আর্কাইভ  শুক্রবার ● ২৯ মার্চ ২০২৪ ● ১৫ চৈত্র ১৪৩০
আর্কাইভ   শুক্রবার ● ২৯ মার্চ ২০২৪
 width=
 

 

কুড়িগ্রামের খাবারে বেজায় খুশি ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামের খাবারে বেজায় খুশি ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের নির্ধারিত স্থান পরিদর্শন করলেন ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের নির্ধারিত স্থান পরিদর্শন করলেন ভুটানের রাজা

রানিকে নিয়ে কুড়িগ্রামে পৌঁছেছেন ভুটানের রাজা

রানিকে নিয়ে কুড়িগ্রামে পৌঁছেছেন ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামে সমৃদ্ধির হাতছানি

কুড়িগ্রামে সমৃদ্ধির হাতছানি

 width=
 
শিরোনাম: জমি রেজিস্ট্রি করে না দেয়ায় বাবাকে কবর দিতে ছেলের বাঁধা ॥ পুলিশের হস্তক্ষেপে দাফন সম্পন্ন       নীলফামারীতে স্বামীর প্রথম বিয়ের খবরে নববধূ দ্বিতীয় স্ত্রীর আত্মহত্যা ॥ স্বামী গ্রেপ্তার       রংপুরবাসীর জন্য সরকারি চাকরি, পদ ১৫৯       স্বাস্থ্যের রংপুর বিভাগীয় পরিচালক ফজলুল হক কারাগারে       কুড়িগ্রামের খাবারে বেজায় খুশি ভুটানের রাজা      

 width=
 

ঠাকুরগাঁওয়ে লিচু-আমের বাগান বাড়ছে, সৃষ্টি হচ্ছে কর্মসংস্থানের

বুধবার, ১৮ জুন ২০১৪, রাত ১০:৫৮

প্রখর খরতাপে কিছু বাগানে প্রথম ধাপে বের হওয়া আম ও লিচুর মুকুল নষ্ট হয়। এর পর থেকে বাগানে হাড়ভাঙ্গা পরিশ্রম করতে থাকে বাগান মালিকরা। শেষ প্রচেষ্টায় রক্ষা হয় ফলন। তবে এবার এ দুটি ফলের স্বাদ নিতে গতবছরের চেয়ে একটু বেশি দরে কিনতে হবে বলে জানায় ব্যবসায়ীরা। তাই লাভের আশায় বুক বাঁধছে চাষি ও ব্যবসায়ীরা । দিন দিন এ এলাকায় আম ও লিচুর বাগান বেড়ে যাওয়ায় কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হয়েছে শ্রমিকদের। আর বাগান মালিকরা লাভবান হওয়ায় ফল চাষে ঝুঁকে পড়ছে বেকার অনেক যুবক।

শহরের সত্যপীর ব্রীজ এলাকার আব্দুর রশিদ জেলার পীরগঞ্জ উপজেলার ঘিডোব গ্রামে ১৬০ বিঘা জমির উপর তৈরি করেছেন আম ও লিচু বাগান। প্রতিবছর তিনি ওই বাগান থেকে আয় করেন প্রায় ৩০ লাখ টাকা। ওই বাগান বছর চুক্তিতে নেওয়া আম ব্যবসায়ী লতিফুর রহমান জানান, এ বছরের প্রথম পর্যায়ে আমের ফলনে বিপর্যয় দেখা গেলেও কঠোর পরিশ্রমে তা রক্ষা করা সম্ভব হয়েছে। এবার প্রতিকেজি আম বিক্রি হবে ৪০ থেকে ৫০ টাকায়। তবে এ ব্যাসায় কিছু অসাধু ব্যবসায়ী রয়েছে তারা ক্রেতাদের কাছ থেকে আদায় করে থাকে ইচ্ছে মতো দাম।

