আর্কাইভ  শুক্রবার ● ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ● ৬ বৈশাখ ১৪৩১
আর্কাইভ   শুক্রবার ● ১৯ এপ্রিল ২০২৪
 width=
 
 width=
 
শিরোনাম: পলাশবাড়ীতে আসামির ছুরিকাঘাতে বাদীর মৃত্যু, গ্রেফতার ১       মন্ত্রী-সংসদ সদস্যদের সন্তান-স্বজনের ভোটে না দাঁড়ানোর নির্দেশ       ভোজ্যতেলের দাম বাড়ল, খোলা তেলে সুখবর       বিএনপি নেতা সোহেলের নিঃশর্ত মুক্তি দাবিতে রংপুরে  মানববন্ধন ও সমাবেশ        খরার ঝুঁকিতে রংপুর অঞ্চল      

 width=
 

ডিজিটাল বিপ্লবের পথে দেশ

সোমবার, ৯ জুন ২০১৪, দুপুর ০৩:৫১

সম্প্রতি রাজধানীর বিয়াম মিলনায়তনে বিবিসি বাংলা আয়োজিত এক সংলাপে তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলকের বক্তব্যেও ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ বাস্তবায়নে সরকারের অগ্রাধিকার প্রকল্পগুলো এগিয়ে নেওয়ার বিষয়টি স্পষ্ট হয়েছে। প্রতিমন্ত্রী বলেন, ২০২১ সালের মধ্যে ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে বাংলাদেশ আরো দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে। চার বছরের মধ্যে প্রত্যেক ইউনিয়নে ইন্টারনেটের  ব্রডব্যান্ড সংযোগ দেওয়া সম্ভব হবে। বর্তমানে প্রতি মাসে ৪০ লাখ মানুষ ইউনিয়ন তথ্যকেন্দ্র থেকে সেবা নিচ্ছেন।  

ডিজিটাল বাংলাদেশ সম্পর্কে অর্থমন্ত্রী আরো বলেন, বিগত পাঁচ বছরে তথ্যপ্রযুক্তি সহায়ক প্রয়োজনীয় অবকাঠামো এবং পরিবেশ তৈরি করা হয়েছে। ফলে বাংলাদেশ এরই মধ্যে প্রযুক্তিনির্ভর আধুনিক রাষ্ট্রের অবয়ব পেয়েছে। দেশের ৪ হাজার ৫২৬টি ইউনিয়ন তথ্য ও সেবাকেন্দ্র থেকে প্রতিদিন গড়ে ৪০ লাখ মানুষ ই-সেবা পাচ্ছেন। দেশে টেলিডেনসিটি এবং ইন্টারনেট ডেনসিটি যথাক্রমে ৭৭ দশমিক ৮ এবং ২৩ দশমিক ৭ শতাংশে উন্নীত হয়েছে। ই-কমার্স, ই-পেমেন্ট এবং ই-গভর্নেন্সের ব্যাপক প্রসার ঘটেছে। 

মন্ত্রী আরো বলেন, দেশে উৎপাদিত সফটওয়্যার এবং আইসিটি সার্ভিসেস যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপ, জাপান, কানাডা, অস্ট্রেলিয়াসহ বিশ্বের ৩০টি দেশে রপ্তানি হচ্ছে। তথ্যপ্রযুক্তি খাতকে জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে প্রস্তাবিত বাজেটে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। গ্রহণ করা হয়েছে খাতসংশ্লিষ্ট  নতুন নতুন প্রকল্প।
  
অর্থমন্ত্রী বাজেট বক্তৃতায় আরো জানান, দেশের ৪৮৫ উপজেলার সব সরকারি দপ্তরকে নেটওয়ার্কের আওতাভুক্ত করা, প্রচলিত ডাটা সেন্টারের সক্ষমতা  বর্ধিতকরণ, ডিজাস্টার রিকভারি সেন্টার স্থাপন, বাংলাদেশ সচিবালয়ে ওয়াই-ফাই নেটওয়ার্ক স্থাপন, প্রথম ও দ্বিতীয় পর্বে স্থাপিত সরকারি নেটওয়ার্কের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে। ৮০০ লোকেশন থেকে ভিডিও কনফারেন্স করার সুবিধা রয়েছে। 

তিনি জানান, ৫৬ জেলার ২৯৬ উপজেলায় ফাইবার অপটিক কেবল সংযোগ রয়েছে। বাকি উপজেলাগুলো ফাইবার অপটিকের আওতায় আনার উদ্যোগ নেওয়া  হয়েছে। ইতিমধ্যে দেশের পাঁচ উপজেলায় কমিউনিটি ই-সেন্টার স্থাপন করা হয়েছে এবং অন্য উপজেলাগুলোতেও ধীরে ধীরে ই-সেন্টার স্থাপন করা হবে।

আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় ১৪ দলের অন্যতম শরিক জাসদের সভাপতি ও তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নের প্রথম পর্বটি ছিল মন জয়ের পর্ব। এখন শুরু হবে উত্থান পর্ব। এ পর্বে দেশি-বিদেশি বিনিয়োগকারীদের আকৃষ্ট এবং তথ্যপ্রযুক্তির অবকাঠামো শক্তিশালী করা হবে। গত সরকারের ৫ বছরে মন জয় পর্বে আমরা জনগণ, ব্যবসায়ী, রাজনীতিবিদ ও প্রশাসনের কর্মকর্তাদের তথ্যপ্রযুক্তি প্রয়োগের সুফল সম্পর্কে ধারণা দিতে সক্ষম হয়েছি। 

প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী ও আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ড. আবদুস সোবহান গোলাপ বলেন, গত মেয়াদে সরকার ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে ধাপে ধাপে অগ্রগতি অর্জন করেছে। এবার সেটা পুরোপুরি বাস্তবায়নে সরকার অগ্রাধিকার দিয়ে কাজ করে যাচ্ছে। এ ক্ষেত্রে গণমাধ্যমের সহায়তা প্রয়োজন হবে। নৃপেন রায়, রাইজিংবিডি

মন্তব্য করুন


 

Link copied