ইনজামাম-উল-হক নির্ণয়, নীলফামারী প্রতিনিধি, উত্তরবাংলা ডটকম :
নীলফামারীর বিদ্যুৎ অফিস ভাংচুর করেছে বিক্ষুদ্ধ বিদ্যুৎ গ্রাহকরা। বৃহস্পতিবার রাতে এই ভাংচুরের ঘটনাটি ঘটে।
সংশ্লিষ্ট সুত্র মতে গত বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে নীলফামারী জেলার উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া প্রচন্ডে ঝড়ে সৈয়দপুর থেকে নীলফামারী পর্যন্ত ৩৩কেভি সঞ্চালন লাইনের ২টি টাওয়ার ক্ষতিগ্রস্থ্য হয়ে প্রায় ২৭ ঘন্টা পর বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে নীলফামারী জেলার বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক হয়।
রাত সোয়া ১টার দিকে নীলফামারী পৌরসভার ৩ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও প্যানেল মেয়র সামসুল হকের নেতৃত্বে বেশ কিছু বিদ্যুৎ গ্রাহক বিদ্যুৎ অফিসের অভিযোগ কেন্দ্রে হামলা চালিয়ে তারা অফিসের চেয়ার টেবিল টেলিফোন সেট ও অফিসের জানালার কাঁচ এবং বিদ্যুৎ শ্রমিক লীগের সাইন বোর্ড ভাংচুর করে বলে নীলফামারী বিদ্যুৎ সরবরাহ কেন্দ্রের কর্মচারী ফরহাদ হোসেন অভিযোগ করেন।
এ ব্যাপারে প্যানেল মেয়র সামসুল হক বলেন, শহরের সব এলাকায় রাত ১০টার মধ্যে বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক হলেও শহরের মিলনপল্লী এলাকায় রাত ১টা পর্যন্ত বিদ্যুৎ ছিলনা। অভিযোগ কেন্দ্রে টেলিফোন করলেও কেউ টেলিফোন ধরেন না। এ কারনে মিলনপল্লীর লোকজনসহ আমরা বিদ্যুৎ অফিস যাই। গিয়ে দেখি টেলিফোন রিসিভ না করে লাইনম্যানরা সেখানে বসে তাস খেলছিল। এ সময় বিক্ষুদ্ধ লোকজন ভাংচুর করে। তিনি আরো অভিযোগ করে বলেন, আমার ওয়ার্ডের দেবীর ডাঙ্গা এলাকায় ২দিন আগে থেকে একটা বিদ্যুতের তার ছিড়ে পড়ে আছে,তাদের জানানোর পরও আজো তা ঠিক করেনি তারা।
নীলফামারী বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রুবেল আহম্মেদ বলেন, রাত সোয়া ১টার দিকে কাউন্সিলর সামসুল হকের নেতৃত্বে কিছ ুলোকজন বিদ্যুৎ অফিসে হামলা চালিয়ে ভাংচুর করে আমাদের গালিগালাজ করেন। মিলনপল্লী এলাকায় বিদ্যুৎ দেরীতে আসার কারন জানতে চাইলে তিনি বলেন, ঝড়ের সময় ওই লাইনে যে ত্রুটি হয়েছিল তা সারানোর পর রাত ১টায় লাইনটি চালু করা সম্ভব হয়েছে। কিন্তু রাত সোয়া একটার দিকে তারা পরিকল্পিতভাবে এ হামলা চালিয়েছে।