আর্কাইভ  বৃহস্পতিবার ● ১৮ এপ্রিল ২০২৪ ● ৫ বৈশাখ ১৪৩১
আর্কাইভ   বৃহস্পতিবার ● ১৮ এপ্রিল ২০২৪
 width=
 
 width=
 
শিরোনাম: খরার ঝুঁকিতে রংপুর অঞ্চল       সার্ভার ডাউন: রসিকে জন্ম নিবন্ধন নিয়ে ভোগান্তি চরমে       রংপুরে ফটোসাংবাদিক ফিরোজ চৌধুরীর একক আলোকচিত্র প্রদর্শনী       ডোমার ও ডিমলা উপজেলা নির্বাচনে ৩৫ জনের প্রার্থীতা বৈধ ॥ চেয়ারম্যান পদে ১২ জনের মধ্যে আওয়ামীলীগের ৭ জন প্রার্থী       নীলফামারীতে ঐতিহাসিক মুজিব নগর দিবস পালন      

 width=
 

২০২৯ সালের মধ্যেই যন্ত্রের প্রেমে পড়বে মানুষ!

মঙ্গলবার, ১৭ জুন ২০১৪, রাত ০৯:৪৬

টেক জায়ান্ট গুগলের ইঞ্জিনিয়ারিং ডিরেক্টর রে কার্জওয়েল এক ভবিষ্যদ্বাণীতে বলেছেন, আগামী ১৫ বছরের মধ্যেই অর্থাত্ ২০২৯ সালের ভেতরেই যন্ত্রের প্রেমে পড়ার মতো পরিস্থিতির দেখা পাবে মানুষ। গত সপ্তাহে নিউ ইয়র্কে এক্সপোটেনশিয়াল কনফারেন্সে এক বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন। তার কথার উদাহরণ হিসেবে তিনি উল্লেখ করেন হলিউডের সাম্প্রতিক সময়ের আলোচিত চলচ্চিত্র 'হার'-এর কথা। এই চলচ্চিত্রের মূল চরিত্র একটা সময় গিয়ে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাসম্পন্ন এক কম্পিউটারের সাথে মানসিক সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে। এই চিত্রকে তিনি আগামী ১৫ বছরের মধ্যেই বাস্তবে দেখতে পাচ্ছেন। তিনি ধারণা করেন, এই সময়ের মধ্যেই কম্পিউটার বা রোবট কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তায় এমন একটি পর্যায়ে এসে পৌঁছাবে যে তখন মানুষের সাথে সব ধরনের সম্পর্ক গড়তেই সমর্থ হবে তারা। মানুষের মতোই হাসি-ঠাট্টা করতে পারবে এবং মানুষের আবেগ-অনুভূতির সাথেও সাড়া দিতে সমর্থ হবে যন্ত্র। আর তার ফলে যারা তুলনামূলকভাবে একটু ঘরকুণো এবং একাকী থাকতে পছন্দ করেন, তারা হয়তো যন্ত্রের প্রতিই আকর্ষণ বোধ করবেন এবং যন্ত্রের সাথেই সম্পর্কে গড়ে তুলবেন।
বক্তৃতায় রে বলেন, 'আমার টাইমলাইনে আগামী ১৫ বছরের মধ্যেই যন্ত্রকে মানুষের স্তরে দেখতে পাচ্ছি। আর এক্ষেত্রে আমার মূল বিবেচ্য বিষয় হলো আবেগীয় বুদ্ধিমত্তা। পরিস্থিতির সাথে তাল মিলিয়ে এবং মানসিক অবস্থা বুঝে নিয়ে কৌতুক বলা কিংবা আবেগগতভাবে সমর্থন জোগানোর মতো বিষয়গুলোতে যন্ত্র পারদর্শী হয়ে উঠবে বলেই আমি মনে করি।' কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাসম্পন্ন এমন যন্ত্র নিয়ে সাম্প্রতিক সময়ে গবেষণা অনেক বেড়েছে। এর আগেও মানুষের আকৃতির বেশকিছু রোবট তৈরি হলেও কিছুদিন আগেই জাপানের একটি প্রতিষ্ঠান তৈরি করেছে 'পিপার' নামের একটি রোবট যা মানবিক অনুভূতির সাথে খাপ খাইয়ে কথা বলতে পারে এবং সেই মতো আচরণ করতে পারে। রে কার্জওয়েলের ভবিষ্যদ্বাণীকে তাই উড়িয়ে দেওয়া যায় না। ভবিষ্যদ্বাণীর দিক থেকে অবশ্য রে বরাবরই সফল। নব্বইয়ের শুরুতেই তিনি ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন যে যন্ত্রের কাছে দাবা খেলায় মানুষ পরাজিত হবে ১৯৯৮ সালের মধ্যেই। তার ভবিষ্যদ্বাণী সফল করার জন্যই বোধহয় ১৯৯৭ সালে ডিপ ব্লুর কাছে হেরে যান তত্কালীন বিশ্বসেরা দাবাড়ু গ্যারি কাসপারভ। তার এবারের অনুমান সফল হয় কি না, তার জন্য অবশ্য অপেক্ষা করতে হবে আরও দেড় দশক। 

মন্তব্য করুন


 

Link copied