উপস্থিত মহিমপাড়া এলাকার মতিউল ইসলাম নামের এক যুবক বলেন, ‘সরকার ২শ মিটার নদীর বাঁদ দিয়ে আর কোনো খবর নিচ্ছে না। তিস্তার ভাঙনে দহগ্রাম ছোট হয়ে আসছে। তাই স্থানীয় লোকজনের উদ্যোগে ও হুজুরের মাধ্যমে নদী ভাঙন ঠেকাতে কোরআন তেলাওয়াত, কোরবানী, দোয়া মাহফিল ও আল্লাহু লেখা ১লাখ ৬০ হাজার ময়দার গুটি তিস্তায় ফেলে ভাঙন থেকে রক্ষার জন্য আল্লাহর কাছে ফরিয়াদ জানানো হয়েছে। আল্লাহ চাইলেই সব কিছু করতে পারেন, এজন্যই এই আয়োজন করা হয়েছে।
এ দিকে আমির হোসেন, মোজাফ্ফর আলী, মনসুর হোসেন, আবুল কাশেম, আব্দুল লতিফ, লেবু মিয়া, আঞ্জু আরা, মায়া বেগম, মনিরা বেগম বিউটি, নীনাসহ অনেকের সাথে কথা হলে তারা সবাই এলাকাবাসী ও হুজুরের এই দোয়া মাহফিলকে আন্তরিকভাবে সহযোগিতা করেছেন বলে দাবি করেন। তারা আরো জানান, আল্লাহ ইচ্ছা করলে যে কোনো কিছুরই সমাধান দিতে পারেন। তাই আমরা সবাই বেঁচে থাকার জন্যই তিস্তার ভাঙন ঠেকাতে আল্লাহর কাছে ফরিয়াদ জানিয়েছে। দেখি, আল্লাহ কি করেন।
এই ধরনের পদ্ধতি সম্পর্কে জানতে চাইলে বুজুর্গ সৈয়দ শামসুল হক বলেন, আমরা আল্লাহ তা’লার কেতাব অনুসরন করে কোরবানী, আল্লাহু লেখা ময়দার গুটি তিস্তায় ফেলে সৃষ্টি কর্তা মহান আল্লাহর কাছে ফরিয়াদ জানিয়েছি। আল্লাহ যদি কবুল করেন, তাহলে অবশ্যই নদী ভাঙন বন্ধ বা নদী সরে যেতে পারে। যেহেতু সব কিছুরই সৃষ্টিকর্তা আল্লাহ তা’লা সেহেতু রক্ষারও মালিক তিনি। অতএব, আল্লাহ ইচ্ছা করলেই দহগ্রামের ভাঙন রোধ করতে পারেন।’
সৈয়দ শামসুল হকের বাড়ী রংপুর কেরানী পাড়া। তার দাবী মতে, পূর্ব পুরুষ হলো ভারতের হলদিবাড়ী পীর সৈয়দ একরামুল হক(রহ.)। তিনি তার নাতী।
এ ব্যাপারে দহগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাবীবুর রহমান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, আমি খোঁজখবর নিয়েছি, হুজুর সাহেব এবং স্থানীয় লোকজন নদীর ভাঙন থেকে রক্ষার জন্য কোরবানী ও তিস্তা নদীতে ১ লাখ ৬০ হাজার ময়দার গুটি ফেলে দোয়া মাহফিল করেছে।