বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে ইতিমধ্যেই সেই আমন্ত্রণ পৌঁছে গেছে। পূর্ব- নির্ধারিত জাপান সফরে থাকার কারণে শেখ হাসিনা ব্যক্তিগতভাবে উপস্থিত থাকতে পারবেন না। তবে তার প্রতিনিধি হিসেবে বাংলাদেশের পার্লামেন্টের স্পিকার শিরিন শারমিন চৌধুরী সোমবারের শপথ অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরীফেরও এই অনুষ্ঠানে যোগ দেয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
তবে পররাষ্ট্র মন্ত্রকের মুখপাত্র আকবরউদ্দিন জানিয়েছেন, শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট মাহিন্দ রাজাপাকশে, আফগানিস্তানের প্রেসিডেন্ট হামিদ কারজাই, ভুটানের প্রধানমন্ত্রী শেরিং তোবগে, নেপালের প্রধানমন্ত্রী সুশীল কৈরালা এবং মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট আবদুল্লাহ ইয়ামিন আবদুল গাইয়ুম শপথ অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন বলে নিশ্চিত করেছেন।
এছাড়া মরিশাসের সঙ্গে ভারতের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক বিবেচনায় সে দেশের প্রধানমন্ত্রী নবীন রামগুলামকেও আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। তবে বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কার সঙ্গে ভারতের সম্পর্কের কথা বিবেচনা করে বাংলাদেশের বিরোধী নেত্রী খালেদা জিয়া এবং শ্রীলঙ্কার বিরোধী নেতা রনিল বীক্রমাসিংহেকে সোমবারের শপথ অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার জন্য পররাষ্ট্র মন্ত্রকের পক্ষ থেকে যোগাযোগ করা হচ্ছে। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া মোদির বিপুল জয়ের পরই তাকে শুভেচ্ছা জানিয়ে বার্তা পাঠিয়েছিলেন।
এদিকে শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানের পরদিন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে মোদি বিদেশী অতিথিদের সঙ্গে আলাদা আলাদাভাবে বৈঠকে মিলিত হবেন। প্রত্যেকের সঙ্গে এজন্য আধাঘণ্টা করে সময় রাখা হয়েছে। এসব বৈঠকে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক নিয়ে কথা হবে বলে মনে করা হচ্ছে। সোমবার শপথগ্রহণের পর বিদেশী অতিথিদের সম্মানে এক ভোজসভারও আয়োজন করা হয়েছে।
তবে শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্টকে সোমবারের শপথ অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো নিয়ে তামিলনাডুর বিভিন্ন দলের নেতারা তীব্র আপত্তি জানিয়েছেন। ডিএমকে’র করুণানিধি, এআইডিএমকে’র জয়ললিতা জানিয়েছেন, রাজাপাকশেকে আমন্ত্রণ না জানালেই ভাল ছিল। তবে বিজেপি’র জোটসঙ্গী এমডিএমকে নেতা ভাইকো বৃহস্পতিবার বিজেপি’র সভাপতি রাজনাথ সিং ও হবু প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে দেখা করে রাজাপাকশেকে আমন্ত্রণ না জানানোর দাবি জানিয়েছেন।
তিনি অভিযোগ করেছেন, রাজাপাকশে তামিল হত্যাকারী। তাই তাকে কোনওভাবেই ভারতে স্বাগত জানানো উচিত নয়। তবে মোদি এদিন ভাইকোকে এ ব্যাপারে কোন প্রতিশ্রুতি দেননি। মোদির শপথ অনুষ্ঠানে প্রায় তিন হাজার দেশী বিদেশী অতিথিকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। বলিউডের অভিনেতা অমিতাভ বচ্চন, সালমান খান, বিবেক ওবেরয় এবং দক্ষিণী ছবির সুপারস্টার রজনীকান্তকেও আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
এদিকে বাংলাদেশের বিরোধী জোটের নেত্রী খালেদা জিয়াকে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর শপথে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে কিনা জানতে চাইলে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা সাবিহ্ উদ্দিন আহমেদ বলেছেন, ভারতীয় দূতাবাস থেকে আমন্ত্রণের বিষয়ে আমাদের এখন পর্যন্ত কিছু জানানো হয়নি।
বিএনপি চেয়ারপারসনের প্রেস সচিব মারুফ কামাল খান এ বিষয়ে বলেন, এ ধরনের খবর ভারত থেকে কয়েকজন আমাকে জানিয়েছে। তবে ঢাকাস্থ ভারতীয় দূতাবাস থেকে কিছু জানানো হয়নি।