ইনজামাম-উল-হক নির্ণয়,নীলফামারী ২ জুলাই॥ নীলফামারীর ডোমার রেলষ্টেশনে বুধবার দুপুরে ষ্টেশন মাষ্টারে সাথে খুলনা রকেট মেইল ট্রেনের ট্রাফিক ইন্সপেক্টর কমার্শিয়াল (টি,আই,সি-সান্তাহার) মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। অভিযোগ উঠেছে অডিটের নামে ওই টিআইসি ষ্টেশন মাষ্টারের কাছে ঘুষ দাবি করায় এ ঘটনার সুত্রপাত হয়।
সুত্র মতে বুধবার সকাল সাড়ে ১১টায় খুলনা রকেট মেইল ট্রেনের টি,সি,আই বদরুল আলম সান্তাহার থেকে অডিটের জন্য ডোমার রেলষ্টেশনে আসেন ।অডিট শেষে দুপুরে ডোমার ষ্টেশন মাষ্টার আনোয়ার হোসেনের কাছে ঘুষ হিসাবে মোটা অংকের অর্থ দাবী করলে ষ্টেশন মাষ্টার এর প্রতিবাদ করেন। এনিয়ে তাদের মধ্যে তর্ক বির্তক থেকে হাতাহাতি শুরু হয়। এ সময় টি,সি,আই বদরুল আলম ষ্টেশনের প্লাটফর্মের নীচে পড়ে গেলে আহত হন।
ডোমার রেলষ্টেশন বুকিং সহকারী মাহবুব রহমান ও আব্দুর রহমান জানান, অতিরিক্ত টাকা চাওয়াকে কেন্দ্র এ ঘটনা ঘটেছে।
ডোমারের কাচাঁমাল ব্যবসায়ী ইব্রাহীম আলীর অভিযোগ, খুলনাগামী রকেট মেইল ট্রেনে কাচামাল পরিবহনে অতিরিক্ত অর্থ না দিলেই পে আন্ডার চার্জ করেন টিআইসি বদরুল।এতে ব্যবসায়ীরা আর্থিক ক্ষতিসহ বিভিন্ন ভাবে হয়রানির শিকার হয় । ফলে টিআইসির এমন অত্যাচারে কাচাঁমাল ব্যবসায়ীরা পন্য পরিবহনে ট্রেনের বদলে ট্রাকে মালামাল পরিবহন করতে বাধ্য হচ্ছে ।এতে বাংলাদেশ রেলওয়ে রাজস্ব আদায়ে ব্যাপক ক্ষতির সম্মক্ষিন হচ্ছে ।নষ্ট হচ্ছে রেলওয়ের ভাবমুর্তি।
ডোমার রেলস্টেশন মাষ্টার আনোয়ার হোসেন জানান,অডিট শেষে অতিরিক্ত অর্থ দাবী করে না পেয়ে টিআইসি বদরুল আলম আমাকে খারাপ ভাষায় গালিগালাজ করতে করতে এক পর্যায় ষ্টেশনের প্লাটফরমের নিচে পড়ে গিয়ে আহত হয় ।তাকে কোন মারপিট করা হয়নি।
অপর দিকে আহত টি,আই,সি বদরুল আলমের সাথে বিকাল সাড়ে ৪টায় মুঠোফোনে কথা হলে তিনি সাংবাদিকদের জানান,এর আগে অডিটে ডোমার ষ্টেশন মাষ্টারের বিরুদ্ধে চার্জশীর্ট হয় ।তখন থেকেই তিনি আমার বিরুদ্ধে ক্ষ্যাপা ছিল । বুধবার অডিটে এসে দেখি ৫০ হাজার টাকার গরমিল। রিপোর্ট লিখে দুপুরে ফিরে আসার পথে আমাকে কিলঘুষি মেরে প্লাটফর্মের নিচে ফেলে দেয়।ডোমারে একটি ক্লিনিকে প্রাথমিক চিকিৎসার পর আমি এখন রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হয়েছি। আমার মাথায় প্রচন্ড আঘাত রয়েছে।