সোমবার, ১৪ জানুয়ারী ২০১৩, রাত ১১:২৯
সোমবার দুপুর ১২ টা থেকে বিকাল তিনটা পর্যন্ত ভারতের কোচবিহার জেলার কুচলিবাড়ির তিস্তা বস্তি এলাকায় এই যৌথ-সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় বাংলাদেশের পক্ষে ৫ সদস্যের নেতৃত্ব দেন বাংলাদেশের পানি উন্নয়ন বোর্ডের উত্তরাঞ্চল চীফ ইঞ্জিনিয়ার সৈয়দ আহসান আলী ও ভারতের ৫ সদস্য প্রতিনিধির নেতৃত্ব দেন কোচবিহার-জলপাইগুড়ি পানি উন্নয়ন বোর্ডের চীফ ইঞ্জিনিয়ার এন. সি চ্যাটার্জি। ওই সভায় উপস্থিত থাকা নীলফামারীর ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মাহবুব রহমান জানান যৌথভাবে তিস্তার বাম তীরে ভারত বাংলাদেশের যৌথ বাঁধ নির্মাণে সভায় সিদ্ধান্ত হয় যে বাংলাদেশ অংশে নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার টেপাখড়িবাড়ি ইউনিয়নের চড়খড়িবাড়ি থেকে ভারতের কুচবিহার জেলার কুচলিবাড়ি পর্যন্ত ৭৯৮ নম্বর সীমান্ত পিলারের কাছে দুই হাজার ছয়শ ৬০ মিটার এ বাঁধ নির্মাণ করা হবে। এর মধ্যে ২৩ শ ৬০ মিটার বাংলাদেশ এবং ভারতের কুচলিবাড়ি অংশের তিনশত মিটার অংশ ভারত নির্মাণ করবে। পানি উন্নয়ন বোর্ড ডালিয়া ডিভিশনের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মাঈন উদ্দিন মন্ডল জানান, বাংলাদেশ অংশে ২৩শ ৬০ কিলোমিটার বাঁধ নির্মাণের জন্য ১৪ কোটি টাকার প্রকল্প তৈরি করে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে জমা দেয়া হয়েছে। এটির অনুমোদন পাওয়া গেলেই কাজ শুরু করা হবে। উল্লেখ যে চলতি বছরের বন্যার সময় হঠাৎ করে তিস্তা নতুন চ্যানেল সৃষ্টি করে ভারতের কুচলিবাড়ি ও বাংলাদেশের টেপাখড়িবাড়ির বামতীরের ৭৯৮ নম্বর সীমান্ত পিলার দিয়ে প্রবাহিত হয়ে বাংলাদেশের ১২ টি গ্রামের উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। ফলে অসংখ্য ঘরবাড়ি আবাদী জমি পুল কালভার্ট বিধ্বস্ত করে। অপর দিকে ভারতের তারকাটা বেড়া বিধ্বস্ত হয়। এ ঘটনায় উভয় দেশ যৌথ বাঁধ নির্মাণের বিষয়টি অনুধাবন করেন।
মন্তব্য করুন
টপ নিউজ’র আরো খবর
সংশ্লিষ্ট
ভারত থেকে ৩ দিনের মধ্যে পেঁয়াজ আসবে: বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী
পেঁয়াজ রপ্তানি অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করল ভারত
মালিকপক্ষকে জলদস্যুদের ফোন, যে কথা হলো
কমলো সোনার দাম