পঞ্চগড় প্রতিনিধি: সারা বছরই টুপির চাহিদা থাকে ধর্ম প্রাণ মানুষের কাছে। তবে এর চাহিদা বেড়ে যায় মুসলমানদের ধর্মীয় উৎসব শবে বরাত, ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহার সময়। ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে টুপির এই চাহিদার মওসুমে পঞ্চগড়ের সুচী শিল্প টুপি কারখানা গুলো এখন দিনরাত ব্যস্ত টুপি তৈরীর কাজে। দেশের উত্তর সীমান্তের তেঁতুলিয়া উপজেলার আজিজনগরের মাথাফাটা গ্রামের টুপি পল্লী এখন সরগরম।
পঞ্চগড়ের গ্রামীণ জনপদে তৈরী নিত্য নতুন ডিজাইনের উন্নত মানের টুপি দেশে এবং দেশের বাইরে প্রচুর চাহিদা রয়েছে। ১৯৯১ সালে পঞ্চগড় জেলার তেঁতুলিয়া উপজেলার আজিজনগর মাথাফাটা গ্রামে প্রথম টুপি তৈরির কারখানা গড়ে উঠে।
৯৫ সাল থেকে বানিজ্যিক ভিত্তিতে এখানকার কারখানা গুলোতে টুপি তৈরী শুরু হয়। শিল্প নৈপুন্য কারু খচিত উন্নতমানের ও সৌন্দয্যের কারনে তেতুলিয়ার টুপির চাহিদা দেশের সর্বত্র রয়েছে। দেশের গন্ডি পেরিয়ে তেতুলিয়ার টুপি এখন রপ্তানি হচ্ছে বিদেশে। সৌদি আরব, মিশর, কুয়েত, ইন্দোনেশিয়া, তাজাকিস্থান, পাকিস্থান সহ মধ্যপ্রাচ্যের বেশ কয়েকটি দেশে রপ্তানী হচ্ছে এই টুপি।
শুরুতেই আলবায়াত নামের একটি কারখানা গড়ে উঠলেও বর্তমানে ১০ থেকে ১২ টি টুপি কারখানা গড়ে উঠেছে তেঁতুলিয়ার এই সীমান্ত গ্রামে। অবহেলিত একটি গ্রামে ১০/১২ টি সুচীশিল্প টুপি কারখানা গড়ে উঠায় অনেক মানুষের কর্ম সংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে এখানে।
এসব কারখানায় বিভিন্ন ভাবে কাজ করছে এলাকার শিক্ষিত বেকার যুব-যুবতি ও কর্মহীন মানুষেরা। ফলে এলাকার বেকার সমস্যার সমাধান সহ অবসর সময়ে কাজের মাধ্যমে বাড়তি আয়ের পথ সুগম হয়েছে। পাশাপাশি অর্জন হচ্ছে বৈদেশীক মুদ্রা।
আকর্ষিক ভাবে জিনিস পত্রের দাম বেড়ে যাওয়া সহ নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুত সরবরাহ পাশাপাশি সরকারের আর্থিক সহায়তার অভাবে এই শিল্পটি বর্তমানে