আর্কাইভ  শুক্রবার ● ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ● ৬ বৈশাখ ১৪৩১
আর্কাইভ   শুক্রবার ● ১৯ এপ্রিল ২০২৪
 width=
 
 width=
 
শিরোনাম: পলাশবাড়ীতে আসামির ছুরিকাঘাতে বাদীর মৃত্যু, গ্রেফতার ১       মন্ত্রী-সংসদ সদস্যদের সন্তান-স্বজনের ভোটে না দাঁড়ানোর নির্দেশ       ভোজ্যতেলের দাম বাড়ল, খোলা তেলে সুখবর       বিএনপি নেতা সোহেলের নিঃশর্ত মুক্তি দাবিতে রংপুরে  মানববন্ধন ও সমাবেশ        খরার ঝুঁকিতে রংপুর অঞ্চল      

 width=
 

ডিমলায় শিক্ষকের বাড়ি থেকে স্কুল ফিডিং এর চুরি যাওয়া বিস্কুট উদ্ধার

রবিবার, ১৩ জানুয়ারী ২০১৩, রাত ১০:৩৯

নিজস্ব সংবাদদাতা,নীলফামারী॥ নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রাথমিক বিদ্যালয়ের স্কুল ফিডিং প্রকল্পের সরকারী বিস্কুট চুরির ঘটনায় প্রতিরোধ গড়ে তুলে ৩ ঘণ্টা পর অবশেষে শিক্ষকের বাড়ী থেকে বিস্কুট উদ্ধার করা হয়েছে।

রবিবার এ নিয়ে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা বিভাগে তোলপাড় শুরু হয়। এলাকাবাসীর অভিযোগ শনিবার রাতে রূপাহারা কামারেরডাঙ্গা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সারওয়ার ইসলাম, সহকারী শিক্ষক মকছেদ আলী ও সাইফুল ইসলাম বিদ্যালয়ে রক্ষিত স্কুল ফিডিং প্রকল্পের ২ হাজার ৬৬৯ প্যাকেট বিস্কুট ভাগ বাটেয়ারা করে নিজেরা নিয়ে যায়। এ ঘটনায় তারা দেখে ফেলে রবিবার সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৪ টা পর্যন্ত বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সহ ৩ শিক্ষক কে অবরোধ করে রাখে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যান উপজেলার প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) সেলিনা বেগম, সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা সোহেল শাহাজাদা, উপজেলা রিসোর্স সেন্টারের ইন্সপেক্টর সুফিয়া বেগম, বেসরকারি সংস্থা আরডিআরএসের মনিটরিং কর্মকর্তা রাহেলা খাতুন, সোহরাব হোসেন, রওশন আরা, রুবাইদা সুলতানা। তারা বিদ্যালয়ের বিস্কুটের স্টক রেজিস্টার ও বিতরণে ব্যাপক অনিয়মের চিত্র লক্ষ্য করেন। বিকাল ৪টায় সহকারী শিক্ষক মোকছেদ আলী বাড়ী থেকে ৬শ প্যাকেট স্কুলফিডিং প্রকল্পের বিস্কুট উদ্ধার করে তারা।

অভিযোগ মতে সরকারের পক্ষে স্কুল ফিডিং এর জন্য টিফিনের সময় বিনামূল্যে বিস্কুট দেয়া হয় প্রতিটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। যার দায়িত্ব পালন করে বেসরকারি সংস্থা আরডিআরএস। এই সংস্থা প্রতি ৭ দিনের বিস্কুট ছাত্রছাত্রীদের সংখ্যার উপর প্রতিটি বিদ্যালয়ে আগাম প্রদান করে আসছে। অভিযোগ মতে চলতি নতুন বছরের গত ১ জানুয়ারি থেকে ৭ জানুয়ারি পর্যন্ত উক্ত বিদ্যালয়ে ৩০৫জন শিক্ষার্থীকে ২হাজার ৬৬৯ প্যাকেট বিস্কুট প্রদান করে আরডিআরএস। কিন্তু এই ৭দিন ওই বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা খাতায় বিস্কুট বিতরণ দেখিয়ে তা নিজেরা শনিবার নিয়ে চলে যায়। দুই শিক্ষক বিস্কুট ফেরত দিলেও এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত সহকারী শিক্ষক মোকছেদ আলী ৭শ ২৬প্যাকেট বিস্কুট উদ্ধার করতে পারেনি শিক্ষা বিভাগ। উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সেলিনা বেগম জানায়, বিস্কুট চুরির অভিযোগে সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা সোহেল শাহাজাদাকে আহবায়ক করে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। আরডিআরএসের মনিটরিং কর্মকর্তা রাহেলা বেগম জানায়, চলতি বছরের ১ থেকে ৭ জানুয়ারি ৭ কার্যদিবসে স্কুল ফিডিং এর বিস্কুট বিতরণ না করে ভুয়া প্রতিবেদন দিয়ে ২হাজার ৬৬৯ প্যাকেট বিস্কুট আত্মসাৎ করার চেষ্টা করে বিদ্যালয়ের ৩জন শিক্ষক। এর মধ্যে রবিবার উদ্ধার করা হয় ১হাজার ৯৪৩ প্যাকেট। বাকীটা এখনও উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।

মন্তব্য করুন


 

Link copied