আর্কাইভ  বৃহস্পতিবার ● ২৮ মার্চ ২০২৪ ● ১৪ চৈত্র ১৪৩০
আর্কাইভ   বৃহস্পতিবার ● ২৮ মার্চ ২০২৪
 width=
 

 

রানিকে নিয়ে কুড়িগ্রামে পৌঁছেছেন ভুটানের রাজা

রানিকে নিয়ে কুড়িগ্রামে পৌঁছেছেন ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামে সমৃদ্ধির হাতছানি

কুড়িগ্রামে সমৃদ্ধির হাতছানি

আন্তর্জাতিক যোগাযোগের গেটওয়ে হবে কুড়িগ্রাম

আন্তর্জাতিক যোগাযোগের গেটওয়ে হবে কুড়িগ্রাম

কুড়িগ্রামে ভুটানিজ বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল আলোর মুখ দেখতে বসেছে

কুড়িগ্রামে ভুটানিজ বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল আলোর মুখ দেখতে বসেছে

 width=
 
শিরোনাম: রানিকে নিয়ে কুড়িগ্রামে পৌঁছেছেন ভুটানের রাজা       ২৯ রমজান কি অফিস খোলা?       আজ ঐতিহাসিক রংপুর ক্যান্টনমেন্ট ঘেরাও দিবস       লালমনিরহাটে বিএসএফের গুলিতে নিহত বাংলাদেশি যুবকের মরদেহ হস্তান্তর       কুড়িগ্রামে সমৃদ্ধির হাতছানি      

 width=
 

১৭ বছরেও শেষ হয়নি সেতু নির্মাণের কাজ॥ জনগণের ভোগান্তি

মঙ্গলবার, ২০ মে ২০১৪, দুপুর ০৩:৪১

উল্লেখ্য, এ পর্যন্ত প্রকল্পের মোট শতকরা ৪০ ভাগ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। বাকি কাজ কবে নাগাদ শেষ হবে কেউ তা জানে না। এদিকে তীব্র নদী ভাঙনের মুখে কাটাখালির গতি পথ পরিবর্তিত হওয়ায় প্রকল্পের নক্সা পরিবর্তনের কারণে সেতুটির দৈর্ঘ্য ১৪৮.৬৮ মিটার থেকে বেড়ে এখন ২৫৩.৫৬ মিটার এসে দাঁড়িয়েছে। সেইসাথে নির্মাণ ব্যয় ৩ কোটি ৬৬ লাখ থেকে ৫ গুণ বেড়ে এখন দাঁড়িয়েছে মোট ১৮ কোটি ২১ লাখ টাকা। বরাদ্দকৃত অর্থ ছাড়ের দীর্ঘ সুত্রিতা এবং ঠিকাদারের গাফলতির কারণে সেতুটির নির্মাণে এ জটিলতা দেখা দেয়। তাই এ সেতু নির্মাণের ভবিষ্যৎ নিয়ে স্থানীয় জনমনে এখন নানা প্রশ্ন। সেইসাথে তাদের মধ্যে সৃষ্টি হয়েছে চরম অসন্তোষ।

সড়ক ও জনপথ বিভাগ সুত্রে জানা গেছে, ১৯৯৭ সালের ফেব্র“য়ারি মাসে বড়দহ ঘাটে ওয়েল ফাউন্ডেশনের উপর ৪ স্প্যান বিশিষ্ট প্রি-স্ট্রেসড কংক্রিট গার্ডারের উপর সেতু নির্মাণের কাজ শুরু করা হয়। এজন্য অর্থ বরাদ্দ অনুমোদন দেয়া হয় ৩ কোটি ৬৬ লাখ ৯ হাজার টাকা। কিন্তু নির্মাণ কাজ শুরুর এক বছর যেতে না যেতেই কাটাখালির দক্ষিণ পাড়ে কাজলা গ্রাম এলাকায় নদীর তীব্র ভাঙন দেখা দেয়। এতে নদীর গতিপথ অনেকটা পরিবর্তিত হয়ে যায়। এ প্রেক্ষাপটে সেতুর নক্সা পরিবর্তন করে ওই এলাকায় আরেকটি স্প্যান বাড়ানোর প্রয়োজন দেখা দেয়। কিন্তু ওই প্রস্তাবনা প্রধান কার্যালয়ের অনুমোদন পেতে না পেতেই কাজলা গ্রামের দিকের ভাঙন বন্ধ হয়ে উত্তর পাড়ে বড়দহ ঘাটের দিকে নতুন করে তা শুরু হয়। ওই পাশে ভাঙনের তীব্রতার কারণে মূল নক্সা থেকে নদী পাড়ের দূরত্ব বহুলাংশে বেড়ে যায়।

