কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি: কুড়িগ্রামে পুলিশের এক এ.এস.আই ২৬২ বোতল ভারতীয় মদ ও ফেন্সিডিলসহ মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করে মাত্র ৮৬ বোতল মদ উদ্ধারের মামলা দিয়েছে। পুলিশ বাহিনীর কতিপয় সদস্যের ভূমিকায় দেশ জুড়ে যখন তোলপাড় চলছে, ঠিক তখনই জেলার রৌমারী থানা পুলিশের মাদকদ্রব্য উদ্ধারের পর তা বিক্রি করায় উপজেলা জুড়ে তোলপাড় শুরু হয়েছে। পুলিশ মদ বিক্রির ঘটনা অস্বীকার করেছে।
জানা গেছে, জেলার রৌমারী থানার এএসআই সাজু গোপন সংবাদের ভিত্তিতে উপজেলার বন্দবেড় ঈদগাহ মাঠ এলাকায় গত বুধবার ভোররাতে অভিযান চালিয়ে ১৮২ বোতল ভারতীয় অফিসার্স চয়েজ মদ ও ৮০ বোতল ফেন্সিডিলসহ মাদক সম্্রাট মমিনুল ইসলাম (৪৩)কে হাতে-নাতে আটক করে। এসময় জনৈক এক ভ্যানগাড়ি চালক ঘটনাস্থলে উপস্থিত থেকে পুলিশী অভিযান প্রত্যক্ষ করেন। তিনি স্থানীয় সাংবাদিকদের ৮০ বোতল ফেনসিডিল ও ১৮২ বোতল মদ আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেন। পরে থানা পুলিশ মাত্র ৮৬ বোতল মদ উদ্ধার দেখিয়ে মমিনুলের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য আইনে মামলা দায়ের করে আদালতে পাঠালে বিজ্ঞ বিচারক তাকে কুড়িগ্রামের জেল-হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন। অভিযোগ উঠেছে, অভিযানের সাথে যুক্ত এএসআই সাজু ২৬২ বোতল মাদকদ্রব্য উদ্ধার করলেও ৮৬ বোতল অফিসার্স চয়েজ মদ রেখে ১৭২ বোতল মদ ও ফেন্সিডিল কৌশলে বিক্রি করে টাকা ভাগাভাগি করে নেয়। জনশ্রুতি রয়েছে, মমিনুল তার মাদক ব্যবসা নির্বিঘেœ চালাতে স্থানীয় থানা পুলিশকে প্রতি সাপ্তাহে ৫ হাজার করে টাকা দিত। দুই সপ্তাহ থেকে নিয়মিত টাকা না দেয়ায় এ পুলিশী অভিযান চালানো হয়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন শিক্ষকসহ একাধিক জনপ্রতিনিধি স্থানীয় সাংবাদিকদের জানান, থানা পুলিশের সাথে আর্থিক সম্পর্ক করে শুধু রৌমারী উপজেলা সদরের প্রায় অর্ধশত মাদক বিক্রেতা বিভিন্ন স্পটে নির্বিঘেœ ভারতীয় ফেন্সিডিল ও মদ বিক্রি করে আসছে। অভিযোগ রয়েছে, পুলিশকে টাকা দিতে গড়িমশি করলেই শুধু এ ধরনের অভিযান চালানো হয়। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই রুহুল আমীন বলেন, আমাকে যত বোতল মাল জমা দিয়েছে, আমি তত বোতলই মামলায় উল্লেখ করেছি। এর বাইরে কিছু জানি না। উদ্ধারকৃত মাদকদ্রব্যের বোতলের সংখ্যা হের-ফের নিয়ে কথা হলে রৌমারী থানার ওসি শামীম হাসান সরদার এ প্রতিবেদককে বলেন, স্থানীয় সাংবাদিকদের সাথে মাদকদ্রব্য ব্যবসায়ীদের সম্পর্ক থাকায় ভবিষ্যতে পুলিশকে মাদকদ্রব্য উদ্ধার অভিযান বন্ধ করতে হবে।