আর্কাইভ  শনিবার ● ২০ এপ্রিল ২০২৪ ● ৭ বৈশাখ ১৪৩১
আর্কাইভ   শনিবার ● ২০ এপ্রিল ২০২৪
 width=
 
 width=
 
শিরোনাম: নীলফামারীতে গোপন বৈঠক থেকে জামায়াতের ৩ নেতা গ্রেপ্তার       পলাশবাড়ীতে আসামির ছুরিকাঘাতে বাদীর মৃত্যু, গ্রেফতার ১       মন্ত্রী-সংসদ সদস্যদের সন্তান-স্বজনের ভোটে না দাঁড়ানোর নির্দেশ       ভোজ্যতেলের দাম বাড়ল, খোলা তেলে সুখবর       বিএনপি নেতা সোহেলের নিঃশর্ত মুক্তি দাবিতে রংপুরে  মানববন্ধন ও সমাবেশ       

 width=
 

দিনাজপুরে সাড়ে ১১ কোটি টাকার ৪২৮টি প্রকল্পের অতিদরিদ্রদের অর্থ হরিলুট

বৃহস্পতিবার, ৩ জুলাই ২০১৪, দুপুর ১২:৩৯

দিনাজপুর জেলা ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা দপ্তর সূত্রে জানা যায় যে, জেলার ১৩টি উপজেলার ১০২টি ইউনিয়নে অতি দরিদ্রদের কর্মসংস্থান প্রকল্পের আওতায় ৪শ’২৮টি প্রকল্প নেয়া হয়েছে। এসব প্রকল্পে ১৪ হাজার ১শ’২২ জন শ্রমিকের জন্য বরাদ্দ রাখা হয় ১১ কোটি ২৯ লক্ষ ৭৬ হাজার টাকা। আর প্রকল্পের সর্দারদের জন্য মুজুরী বাবদ বরাদ্দ রয়েছে ১৮ লক্ষ ১৮ হাজার টাকা। ১৯ এপ্রিল থেকে শুরু হওয়া ৪শ’২৮টি প্রকল্পের কাজ শেষ হবে ২০ জুন। জব (মুজুরী) কার্ড দেখিয়ে তালিকাভুক্ত শ্রমিকেরা প্রতি বৃহস্পতিবার নির্ধারিত ব্যাংক থেকে সাপ্তাহিক মুজুরী বাবদ অর্থ উত্তোলন করছেন। এই প্রকল্পের কাজের পাশাপাশি কালভার্ট, বিদ্যালয় সংস্কার ও মেরামতি কাজের জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে ১ কোটি ২৬ লক্ষ ৮০ হাজার টাকা।

সংশ্লিষ্ট দপ্তর সূত্রে জানা যায় সদর উপজেলার ৪৩টি প্রকল্পে ২ হাজার ১শ’১২ জন শ্রমিক, বিরলে ৪৩টি প্রকল্পে ১হাজার ১শ’৯৪ জন, বোচাগঞ্জে ৫৪টি প্রকল্পে ৭শ’৩২ জন, কাহারোলে ৩৭টি প্রকল্পে ৭শ’৩০ জন, বীরগঞ্জে ৩২টি প্রকল্পে ১হাজার ৬শ’৬৩ জন, খানসামায় ২৫টি প্রকল্পে ৯শ’১২ জন, চিরিরবন্দরে ৪৮টি প্রকল্পে ১হাজার ৩শ’৮৩ জন, পার্বতীপুরে ৩৪টি প্রকল্পে ১হাজার৭শ’২৯ জন, ফুলবাড়ীতে ২৯টি প্রকল্পে ৭শ’৮২ জন, বিরামপুরে ২৫টি প্রকল্পে ৭শ’৯৬ জন, নবাবগঞ্জে ৩০ টি প্রকল্পে ১হাজার ১শ’২৭ জন, হাকিমপুরে ১৪টি প্রকল্পে ৩শ’৮৫ জন এবং ঘোড়াঘাট উপজেলায় ১৪টি প্রকল্পে ৫শ’৭৭ জন শ্রমিককে তালিকাভুক্ত করা হয়। শ্রমিকেরা প্রত্যেকে দৈনিক ২শ টাকা হারে মুজুরী গ্রহণ করছেন।

অতি দরিদ্রদের কর্মসংস্থানের এই প্রকল্পের শ্রমিকদের বরাদ্দকৃত অর্থ ভাগ বাটোয়ারা করে নেয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। চিরিরবন্দর উপজেলার ১২টি ইউনিয়নে ১ হাজার ৩শ’৮৩ জন শ্রমিকের তালিকা কাগজে কলমে সংরক্ষন করা হলেও মাঠে কাজ করছে অর্ধেক সংখ্যক শ্রমিক। এদের অর্থ ইউনিয়ন পরিষদের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসের কর্মকর্তারা নিজেদের মধ্যে ভাগবাটোয়ারা করে নিচ্ছে। প্রকল্প এলাকায় সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে শ্রমিকের সংখ্যা বরাদ্দকৃত অর্থের পরিমান ও সভাপতির নাম প্রকাশ্যে ঝুলিয়ে রাখার বিধান থাকলেও কেউই তা মানছে না। হত দরিদ্রদের বাদ দিয়ে কয়েকটি ইউনিয়নে দলীয় কর্মী ও অবস্থাপন্নদের শ্রমিক হিসেবে তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। আব্দুলপুর ইউনিয়নের বালাপাড়া রাস্তায় ৩৩ জনের স্থলে ১৭ জন, লালদিঘি পাথারি রাস্তায় ১৬ জনের স্থলে ৭ জন, অমরপুর ইউনিয়নের বাসুদেবপুর বেলতলি হয়ে সন্তোষপাড়া-রাজাপুর পাকা রাস্তা পর্যন্ত কাজে ১৬ জনের স্থলে ৫ জন এবং ভিয়াইল ইউনিয়নের কাকড়া নদীর ঘাট থেকে ইউপি মেম্বার মোকসেদুলের বাড়ী পর্যন্ত রাস্তা সংস্কারের কাজে ৪৩ জন শ্রমিকের স্থলে কাজ করেছে ২৬ জন। চিরিরবন্দর উপজেলাসহ জেলার অন্যান্য উপজেলায় একই অবস্থা ছিল। কিন্তু প্রকল্পের বাস্তবায়নের দায়িত্বে নিয়োজিত কর্মকর্তারা এই অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন প্রথম দিকে কিছু অসুবিধা থাকলেও পরে তা জোরদার মনিটরিং এর মাধ্যমে দূর করা হয়েছে। ৬০ দিন ব্যাপী এই কর্মসংস্থানের বিপুল অংকের টাকা অতিদরিদ্রদের পকেটে যথাযথ ভাবে না গেলেও লাভবান হয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।

এ ব্যাপারে জেলা ত্রান ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা মোঃ হাম্মাদুল বাকী বলেন, কোথাও থেকে এই প্রকল্পের বিরুদ্ধে কোন ধরনের অভিযোগ পাওয়া যায়নি।

মন্তব্য করুন


 

Link copied