আর্কাইভ  শুক্রবার ● ২৯ মার্চ ২০২৪ ● ১৫ চৈত্র ১৪৩০
আর্কাইভ   শুক্রবার ● ২৯ মার্চ ২০২৪
 width=
 

 

কুড়িগ্রামের খাবারে বেজায় খুশি ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামের খাবারে বেজায় খুশি ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের নির্ধারিত স্থান পরিদর্শন করলেন ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের নির্ধারিত স্থান পরিদর্শন করলেন ভুটানের রাজা

রানিকে নিয়ে কুড়িগ্রামে পৌঁছেছেন ভুটানের রাজা

রানিকে নিয়ে কুড়িগ্রামে পৌঁছেছেন ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামে সমৃদ্ধির হাতছানি

কুড়িগ্রামে সমৃদ্ধির হাতছানি

 width=
 
শিরোনাম: জমি রেজিস্ট্রি করে না দেয়ায় বাবাকে কবর দিতে ছেলের বাঁধা ॥ পুলিশের হস্তক্ষেপে দাফন সম্পন্ন       নীলফামারীতে স্বামীর প্রথম বিয়ের খবরে নববধূ দ্বিতীয় স্ত্রীর আত্মহত্যা ॥ স্বামী গ্রেপ্তার       রংপুরবাসীর জন্য সরকারি চাকরি, পদ ১৫৯       স্বাস্থ্যের রংপুর বিভাগীয় পরিচালক ফজলুল হক কারাগারে       কুড়িগ্রামের খাবারে বেজায় খুশি ভুটানের রাজা      

 width=
 

নাগেশ্বরীতে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নৈশ-প্রহরী নিয়োগে দেড় কোটি টাকার বাণিজ্য

মঙ্গলবার, ২৪ জুন ২০১৪, দুপুর ০২:৫৯

সংশ্লিষ্ট অফিস সুত্রে জানা গেছে, ২য় দফায় উপজেলার ৩০টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দপ্তরী কাম নৈশ্য-প্রহরী পদে নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। বিজ্ঞপ্তি মোতাবেক প্রতিটি বিদ্যালয়ে ৫ থেকে ১২ জন প্রার্থী চাকুরির জন্য আবেদন করেন। বিধি অনুযায়ী সাক্ষাতকার গ্রহণ শেষে তিন জনের নাম প্যানেল আকারে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট সাংসদ ও উপজেলা চেয়ারম্যানের অনুমোদন সাপেক্ষে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার কথা। অনুসন্ধানে জানা যায়, নিয়োগ প্রক্রিয়ায় জড়িতরা ৬ থেকে ৭ লাখ টাকা নিয়ে প্রার্থী নির্বাচন করেন। দরিদ্র এলাকা হওয়ায় অনেকে অর্থ প্রদানে দেরী করায় নিয়োগ প্রক্রিয়া প্রায় ৬ মাস পিছিয়ে যায়। গাগলা বালিকা সরকারী ও খেলারভিটা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অর্থ গ্রহনের বিষয়টি ফাঁস হওয়ায় কর্তৃপক্ষ তাৎক্ষনিকভাবে বিদ্যালয় দুটির নিয়োগ কার্যক্রম স্থগিত করেন। অভিযোগ রয়েছে, শাসক দলের হস্তক্ষেপে সংশ্লিষ্ট ক্লাস্টারের দায়িত্বে থাকা এটিও কেশব চন্দ্র ও আবুল কালাম আজাদকে অসুস্থ্য দেখিয়ে অন্য ক্লাস্টারের এটিও আব্দুর রাজ্জাকের মাধ্যমে নিয়োগ প্রক্রিয়া চুড়ান্ত করা হচ্ছে। আব্দুর রাজ্জাকের সাথে শাসক দলের নেতাকর্মীদের নিবীর সম্পর্ক থাকায় তারা তাকে পছন্দ করে নেন। মনিয়ার হাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মুক্তিযোদ্ধার সন্তান মোকছেদ আলী দপ্তরী কাম নৈশ-প্রহরী পদে আবেদন করে গত ১০ মে সাক্ষাৎকার বোর্ডে উপস্থিত হলে সেখানে প্রধান শিক্ষক, কমিটির সভাপতি ও সংশ্লিষ্ট সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা ৫ লাখ টাকা দিলে চাকুরী হবে বলে তাকে সাফ জানিয়ে দেন। বিষয়টি পরদিনই তিনি উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে লিখিতভাবে জানান।

