখনোই খেতাম না , তোমার সামনে থতমত খেয়ে

চিনি বলতে লবন বলে ফেলেছিলাম। আর বোকামী ঢাকতে অমন গল্প

ফেঁদেছিলাম। তাই চল্লিশ বছর তোমার হাতে লবণ চা খেয়ে গেলাম।

তোমার হাতের লবণ চা খুব মিষ্টি।

বুড়ি প্রতিবেশীর বাড়িতে বেড়াতে গেলো একদিন। তাকে চা দেয়া হলো।

বুড়ি বলল, একটু লবণ দিন

অবাক হয়ে প্রতিবেশী বলল, আপনি লবণ দিয়ে চা খাবেন নাকি?

বুড়ি বলল, হ্যা, লবণ চা খুব মিষ্টি।

মন্তব্য করুন


 

Link copied