লালমনিরহাটে চাল পাচারের সময় সরকারি খাদ্য গুদামের কর্মকর্তাসহ আটক ৪

জানা গেছে, সরকারি খাদ্য গুদাম থেকে চাল পাচারের খবর পেয়ে রাত সাড়ে ১১টায় পাটগ্রাম উপজেলা চেয়ারম্যান রুহুল আমীন বাবুল, ইউএনও রফিকুল হক, উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা ওছমান গণি, থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমিরুজ্জামান আমির পৌরসভার কোটতলী এলাকায় আসেন। চারজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ার পরও আটক না করতে চাইলে উত্তেজিত জনতা উপজেলা চেয়ারম্যানসহ কর্মকর্তাদের প্রায় ৫ ঘণ্টা অবরুদ্ধ করে রাখে। পরে পুলিশ অভিযুক্তদের আটক করে থানায় নিয়ে গেলে রাত সাড়ে ৩টায় পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।

পাটগ্রাম খাদ্য গুদাম কর্মকর্তা আব্দুছ ছালাম মিঞা নিজেকে নির্দোষ দাবি করে বলেন, ‘পাঁচশ বস্তা স্বর্ণা ধানের চিকন চালের পরিবর্তে পাঁচশ বস্তা মোটা হিরা ধানের চাল বদল করে নিয়ে যাচ্ছিল বেলাল হোসেন। বিষয়টি আসলে আমার ভুল হয়েছে। দয়া করে আপনারা এটা নিয়ে কোনো সংবাদ ছাপাবেন না। পরে আপনাদের সঙ্গে আমি দেখা করব।’

পাটগ্রাম উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা ওছমান গণি জানান, বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের অবহিত করা হয়েছে।

পাটগ্রাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রফিকুল হক ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে গোডাউন সিলগালা করে অভিযুক্তদেরসহ চালের ট্রাকটি পুলিশের হেফাজতে আটক রয়েছে। বুধবার রংপুর বিভাগীয় ও লালমনিরহাট জেলা খাদ্য অধিদফতরের কর্মকর্তাদের আসতে বলা হয়েছে। কর্মকর্তারা আসার পর অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

পাটগ্রাম উপজেলা চেয়ারম্যান রুহুল আমীন বাবুল বলেন, ‘পাটগ্রাম উপজেলার সরকারি খাদ্য গুদাম থেকে ৫০ কেজি ওজনের পাঁচশ বস্তা চাল পাচার ঘটনাটির ব্যাপারে প্রাথমিক তথ্য-প্রমাণ পাওয়া গেছে। বিষয়টি আইনগত ব্যবস্থার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে বলা হয়েছে।’

পাটগ্রাম থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আমিরুজ্জামান বলেন, ‘গুদাম কর্মকর্তাসহ কর্মচারী ও বেলাল হোসেনের ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে। মামলার প্রস্তুতি চলছে।’