মনভোলানো হাসির অধিকারী অভিনেত্রী বলিউডে খুঁজলে বোধ হয় একজনকেই পাওয়াযাবে তিনি হলে মাধুরী দীক্ষিত। তার হাসির জালে বাধা পড়েনি এমন পুরুষ খুঁজেপাওয়া দুঃসাধ্য। শুধু তাই নয় ভারতীয় আঁকিয়ে শিল্পী মকবুল ফিদা হোসেনের চোখেমাধুরীর হাসিটি নাকি মোনালিসার চেয়েও সুন্দর। তার হাসিতে সবার হৃদয় হরণহতে বাধ্য। এই অভিনেত্রীর সফল এবং একাধারে জাঁকজমকপূর্ণ ক্যারিয়ারের মাঝেওতার জীবনেও নানা স্ক্যান্ডাল রয়েছে। অভিনেত্রী হিসেবে পেশাজীবনে নানাজটিলতায় পড়তে হয়েছে এই অভিনেত্রীকেও। তাই আজ আপনাদের জন্য নিয়ে হাজির হলামমাধুরী দীক্ষিতের ক্যারিয়ার জীবনের কিছু আলোচিত গুঞ্জন নিয়ে।
১. প্রেমের কাহিনী
নব্বইয়ের দশকের জনপ্রিয় অভিনেত্রী তার সাবলীল অভিনয় ক্ষমতা এবং মন ভুলানোমুখশ্রী দিয়েমানুষের হৃদয়ে নিজের আলাদা স্থান করে নিতে সক্ষম হন।
মাধুরীর মন ভুলানো হাসি এবং অভিনয় দক্ষতা এই দুয়ের সংমিশ্রণে অর্জনকরেছিলেন সফলতা। তবে এই তরকার জীবনের আলোচিত বিষয়গুলোর মধ্যে একটি ছিলবলিউডের তারকা সঞ্জয় দত্তের সাথে প্রেমের গুঞ্জন। তার সমসাময়িক তারকাঅভিনেতা সঞ্জয় দত্তের সঙ্গে 'খল নায়ক' বা 'সাজন' এর মতো হিট ছবি উপহারদেওয়ার সাথে সাথে তারা প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন এমন খবর বলিউডের বাতাসেভেসে বেড়াতেও শোনা যায়। এদিকে এমন খবর শোনা যায় যে বিবাহিত সঞ্জয় দত্তকেনিয়ে বেশ সিরিয়াস ছিলে মাধুরী দীক্ষিত। কিন্তু এই সম্পর্ক মানতে নারাজছিলেন মাধুরীর বাবা শংকর। আর এখানেই শেষ নয় এমন খবর রটে যে সঞ্জয়ের সাথেসম্পর্ক বিচ্ছেদের পর মাধুরী অনিল কাপুরের সঙ্গে সম্পর্কে জড়ান।
২. চুম্বন দৃশ্য
নব্বই দশকের অন্যতম আলোচিত নায়িকামাধুরিকে নানা সমালোচনার সম্মুখীন হতেওহয়। নব্বই দশকে বলিউডের মতো রঙিন জগতেও চুম্বন দৃশ্য মানে অনেক কিছু ছিল।এমন সময় বেশ সাহসী দৃশ্যে দেখা যায় এই অভিনেত্রীকে। 'দয়াভান' ছবিতে বয়সেবিশ বছরের বড় নায়ক বিনোদ খান্নার সঙ্গে অন্তরঙ্গ দৃশ্যে তার অভিনয় ছিলো বড়ঘটনা। ওই দৃশ্যে তাদের দুজনের চুম্বন দারুণ সমালোচনার জন্ম দেয়। পরে অবশ্যমাধুরী বলেছেন যে, এই অভিনয়ে তার না বলা উচিত ছিলো। কিন্তু বলার আগেইতিমধ্যে আলোচনার তুঙ্গে তিনি।
৩. প্রতিদ্বন্দ্বী
বলিউডের সর্বোচ্চ পারিশ্রমিক আদায়কারী নায়িকাদের মধ্যে তিনি ছিলেন অন্যতম।মাধুরীকে তার ফিল্ম ক্যারিয়ারেঅনেক প্রতিদ্বন্দ্বীর সাথে লড়তে হলেওখবরের শিরোনামে এসেছিল শ্রীদেবীর সাথে বিতণ্ডা।
আশির দশক থেকেই দর্শকের হৃদয়ে স্থান করে নিয়েছেন শ্রীদেবি। তাদেরমধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতার মধ্যেই মাধুরী 'তেজবাজ' সিনেমা দিয়ে আবারো আলোচনারমধ্যমণি হয়ে ওঠেন। এ দুজনের মধ্যে এক অঘোষিত যুদ্ধ চলছিল যারা নিজেদেরসিনেমা দিয়ে একে অপরকে টপকে যাওয়ার যুদ্ধ করছিলেন। কিন্তু বয়সে সমর্থনজানালো না শ্রীদেবিকে। তিনি এক সময় সরে দাঁড়ালেন। এর পর জুহি চাওলা আসেনমাধুরীর প্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে এবং তা চলতে থাকে। তবেসম্প্রতি মাধুরী তারভক্তদেরএ বিষয়ে খুলে জানান, যেএসবই নাকি মিডিয়ার গসিপ ছিল প্রকৃতপক্ষেশ্রীদেবীর সাথে মাধুরীর কখনো ঘনিস্ট হবার সুযোগ হয়নি। হলে হয়তবা তারা ভালোবন্ধুই হতেন।
৪.বিশাল পারিশ্রমিক
ভারতের মহারাষ্ট্রের মেয়ে হওয়াতে সেখানকার পর্যটন শিল্পের ব্র্যান্ডঅ্যাম্বাসাডারের প্রস্তাব করা হলো তাকে। কিন্তু প্রস্তাবটি বাস্তবায়িতহয়নি।এক প্রতিবেদনে বলা হয়, মহারাষ্ট্রের মুখ হতে তিনি ৯/১০ কোটি রুপি দাবিকরেছিলেন। এই পরিমাণ অর্থ চাওয়ায় তাকে সমালোচিত হতে হয়। এর জবাবে তিনিআমীর খান ও শাহরুখ খানের পারিশ্রমিকের সঙ্গে নিজের তুলনা করেন।
৫. ম্যানেজারকে সরিয়ে দেওয়া
বিনোদন তারকাদের ক্যারিয়ারকে এগিয়ে নিতে একজন আদর্শ ম্যানেজারের ভূমিকারয়েছে। মাধুরীর এই খ্যাতির পেছনে আছেন তার দীর্ঘদিনের ম্যানেজার রাকেশ নাথ একে এ রিক্কু। কিন্তু দীর্ঘদিন পর আবার বলিউডে ফিরে আসার সময় তিনি পুরনোমানুষটিকে সরিয়ে দিলেন। এক প্রতিবেদনে বলা হয়, মাধুরীর স্বামী ড. নেনেরসিদ্ধান্ত ছিলো এ কাজের ভার নতুনদের ওপর তুলে দেওয়া। তাই একদিন মাধুরীরাকেশকে ফোন দিলেন এবং 'এখন থেকে আমার এ কাজ ডাক্তার সাহেব দেখবেন' বলেফোনটি রেখে দিলেন।