কুরবান আলী, দিনাজপুর ॥ দিনাজপুর সদর উপজেলার সংখ্যালঘু অধ্যাষিত এলাকা কর্ণাই গ্রামে গত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নির্যাতন, আগ্নিসংযোগ, লুটপাট ও নাশকতামূলক ঘটনার অভিযোগে দায়েরকৃত দুটি মামলা তদন্তের জন্য সিআইডি পুলিশকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।
দিনাজপুরের পুলিশ সুপার মোঃ রুহুল আমিন জানান, গত ৫ জানুয়ারী অনুষ্ঠিত ১০ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সদর উপজেলার হিন্দু অধ্যাষিত এলাকা কর্ণাই গ্রামে সংখ্যালঘু নির্যাতন, অগ্নিসংযোগ, লুটপাট ও নাশকতামূলক ঘটনার অভিযোগে কোতয়ালী থানায় পৃথক ২টি মামলা দয়ের করা হয়েছে। ওই মামলা ২টি স্পকাতর মামলা হিসেবে চিহ্নিত করে পুলিশ সদর দপ্তরের নির্দেশে তদন্তের জন্য সিআইডি জোনকে দায়িত্ব দেয়া হয় ।
দিনাজপুর সিআইডি জোনের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আহসানুল কবীর জানান, সদর উপজেলার কর্ণাই গ্রামের গত ৫ জানুয়ারী সংগঠিত ঘটনায় ২টি মামলা দায়ের হয়। মামলা ২টি মধ্য ১টি মামলার এজাহারকারী ওই গ্রামের গণেশ চন্দ্র রায় এর পুত্র মনোহর রায়। তার মামলায় ৬৪ জন আসামীর নাম উলে¬খ করে ৭শ জন অজ্ঞতদের আসামী করা হয়েছে। মামলাটি তদন্তের জন্য সিআইডি পরিদর্শক তরিকুল ইসলামকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।
অপরদিকে একই দিনের ঘটনায় কর্ণাই গ্রামের কেনেলু চন্দ্র রায় এর পুত্র কার্তিক চন্দ্র রায় বাদী হয়ে ৭৯ জনের নাম উল্লেখ করে ৩শ জন অজ্ঞাত আসামীদের বিরুদ্ধে কোতয়ালী থানায় মামলা দায়ের করেন। এই মামলাটি সিআইডি পরিদর্শক রেজা মানিক কে তদন্তের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। মামলার ২টি তে এ পর্যন্ত ৩৭ জন আসামী গ্রেফতার করা হয়। মামলার অন্যতম আসামী সদর উপজেলা চেহেলগাজী ইউপি চেয়ারম্যান আনিসুর রহমান বাদশা ও নাজির হোসেন মেম্বার হাইকোর্ট থেকে জামিন পেয়ে মুক্ত রয়েছেন।
উল্লেখ্য যে গত ৫ জানুয়ারী দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সদর উপজেলার ১নং চেহেলগাজী ইউনিয়নের কর্ণাই গ্রামে সংখ্যালঘুদের ভোট দিতে বাধা প্রদান, ঘর বাড়িতে অগ্নিসংযোগ, শারীরিক নির্যাতন ও ভোট কেন্দ্রে নাশতকামূলক কর্মকান্ডের ঘটনা ঘটেছিল। ঘটনাটি সাড়া দেশে ব্যাপক চাঞ্চল্যকর ঘটনা হিসেবে আলোড়ন সৃষ্টি করে। এই কারণে মামলা ২টি সঠিক তদন্ত করতে সিআইডি জোনকে দায়িত্ব দেয়া হয়।