আর্কাইভ  বৃহস্পতিবার ● ১৮ এপ্রিল ২০২৪ ● ৫ বৈশাখ ১৪৩১
আর্কাইভ   বৃহস্পতিবার ● ১৮ এপ্রিল ২০২৪
 width=
 
 width=
 
শিরোনাম: খরার ঝুঁকিতে রংপুর অঞ্চল       সার্ভার ডাউন: রসিকে জন্ম নিবন্ধন নিয়ে ভোগান্তি চরমে       রংপুরে ফটোসাংবাদিক ফিরোজ চৌধুরীর একক আলোকচিত্র প্রদর্শনী       ডোমার ও ডিমলা উপজেলা নির্বাচনে ৩৫ জনের প্রার্থীতা বৈধ ॥ চেয়ারম্যান পদে ১২ জনের মধ্যে আওয়ামীলীগের ৭ জন প্রার্থী       নীলফামারীতে ঐতিহাসিক মুজিব নগর দিবস পালন      

 width=
 

আজও ফিরে পায়নি ছিটমহলবাসী তাদের মৌলিক অধিকার: এখনো চলছে অত্যাচার

বৃহস্পতিবার, ২৬ জুন ২০১৪, সকাল ০৭:৩০

যাতায়াতের সুযোগ পেলেও এখনো পুরো মুক্তির স্বাদ পায়নি দেশের বহুল আলোচিত ছিটমহল দহগ্রামবাসী। তারা ফিরে পায়নি তাদের মৌলিক অধিকার গুলো। এর অন্যতম কারণ ভারতের সংসদে স্থল সীমান্ত চুক্তিটি’র (এলবিএ) অনুমোদন না পাওয়া। এটি সে দেশের সংসদে অনুমোদিত হলেই বাস্তবায়ন শুরু হবে। এতে ভারত ও বাংলাদেশের অধীনে থাকা ১৬২ টি ছিটমহলের লক্ষাধিক মানুষ ফিরে পাবে তাদের নাগরিকত্ব, মানবিক ও মৌলিক অধিকার। তাই দহগ্রাম ছিটমহলবাসীর বিশেষ অনুরোধ যত দ্রুত সম্ভব ভারতীয় সংসদে কূটনৈতিক বা রাজনৈতিক বিবেচনার ঊর্ধ্বে উঠে মানবিক দিক বিবেচনা করে দ্রুত এলবিএ’র অনুমোদন দেয়া হোক।

দহগ্রাম এলাকায় গিয়ে সেখানকার বয়স্ক ব্যক্তিদের সঙ্গে আলাপ করে জানা যায়, ১৯৪৭ সালে ভারত-পাকিস্তান নামক দুটি দেশ ভাগের পর থেকে ১৯৯২ সাল পর্যন্ত প্রায় ৪৫ বছর লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার দহগ্রাাম ও আঙ্গোরপোতা দুটি ছিটমহলের ১৭ হাজার মানুষের অবাধ যাতায়াতের সুযোগ ছিল না। ১৯৯২ সালের ২৬ জুন বিএনপি সরকারে আমলে রেশনিং পদ্ধতিতে ‘তিনবিঘা করিডোর’ এক ঘণ্টা পর পর দিনে ৬ ঘণ্টা খোলা রাখা শুরু হয়। ২০০১ সালের ২১ এপ্রিলে আরো ৬ ঘণ্টা করিডোর গেট খোলা রাখার সিদ্ধান্ত হয়। ২০১১ সালে ভারতের প্রধানমন্ত্রী ড. মনমোহন সিং বাংলাদেশ সফরে এলে গেটটি ২৪ ঘণ্টা খোলা রাখার সিদ্ধান্ত হয়। ওcitmahal borderই বছরের ১৯ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ‘দহগ্রাম ও আঙ্গোরপোতা’ সফরের মধ্য দিয়ে এ গেট ২৪ ঘণ্টা ব্যবহারের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন।

দহগ্রাম-আঙ্গোরপোতা সংগ্রাম কমিটি’র সম্পাদক রেজানুর রহামান রেজা বলেন, এখনো হতাশায় ভুগছেন দহগ্রামের মানুষ। দৈর্ঘ্যে ১৭৮ ও প্রস্থে ৮৫ মিটার তিনবিঘার জমিটুকু লিজ দেয় ভারত। কিন্তু শুরু থেকে এখনো প্রস্থে মাত্র ৮ ফুট পাকা রাস্তাটুকু ব্যবহারের সুযোগ পাচ্ছে বাংলাদেশিরা। তিনি বলেন, আমরা করিডোরটি ৯৯ বছরের জন্য লিজ নিয়েছি। এর মধ্যে ২১ বছর চলে গেছে। লিজের সময় শেষ হলে কি হবে? আমরা কি আবার যাতায়াতের সুযোগ হারাব?

দহগ্রামের স্কুল শিক্ষক মোজাম্মেল হোসেন বলেন, আমার কাছে সবচেয়ে বড় পাওয়া এই ২৬ জুনের স্বাধীনতা। নিজভূমিতে পরবাসী যে সকল ছিটমহলের লোকজন এখনো মূল ভূখণ্ডের সঙ্গে অবাধে চলাচল করতে পারে না তারাও যেন শিগগিরই চলাচল করতে পারে, এ ব্যাপারে উদ্যোগ গ্রহণের জন্য সরকারের কাছে দাবি জানাচ্ছি।

দহগ্রাম ইউনিয়ন চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান বলেন, তিনবিঘা করিডোরের মাধ্যমে যাতায়াতে কিছুটা মুক্তির স্বাদ পেলেও তাদের মৌলিক অধিকার মেলেনি। বিএসএফ বাংলাদেশির চলাফেরা পর্যবেক্ষণ করে মানসিক অত্যাচার করছে।

মন্তব্য করুন


 

Link copied