কুটি বাগডাঙ্গা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অভিভাবক সদস্য জহির উদ্দিন জানান, ঐ বিদ্যালয়ে ১২ জন প্রার্থীর মধ্যে কুটিবাগডাঙ্গা এলাকার নুর মোহাম্মদ মিয়ার ছেলে মফিজুল হক ও সেকেন্দার আলীর ছেলে মোফাজ্জল হোসেনের বয়স ৩০ বছরের বেশী হলেও টাকার বিনিময়ে তাদের অগ্রাধিকার তালিকায় রাখা হয়েছে। একটি সুত্র নিশ্চিত করেছে, অন্য আবেদনকারীদের চাহিদামত টাকা দেয়ার সঙ্গতি না থাকায় সেখানে ঐ দুই ব্যক্তিকে রাখা হয়েছে। এ ছাড়াও সাক্ষাৎকার গ্রহনের দিন একই কায়দায় বাগডাঙ্গা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, চর নুনখাওয়া, কাছাড়ী পয়ড়া ডাঙ্গা, দক্ষিণ সুখাতী, লুছনী, নায়কেরহাট, কুটিবাগডাঙ্গা বিদ্যালয়ে সাক্ষাতকার বোর্ডে উপস্থিত সদস্যরা প্রকাশ্যে উৎকোচ দাবি করলে আবেদনকারীদের মাঝে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। এ ব্যাপারে তারা সংশ্লিষ্ট বিভাগে অভিযোগ করেছেন। একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেছে, স্থানীয় সাংসদ মোস্তাফিজুর রহমানের প্রতিনিধি নাগেশ্বরী পৌর মেয়র আব্দুর রহমান মিয়া ও নাগেশ্বরী উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি মোজাম্মেল হক প্রধান ৩২টি প্রাথমিক বিদ্যালয়কে ভাগ করে নিয়ে তাদের দলীয় অফিসে বসে প্রার্থী তালিকা চুড়ান্ত করেন। যারা টাকা দিতে ব্যর্থ হয়েছেন তাদের ভাগ্যে ঐ তালিকায় নাম ওঠেনি। এ দুর্নীতি সমন্বয়ের মূখ্য ভূমিকা পালন করেন উপজেলা আওয়ামীলীগের সফিকুল বারী জিন্নাহ। অন্যদিকে, উপজেলা শিক্ষা অফিসারের পক্ষে মুল ভূমিকায় রয়েছেন সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুর রাজ্জাক।

অনুসন্ধানে জানা যায়, মোটা দাগের এ দুর্নীতির টাকা ইতোমধ্যে কতিপয় নেতার পকেটস্থ হওয়ায় শাসকদল ও জাতীয় পার্টির মাঠ পর্যায়ের নেতাকর্মীদের মাঝে তীব্র অসন্তোষ দেখা দেয়। জনশ্রুতি রয়েছে, বিদ্যালয়গুলোর প্রধান শিক্ষক, সভাপতি এবং সংশ্লিষ্ট সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তারা আলাদা আলাদাভাবে প্রার্থীদের কাছ থেকে আগে-ভাগে টাকা নেয়ায় চুড়ান্ত তালিকায় নাম বাদ পড়ায় অনেকেই এখন টাকা আদায় করতে হিমশিম খাচ্ছে। কোথাও কোথাও টাকা আদায়কে কেন্দ্র করে অপ্রীতিকর ঘটনারও খবর পাওয়া গেছে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে উপজেলার প্রাথমিক শিক্ষা বিভাগে তোলপাড় শুরু হয়েছে। উপজেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি মোজাম্মেল হক প্রধান, পৌর মেয়র আব্দুর রহমান ও উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা তৈফিকুর রহমানকে একাধিকবার ফোন করেও পাওয়া যায়নি।

এটিও আব্দুর রাজ্জাক উৎকোচ গ্রহনের কথা অস্বীকার করে জানান, আমাকে সমাজে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য এমন কথা প্রচার করা হচ্ছে।

এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার আবু হায়াৎ মো: রহমতুল্লাহ জানান, গত ২ জুন ২৫টি বিদ্যালয়ের কাগজপত্র তার দপ্তরে পাঠানো হয়েছে, এ নিয়োগ নিয়ে কোন অভিযোগ কিংবা মামলা রয়েছে কিনা জানতে চেয়ে শিক্ষা অফিসারকে চিঠি দিয়েছি, জবাব না পাওয়ায় নিয়োগ প্রদানে বিলম্ব হচ্ছে।

মন্তব্য করুন


 

Link copied