আর্কাইভ  শুক্রবার ● ২৯ মার্চ ২০২৪ ● ১৫ চৈত্র ১৪৩০
আর্কাইভ   শুক্রবার ● ২৯ মার্চ ২০২৪
 width=
 

 

কুড়িগ্রামের খাবারে বেজায় খুশি ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামের খাবারে বেজায় খুশি ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের নির্ধারিত স্থান পরিদর্শন করলেন ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের নির্ধারিত স্থান পরিদর্শন করলেন ভুটানের রাজা

রানিকে নিয়ে কুড়িগ্রামে পৌঁছেছেন ভুটানের রাজা

রানিকে নিয়ে কুড়িগ্রামে পৌঁছেছেন ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামে সমৃদ্ধির হাতছানি

কুড়িগ্রামে সমৃদ্ধির হাতছানি

 width=
 
শিরোনাম: স্বাস্থ্যের রংপুর বিভাগীয় পরিচালক ফজলুল হক কারাগারে       কুড়িগ্রামের খাবারে বেজায় খুশি ভুটানের রাজা       লালমনিরহাটে পুকুরে জাল ফেলতেই জালে উঠে এলো যুবকের মরদেহ       কুড়িগ্রামে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের নির্ধারিত স্থান পরিদর্শন করলেন ভুটানের রাজা       রানিকে নিয়ে কুড়িগ্রামে পৌঁছেছেন ভুটানের রাজা      

 width=
 

পানি উন্নয়ন বোর্ডের তেলেসমাতি! ২ কোটি টাকার প্রকল্প পানিতে ভেসে গেল

সোমবার, ২৩ জুন ২০১৪, সকাল ০৮:৫১

নির্ভরযোগ্য সুত্র জানায়,পাউবো’র উপ-সহকারি প্রকৌশলী (এসও) মাহবুবার রহমান সংশি¬ষ্ট ঠিকাদারদের সাথে গাঁটছড়া বেঁধে অতিসম্প্রতি অবসরে যাওয়া নির্বাহী প্রকৌশলী সাথে আঁতাত করে কাজের শুরুতেই নামমাত্র খনন দেখিয়ে অর্ধকোটি টাকার বিল ছাড় করনে সহযোগিতা করেন। সংশি¬ষ্ট ঠিকাদাররা স্থানীয় এক ব্যক্তিসহ এসও কে সাবলীজ দিয়ে ৩টি গ্রুপের নামমাত্র কাজ করে বরাদ্দকৃত টাকা উত্তোলন করেছেন। নির্বাহী প্রকৌশলী, এসও এবং ঠিকাদারদের এসব অপকর্ম ‘বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশের পর তাদের টনক নড়ে। বিষয়টি যাতে আর বেশীদুর না গড়ায় সে কারনে এসও মাহবুবার রহমান রফাদফার চেষ্টায় বিভিন্ন জায়গায় দৌঁড়ঝাপ করেন। এ অবস্থায় ভাগ্যক্রমে ভারি বর্ষণ শুরু হলে প্রকল্প এলাকা কয়েকফুট পানির নীচে তলিয়ে যায়। ফলে আর কোন খনন কাজ করা সম্ভব হয়নি ঠিকাদারদের। বিরাট মওকা সৃষ্টি হওয়ায় কাজ সমাপ্ত না করেই তদারকী কর্মকর্তা এসও মাহবুবারের সহযোগিতায় বরাদ্দকৃত বিল সম্পুর্ন উত্তোলন করেছেন ঠিকাদাররা। এভাবেই চিরাচরিত নিয়মে পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তাগন পানির নীচেই কাজ সম্পন্ন দেখিয়ে আঁখিরা নদী খননে সরকারের বরাদ্দকৃত প্রায় ২ কোটি টাকার মধ্যে সিংহভাগই  ভাগাভাগি করে নিয়েছেন।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উপজেলার কুমেদপুর ও রায়পুর ইউনিয়নের মধ্যদিয়ে প্রবাহিত আঁখিরা নদীর ১০ কি.মি খননের জন্য চলতি মওসুমে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) ১কোটি ৯০লাখ টাকা বরাদ্দ করে। দরপত্রের মাধ্যমে ১০টি গ্রুপে ঠিকাদার ময়নাল হোসেন, মামুন মিয়া, শাহাদত হোসেন, মাসুদ রানা, মুক্তি, বিপ¬বসহ ১০ জন খননের কার্যাদেশ লাভ করেন। ওই নদীর উপর ত্রি-মোহনী ব্রীজের দক্ষিণে ৮কি.মি এবং উত্তরে ২কি.মি খনন কাজের জন্য ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানগুলো সাধারন শ্রমিক দিয়ে নাম মাত্র খনন করে। অনেক স্থানে শুধুমাত্র ঘাস তুলে পাড় বেঁধে দেয়া হয়। ওই নদীর ২৩ ও ৩২ গ্রুপ এ কোন প্রকার খনন কাজ করা হয়নি। অন্যান্য গ্র“পে খননে অনিয়মের অভিযোগে ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী একাধিকবার কাজ বন্ধ করে দেয়। সাইনবোর্ড দেয়ার বিধান থাকলেও তা দেয়া হয়নি। এ ব্যাপারে কাজ বন্ধ করে দেয়া চন্ডিপুরের শরিফুল, সুমন, রাঙ্গা, মশিউর, সাদেকুলসহ এলাকাবাসী জানান‘ নদী খনন নিয়ে ব্যাপক অনিয়ম করছে ঠিকাদার। শুধু নদীর দু’পাড়ের ঘাস কেটে পাড় বেঁধে সাইজ করা হয়েছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ২৭, ২৮, ২৯ ও ৩১নং গ্রুপে স্ক্যাবাডারের পরিবর্তে সাধারন শ্রমিক দিয়ে কোন রকমে জোড়াতালি দিয়ে খনন কাজ করা হয়েছে। তারপরও ওই সবগ্রুপে বিল প্রদান করা হয়েছে।

নদী খননে ৩টি গ্রুপের সাবঠীকা নেয়া ঠিকাদার গোলাম রব্বানী ইস্তাদুল বলেন ‘কাজ তো আমি একা করছি না। এসও সাহেব অন্য গ্রুপে শ্রমিক লাগিয়ে জোড়াতালি দিয়ে কাজ করেছেন। তাছাড়া অফিসকে ম্যানেজ করেই কাজ করা হচ্ছে। আমরা তো লাভ করবোই। কাজ বুঝে নেয়ার দায়িত্ব অফিসারের। অপরদিকে খনন কাজের শ্রমিক সর্দার আমিনুর রহমান বলেন‘ আমি এসও মাহবুবার রহমানের কাছে নদীর পাড় কেটে সাইজ করার সাব ঠিকা নিয়ে তাই করছি।

রংপুর পাউবো’র উপ-সহকারী প্রকৌশলী (এসও) মাহবুবুর রহমান বলেন‘ তথ্য নিয়ে কি করবেন। আমি আপনার কথাও বলেছি আপনার সাথে দেখা করবে। আপনি চিন্তা করবেন না !

মন্তব্য করুন


 

Link copied