আর্কাইভ  শুক্রবার ● ২৯ মার্চ ২০২৪ ● ১৫ চৈত্র ১৪৩০
আর্কাইভ   শুক্রবার ● ২৯ মার্চ ২০২৪
 width=
 

 

কুড়িগ্রামের খাবারে বেজায় খুশি ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামের খাবারে বেজায় খুশি ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের নির্ধারিত স্থান পরিদর্শন করলেন ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের নির্ধারিত স্থান পরিদর্শন করলেন ভুটানের রাজা

রানিকে নিয়ে কুড়িগ্রামে পৌঁছেছেন ভুটানের রাজা

রানিকে নিয়ে কুড়িগ্রামে পৌঁছেছেন ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামে সমৃদ্ধির হাতছানি

কুড়িগ্রামে সমৃদ্ধির হাতছানি

 width=
 
শিরোনাম: স্বাস্থ্যের রংপুর বিভাগীয় পরিচালক ফজলুল হক কারাগারে       কুড়িগ্রামের খাবারে বেজায় খুশি ভুটানের রাজা       লালমনিরহাটে পুকুরে জাল ফেলতেই জালে উঠে এলো যুবকের মরদেহ       কুড়িগ্রামে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের নির্ধারিত স্থান পরিদর্শন করলেন ভুটানের রাজা       রানিকে নিয়ে কুড়িগ্রামে পৌঁছেছেন ভুটানের রাজা      

 width=
 

ইটালির গাড়িপাগল মোরেনো ফিলান্ডির কীর্তি

শনিবার, ১২ জুলাই ২০১৪, রাত ১২:৩০

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ডেস্ক:  মোরেনো ফিলান্ডি একটি গাড়ির ওয়ার্কশপের মালিক৷ কিন্তু অবসর সময়ে তৈরি করেন এমন সব গাড়ি যেগুলো দেখলে জেমস বন্ড কিংবা ব্যাটম্যানের জিভেও জল আসবে৷মোরেনো ফিলান্ডির বাস ইটালির বোলোনিয়া শহরের উত্তরে অ্যাপেনাইন পর্বতাঞ্চলের একটি ছোট শহরে৷ পাহাড়ি এলাকার সার্পেন্টাইন রাস্তা, সেই রাস্তায় চলেছে মোরেনো ফিলান্ডির তৈরি এক অদ্ভুত গাড়ি৷ মোরেনো নিজে গাড়ির কোচের ফিটার ও গাড়ি-পাগল৷ তাঁর চিরকালের স্বপ্ন একটি সুপার স্পোর্টস কার-এর, অথচ কেনার সম্বল নেই৷ তবে গাড়িটা ঠিক কেমন হবে, সেটা তিনি ভালোভাবে জানেন৷ তাই গত চার বছর ধরে কাজ করছেন তাঁর ‘ফিলান্ডি এভার এস' গাড়িটি নিয়ে৷ ফিলান্ডির বক্তব্য হলো: ‘‘কীভাবে জানি না, আমি আমার নিজের গাড়ি তৈরি করতে শুরু করি৷ আমার নিজের যা ভালো লাগে, ঠিক সেইভাবে একটা গাড়ি তৈরি করার মজাই আলাদা, দারুণ একটা স্বাধীনতার অনুভূতি৷'' মোরেনো বলেন, ‘‘এটা আমার নিজস্ব স্টাইল, তা কারো ভালো লাগুক আর না লাগুক৷ আমার নিজের ভালো লাগলেই হলো৷ আমার কাছে এটা একটা ভাষ্কর্য এবং এটা সম্পূর্ণ এককই থাকবে৷ আমিতো আর গাড়ি নির্মাতা নই, আমি শুধু এই সব ভাষ্কর্য গড়ি৷'' তাঁর ওয়ার্কশপে মোরেনো সাধারণত অ্যাক্সিডেন্ট হওয়া গাড়ি সারিয়ে থাকেন৷ অবসর সময়ে তাঁর কাজ হলো নিজের ‘স্বপ্নের গাড়ি' তৈরি করা৷ ১৯৯০ সালের একটি লালরঙা মার্সিডিজ ৫০০ এসএল ছিল মোরেনোর এভার এস মডেলের ভিত্তি৷ তবে গাড়ির বাইরেটা তিনি পুরোপুরি বদলে দিয়েছেন৷ ২০০৮ সালেই তিনি ‘উরাগানো' গাড়িটি তৈরি করেছিলেন, চার বছর ধরে কাজ করে৷ খরচ পড়েছিল মাত্র বারো হাজার ইউরো, যেখানে ফেরারি কিংবা পর্শের কোনো সুপার স্পোর্টস কার কিনতে কয়েক লাখ ইউরো ব্যয় করতে হয়৷ উরাগানোর টপ স্পিড হল ঘণ্টায় ৩৪০ কিলোমিটার৷ ৬০০ অশ্বশক্তির পাওয়ার কিন্তু আসে জাঙ্কইয়ার্ড থেকে তুলে আনা একটি আউডি ভি-এইট ইঞ্জিন থেকে, মোরেনো যাতে একটি ট্রাকের টার্বোচার্জার যোগ করেছেন৷ বাকি সবটাই তাঁর নিজের সৃষ্টি৷ বহু মোটরগাড়ির প্রদর্শনীতে মোরেনোর উরাগানো প্রদর্শিত হয়েছে৷ যেমন ইটালির ফ্লোরেন্স শহরে ২০১০ সালের একটি প্রোটোটাইপ এক্সিবিশনে৷ সেখানে তাঁর এই আজব গাড়ি কিনতে চেয়েছিলেন অনেকে৷ অথচ মোরেনো বলেন: ‘‘আমি কোনোদিন আমার গাড়ি বিক্রি করার কথা ভাবিনি৷ এই গাড়িগুলো হলো আমার প্যাশন, আমি এগুলোর পিছনে অনেক সময় দিয়েছি৷ সেজন্যই আমি এগুলোকে বিদায় দিতে পারব না৷'' মোরেনো চান তাঁর এভার এস মডেল গাড়িটি লোকের চোখে পড়ুক৷ তাঁর সবচেয়ে মজা লাগে, যখন মানুষজন জিজ্ঞাসা করে, এটা কোন মডেলের গাড়ি! ওদিকে মোরেনো ফিলান্ডি এখনও তাঁর গাড়ি নিয়ে পুরোপুরি সন্তুষ্ট নন৷ তিনি ড্রয়িং বোর্ডের কাজ জানেন না বলে স্কেচ অথবা কম্পিউটারের বদলে শুধুমাত্র চোখের দেখা দিয়ে গাড়ির ডিজাইন তৈরি করেন৷ সবটাই থাকে তাঁর মাথায়৷ আর বছর খানেকের মধ্যেই এভার এস শেষ হবে৷ অ্যালুমিনিয়ামের পাতটাকে পালিশ করে গাড়িটাকে সিলভার লুক দিতে হবে৷ তারপর আবার ফন্টানেলিচের সবার চোখ যাবে মোরেনো ফিলান্ডির গাড়িটার দিকে৷

মন্তব্য করুন


 

Link copied