দশম জাতীয় সংসদের দ্বিতীয় (বাজেট) অধিবেশনে মঙ্গলবার সংসদ সদস্য নাসিম ওসমানের উপর আনা শোক প্রস্তাবে এ মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
স্মৃতিচারণ করে সংসদ নেতা বলেন, ‘ওসমান পরিবারের সঙ্গে আমাদের পারিবারিক সম্পর্ক ছিল। কারণ বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ প্রতিষ্ঠিতই ওসমান পরিবার থেকে। নাসিম ওসমানের পিতা মরহুম শামসুযোহা খান ওসমানের হাত ধরে আওয়ামী লীগের রাজনীতি শুরু। তবে এ পরিবারটির বিরুদ্ধে বারবার ষড়যন্ত্র হয়েছে। আইয়ুব আমল, ৭৫ এ তাদের ওপর আঘাত এসেছে। যখন যেই ক্ষমতায় এসেছে এই পরিবারের ওপর আঘাত এসেছে।’
তিনি বলেন, ‘আইন তার নিজস্ব গতিতেই চলবে। কেউ যদি অপরাধ করে তার বিচার হবে। তবে বিশেষ কোনো পরিবারকে নিশ্চিহ্ন করার পরিকল্পনা করা হলে দেশবাসীকে সেটাও দেখতে হবে।’
বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রসঙ্গ টেনে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘যখন আজানের ধ্বনি শুনে মানুষ মসজিদে যায়, তখন খুনিরা ধানমন্ডির ৩২ নাম্বারে যায় বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করতে। আমাদেরই দলের নেতা খন্দকার মোশতাক বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেছিল। তার সঙ্গে জড়িত খুনি কর্নেল ফারুক বিবিসিতে তার দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন ‘বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হয়েছে, কে এই হত্যার বিচার করবে। তার সাক্ষাৎকারে এটাও স্বীকার করেন এ হত্যায় মেজর জিয়ার সায় ছিল।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘নাসিম ওসমান মৃত্যুর আগে আমার কাছে আসে, আমি ওকে ছোট্ট একটি কোরআন শরীফ দেই, ও খুব খুশি হয়েছিল। নাসিম ওসমান খুব ভালো মানুষ ছিল। তার ছেলে মেয়ের যদি দেখাশোনার প্রয়োজন হয় তাহলে সেটা ভেবে দেখা হবে।’
এর আগে বিকেল সোয়া ৫টায় স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অধিবেশন শুরু হয়।
চলতি অধিবেশন পরিচালনার জন্য ৫ সদস্যের সভাপতিমণ্ডলী মনোনীত করা হয়েছে। মনোনীতরা হলেন- আবুল কালাম আজাদ, মীর শওকত আলী বাদশা, ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু, কাজী ফিরোজ রশীদ ও ফজিলাতুন নেছা ইন্দিরা। স্পিকার ও ডেপুটি স্পিকারের অনুপস্থিতিতে সভাপতি মন্ডলীর সদস্যদের মধ্যে যার নাম আগে থাকবে তিনি সংসদ কার্য পরিচালনা করবেন।
এর পরপরই চলতি সংসদের জাতীয় পার্টির সদস্য নাসিম ওসমানসহ সাবেক সংসদ সদস্য ও বিশিষ্ট্য ব্যক্তিদের মৃত্যুতে অধিবেশনে শোক প্রস্তাব উত্থাপন করা হয়। পরে তা আলোচনা শেষে গ্রহণ করা হয়। পরে রেওয়াজ অনুযায়ী অধিবেশন মুলতবি করা হয়।