আর্কাইভ  শুক্রবার ● ২৯ মার্চ ২০২৪ ● ১৫ চৈত্র ১৪৩০
আর্কাইভ   শুক্রবার ● ২৯ মার্চ ২০২৪
 width=
 
 width=
 
শিরোনাম: দিনাজপুরে ছিনতাইকৃত মালামাল উদ্ধারসহ ছিনতাইকারী চক্রের দুই সদস্য গ্রেপ্তার        জমি রেজিস্ট্রি করে না দেয়ায় বাবাকে কবর দিতে ছেলের বাঁধা ॥ পুলিশের হস্তক্ষেপে দাফন       নীলফামারীতে স্বামীর প্রথম বিয়ের খবরে নববধূ দ্বিতীয় স্ত্রীর আত্মহত্যা ॥ স্বামী গ্রেপ্তার       রংপুরবাসীর জন্য সরকারি চাকরি, পদ ১৫৯       স্বাস্থ্যের রংপুর বিভাগীয় পরিচালক ফজলুল হক কারাগারে      

 width=
 

সরকারী নিষেধাজ্ঞা লঙ্ঘন করে সীমান্তে পশুর হাট

মঙ্গলবার, ২৪ জুন ২০১৪, দুপুর ০৩:০৯

কুরবান আলী, দিনাজপুর ॥ দিনাজপুরের বিরল উপজেলার সীমান্তবর্তী শহরগ্রাম ইউনিয়েনে নাড়াবাড়ী হাটে সরকারী নিষেধাজ্ঞা লঙ্ঘন করে পশু কেনাবেচা হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।ইউনিয়েন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আকর গ্রামের তোফাজ্জল ইসলাম নাড়াবাড়ী হাটটি ইজারা নিয়েছেন।

৪নং শহরগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাফিজুল ইসলাম এবং এলাকাবাসীর কয়েকজন জানান, সরকারি নিষেধাজ্ঞা থাকলেও স্থানীয় সাংসদের নির্দেশে ওই পশুর হাট চলছে। হাফিজুল ইসলাম বলেন, সীমান্ত এলাকার এই হাটে পশুর হাট বসানোর জন্য ইজরাদার জেলা প্রশাসকের কাছে আবেদন করেছেন। ওই আবেদনপত্রে স্থানীয় সাংসদ কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, উপজেলা চেয়ারম্যান আ ফ ম বজলুল রশিদ, ভাইস চেয়ারম্যান আফজালুল আনাম ও ফিরোজা বেগম এবং উপজেলার ১১টি ইউপি’র চেয়ারম্যান সুপারিশ করেছেন।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, চলতি চলতি বছরের ২ ফেব্রুয়ারি বিরল উপজেলার নয়টি ইউনিয়নের ২৩টি হাটের ইজারার বিজ্ঞপ্তি দেয়া হয়। বিজ্ঞপ্তির শর্ত অনুযায়ী কালিয়াগঞ্জ ও নাড়াবাড়ী হাটে পশু (গরু-মহিষ) বেচাকেনা করা যাবে না। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে জানা যায়, হাট ইজারার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের ২৩ দিন পর ২৫ ফেব্রুয়রী ইউএনও’র কার্যালয়ে প্রকাশ্যে হাটগুলো ডাক হয়। এতে বিরেল উপজেলার শহরগ্রাম ইউনিয়নের নাড়াবাড়ী হাটের সরকারি ইজারামূল্য ছিল চার লাখ টাকা। সর্বোচ্চ ডাককারী হিসেবে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আকর গ্রামের তোফাজ্জল হোসেন হাটটি ১২ লাখ ১১ হাজার টাকায় ডেকে নেন। নাড়াবাড়ী হাটে অবাধে গরু, মহিষ, ছাগল ও ভেড়া বেচাকেনা চলছে। এ সময় স্থানীয় কয়েকজন জানান, ইজারা নেওয়ার পর থেকে ইজারাদার এই হাটে পশু কেনাবেচা শুরু করেন। প্রতি শুক্রবার পশুর হাট বসে। প্রতি হাটবারে পশু বেচাকেনা বাবদ ৩০ থেকে ৪০ হাজার টাকা আয় হয়।

হাট ইজরাদার তোফাজ্জল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, আমি পশুর হাট বসানোর ব্যাপারে ইউপি চেয়ারম্যান, উপজেলা চেয়ারম্যানের সুপারিশ নিয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার এবং জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে আবেদন করেছি। আশা করি, শিগগির অনুমোদন পেয়ে যাব। অনুমোদন পাওয়ার আগে গরু-ছাগল বিক্রি করছেন কেন? এ প্রশ্নের সন্তোষজনক উত্তর তিনি দিতে পারেননি।

ইউএনও আব্দুল্লাহ আল খায়রুম বলেন, ইজারা বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী নাড়াবাড়ী হাটে পশু বেচাকেনার ওপর নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। এরপরও পশুর হটা বসার খবর পেয়ে আমি তা বন্ধ করতে ২৪ এপ্রিল স্থোনীয় ইউপি চেয়ারম্যান, সহকারী কমিশনার (ভূমি) এবং থানার ওসিকে চিঠি দিয়েছি। তবে এরপরও পশুর হাট কী কারণে বন্ধ হচ্ছে না এব্যাপারে তিনি কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি।

এব্যাপারে দিনাজপুরের জেলা প্রশাসক আহমদ শামীম আল রাজীর মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

মন্তব্য করুন


 

Link copied