তিনি আরো বলেন, এ বাগান দেখভালের জন্য প্রতিদিন কাজ করছে ৬০ জন শ্রমিক। এ এলাকা আম রাজশাহী এলাকার আমের মতোই। মাটি ও আবহাওয়া ভাল হওয়ায় এ জেলায় প্রচুর আমের উৎপাদন হয়। ওই বাগানে কাজ করছে ঘিডোব গ্রামের আঞ্জুয়ারা, মরিয়ন খাতুন, শেফালী আকতার । তারা বলেন, দিনের বেলায় লিচু বাগানে কাজ করে প্রতি দিন হাজিরা পাই ১৫০ টাকা। ঘরে বসে থাকার চেয়ে বাগানে কাজ করে এ টাকায় সংসারের অভাব কিছুটা হলেও দুর হয়। এ ছাড়াও ছেলে মেয়ে লোখা পাড়ার খরচেও কিছুটা সহায়তা করা হয়।

বাগানের শ্রমিক আশরাফ আলী বলেন, রাতে পাহাড়াদার হিসেবে এ বাগানে কাজ করে প্রতিদিন পাই ২০০ টাকা। এ এলাকায় বাগান হওয়ায় শ্রম বিক্রি করা যাচ্ছে। যদি আরো বাগানা হতো তবে ৩ থেকে ৪ মাস কাজের নিশ্চিয়তা থাকতো। আরো অনেক শ্রমিক কাজ করতে পারতো।

ওই বাগানের আব্দুর রশিদের ছেলে মামুনুর রশিদ মামুন ,জানান, ঠাকুরগাঁওয়ে আম ও লিচুর বাগান দিন দিন গড়ে উঠছে। এ আম-লিচু বাগান দেখে অনেক যুবক ঘরে বসে না থেকে বাগান গড়ে তুলছে। তিনি আরো বলেন, এলাকায় আম ও লিচু বাগান কেন্দ্রিক চাষিদের স্বল্প সুদে ঋন দেওয়া হলে এর সম্প্রসারণ আরো বাড়বে। মামুনুর রশিদ মামুন আরো বলেন, বিশেষ করে এ এলাকায় ফল কেন্দ্রিক প্রক্রিয়াজাতকরণ স্থাপন করা হলে একদিকে যেমন বাগান মালিকরা ফলের ন্যায্যমুল্য পাবে অন্য দিকে বাগান গুলোতে ব্যাপক আকারে কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হবে।

পীরগঞ্জ উপজেলা ঘিডোব গ্রামে এ বাগান গড়ে তোলায় বাগান মালিক আব্দুর রশিদ ২০১২ সালে পরিবেশ ও জীববৈচিত্র রক্ষায় অবদান ও কীর্তির স্বীকৃতি অতীয় দিপঙ্কর স্বর্নপদক পান। এছাড়াও ওই বছরই পরিবেশ সংরক্ষণে নবাব সিরাজ উদ্দৌলা স্বর্নপদক পান আব্দুর রশিদ।

কৃষি বিভাগ জানায়, আবার জেলায় সাড়ে ৭ হাজার হেক্টর জমিতে আম ও ৭শ হেক্টর জমিতে লিচুর চাষ হয়েছে। এ থেকে আম উৎপাদন হবে ৩০ হাজার মে.টন আর লিচু হবে ২ হাজার টন। তবে ফল প্রক্রিয়াজাতকরন শিল্প প্রতিষ্টান গড়ে উঠলে এলাকায় প্রসার হবে ফলের বাগান। এতে বাড়বে উৎপাদন, সৃষ্টি হবে কর্মসংস্থানের এমন মন্তব্য কৃষিসম্প্রসারণ বিভাগের উপ-পরিচালক কমল কুমার সরকার। তিনি আরো বলেন, এ জেলার আম লিচু জেলার চাহিদা মিটিয়ে রাজধানী ঢাকাসহ চলে যাচ্ছে বিভিন্ন অঞ্চলে।

এ জেলার গোলাপি, চায়না থ্রী,বেদেনা জাতের লিচু ও অম্রপালি, সূর্য্যাপুরী, গোপালভোগ,ল্যাংড়া জাতের আম জেলার চাহিদা মিটিয়ে চলে যায় রাজধানী ঢাকাসহ বিভিন্ন অঞ্চলে।

মন্তব্য করুন


 

Link copied