ইতপূর্বে একাধিক ট্রাক, বাস নিয়ন্ত্রন হারিয়ে সেতু থেকে পড়ে প্রানহানির ঘটনাও ঘটেছে এ সেতুতে। এছাড়াও এলাকার মানুষের অভিযোগ স্থানীয় এমপি ও মন্ত্রীদের প্রতি। তারা এ পথে চলাচল করলেও কখনো সেতুটির ভঙ্গুর দশার অবলোকন করেননি। স্বার্ণামতি সেতুটি অনেক পুরাতন এ সেতুটি ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ায় সেতুর উপরে বেইলী ব্রীজ স্থাপন করে অস্থায়ী ভাবে যোগাযোগ ব্যবস্থা চালু করে সড়ক ও জনপথ বিভাগ। ১০ চাকার ভারী যানবাহন চলাচল করায় ওই স্থায়ী ডেকিং দিন দিন খুলে পড়ছে। ১০ চাকার ভারী যানবাহন চলাচল না করার জন্য সড়ক ও জনপথ বিভাগ নিষেধাজ্ঞা জারী করলেও তা মানছেনা কেউ। মহাসড়কের এ সড়ক সেতুর উপর দিয়ে জেলার পাটগ্রাম, হাতিবান্ধা, কালীগঞ্জ ও আদিতমারী উপজেলার কয়েক লাখ মানুষ প্রতিদিন যাতায়াত করে।
সেতুর চারিদিকে বড় বড় ফাটল সৃষ্টি হয়ে পড়ায় ট্রাক ও বাস সেতুর উপর উঠলেই কেপে উঠে সেতুটি। উপর দিয়ে যাতায়াতের সময় নানান দুর্ঘটনার শিকারে পড়ছে সাধারন লোকজন। লালমনিরহাট সড়ক ও জনপথ বিভাগ নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ সুরুজ মিয়া জানান, সেতুটি নির্মানের জন্য জাইকা প্রতিষ্ঠান জরিপ করছে, জরিপ কাজ শেষ হলেই আগামী বছরের প্রথম মাসে টেন্ডার আহবান করা হবে। তিনি আরও জানান, যে কোন ধরনের দূর্ঘটনা এড়াতে প্রয়োজন দ্রুত নতুন একটি সেতু নির্মান। তিনি এ ব্যাপাওে সংশ্লিষ্ঠ কর্তৃপক্ষের প্রয়োজনীয় হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। তা নাহলে সেতুটি ভেঙ্গে লালমনিরহাটের সাথে সারাদেশের যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়বে তিনি জানান।