কিন্তু ইতিমধ্যে ঠিকাদার মূল নক্সা অনুযায়ি সেতুটির ৩টি স্প্যানসহ উপরের ডেক ¯¬াব ও রেলিং নির্মাণের কাজ শেষ করে ফেলে। এ অবস্থায় সেতুর ওই নির্মিত অংশটি নদীর মাঝখানে দাঁড়িয়ে থাকে। ফলে ওই অংশটি থেকে উভয় পাড়ের ব্যবধান বেড়ে যাওয়ায় নতুন করে আবার নক্সা এবং প্রস্তাবনা প্রণয়নের প্রয়োজন হয়। এ অবস্থায় সড়ক ও জনপদ বিভাগের স্থানীয় কর্তৃপক্ষ নদীর গতির পথ পরিবর্তন এবং সেতুর বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য দিয়ে এর অসমাপ্ত কাজ সম্পন্ন করতে নতুন প্রস্তাবনা পাঠায় প্রধান কার্যালয়ে।

এরপর দীর্ঘ সময় পেরিয়ে গেলেও ওই ঠিকাদার আর কাজে হাত দেয়নি। ফলে তার কার্যাদেশ বাতিল করা হয়। ২০০৮ সালের শেষেরদিকে নতুন এস্টিমেটের মাধ্যমে টেন্ডার আহবান করে সেতুর অসমাপ্ত কাজ সমাপ্ত করণে নতুন ঠিকাদার নিয়োগ করা হয়। এ পর্যায়ে বর্ধিত স্প্যানসহ মোট দুটি স্প্যান, নদীর ডান ও বাম তীর সিসি ব¬ক দ্বারা সংরক্ষণ এবং উভয় পাড়ে এ্যাপ্রোপচ সড়ক নির্মাণের কর্মসূচী নেয়া হয়। এজন্য অর্থ অনুমোদন দেয়া হয় ১২ কোটি ৩৩ লাখ ২৮ হাজার টাকা। ২০০৯ সালের জানুয়ারীতে কাজ শুরু করে ২০১১ সালের জুনের মধ্যে প্রকল্পের অবশিষ্ট কাজ সম্পন্ন করার দায়িত্ব দেয়া হয় ওই ঠিকাদারকে। কিন্তু বার বার তাগিদ দিয়েও ঢাকার ওই ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানটিকে দিয়ে কাজ করানো সম্ভব হয়নি।

ইতিমধ্যে ভাঙনজনিত কারণে নদীর গতিপথ নতুন করে আবারও পরিবর্তিত হয়। ফলে পূর্বের নির্ধারিত ৫টি স্প্যান ছাড়াও আরও দুটি স্প্যান উত্তর পাশে অর্থাৎ বড়দহ ঘাটের দিকে নির্মাণের প্রয়োজন দেখা দেয়। সব মিলিয়ে প্রকল্পের মুল নক্সাই পরিবর্তিত হয়ে স্প্যানের সংখ্যা দাঁড়ায় ৭টিতে। তাই প্রকল্পটি আরও সম্প্রসারন হওয়ায় নতুন করে অর্থ বরাদ্দ দেয়ার প্রয়োজন দেখা দেয়। এ পর্যায়ে অসমাপ্ত কাজ সমাপ্ত করণে অর্থের অনুমোদন দেয়া হয় ১৪ কোটি ৬৪ লাখ ৭৯ হাজার টাকা। এর ফলে সব মিলিয়ে প্রকল্পের মোট ব্যয় দাঁড়ায় ১৮ কোটি ২১ লাখ ৭৭ হাজার টাকা। কাজ শেষ করতে নতুন ঠিকাদারও নিয়োগ করা হয়।

এদিকে কর্তৃপক্ষ চলতি অর্থ বছরে ৫ কোটি টাকা ছাড় দিয়ে আগামী ২০১৫ সালের ৩০মে’র মধ্যে অবশিষ্ট কাজ শেষ করার নির্দেশনা দেয়া হয় বর্তমান ঠিকাদারকে। এপর্যায়ে এ পর্যন্ত কাজ সম্পন্ন হয়েছে শতকরা ২০ ভাগ। আর পূর্বের নির্মিত অংশ নিয়ে কাজের মোট পরিমাণ দাঁড়িয়েছে শতকরা ৪০ ভাগ।

এব্যাপারে সড়ক ও জনপথ বিভাগের গাইবান্ধা নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ মাহবুবুল আলম খান জানান, আগামী অর্থ বছরে অবশিষ্ট সমুদয় অর্থ পাওয়া যাবে বলে প্রধান কার্যালয় থেকে আশ্বাস পাওয়া গেছে। অর্থ পাওয়া গেলে নির্ধারিত সময়েই প্রকল্পের কাজ সম্পন্ন করা যাবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

মন্তব্য করুন


 

Link copied