আর্কাইভ  বৃহস্পতিবার ● ২৮ মার্চ ২০২৪ ● ১৪ চৈত্র ১৪৩০
আর্কাইভ   বৃহস্পতিবার ● ২৮ মার্চ ২০২৪
 width=
 

 

রানিকে নিয়ে কুড়িগ্রামে পৌঁছেছেন ভুটানের রাজা

রানিকে নিয়ে কুড়িগ্রামে পৌঁছেছেন ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামে সমৃদ্ধির হাতছানি

কুড়িগ্রামে সমৃদ্ধির হাতছানি

আন্তর্জাতিক যোগাযোগের গেটওয়ে হবে কুড়িগ্রাম

আন্তর্জাতিক যোগাযোগের গেটওয়ে হবে কুড়িগ্রাম

কুড়িগ্রামে ভুটানিজ বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল আলোর মুখ দেখতে বসেছে

কুড়িগ্রামে ভুটানিজ বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল আলোর মুখ দেখতে বসেছে

 width=
 
শিরোনাম: রানিকে নিয়ে কুড়িগ্রামে পৌঁছেছেন ভুটানের রাজা       ২৯ রমজান কি অফিস খোলা?       আজ ঐতিহাসিক রংপুর ক্যান্টনমেন্ট ঘেরাও দিবস       লালমনিরহাটে বিএসএফের গুলিতে নিহত বাংলাদেশি যুবকের মরদেহ হস্তান্তর       কুড়িগ্রামে সমৃদ্ধির হাতছানি      

 width=
 

‘মন্ত্রী সাবরে কইয়েন, আমগর এহানে নৌকা ভাড়া বেশি নেয়’

শনিবার, ২৬ জুলাই ২০১৪, দুপুর ০৪:৩৪

চররাজীবপুর গ্রামের আমেজ উদ্দিন মামলা সংক্রান্ত বিষয়ে প্রায়ই তিনি রাজীবপুর নৌকা ঘাট থেকে চিলমারী নৌকা ঘাট হয়ে কুড়িগ্রামে যাতায়াত করে থাকেন। তিনি বলেন, ‘কয়দিন আগে যেহানে ৪০ ট্যাহা ভাড়া নিত। এহন কয় ৭০ ট্যাহা। একটা ট্যাহাও কম নেয় না। ঘাটে কোনো টয়লেটও নাই। যাত্রিরা ঘাটে আইসা মাইনসের বাইত্তে যাইয়া টয়লেট সাড়ে। এতে মহিলাদের খুবই সমস্যায় পড়তে হয়।’ লাল মিয়া নামের এক যাত্রি বলেন, ‘টিবিতে দেখলাম নৌ পরিবহন মন্ত্রী শাহাজাহান ঘোষনা দিলেন কোনো লঞ্জ বা ট্রলার ভাড়া বেশি নিলে সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নিব। আমাদের এখানে অতিরিক্ত ভাড়ার প্রতিবাদে মিছিল মিটিং করা হলো, অভিযোগ করা হলো কিন্তু প্রশাসন তো কোনো ব্যবস্থা নিল না।’ সাংবাদিকের কথা শুনে সিরাজুল হক নামের এক যাত্রি সাংবাদিকদের কাছে গিয়ে বলেন, ‘নৌ পরিবহন মন্ত্রীরে কইয়েন, আমগর এহানে নৌকা ভাড়া বেশি নেয়। প্রতিবাদ করেও কোনো কাজ হয় না।’

রাজীবপুর নৌকা ঘাট থেকে প্রতিদিন চিলমারী ও গাইবান্ধার বালাসী রুটে প্রায় অর্ধশত যাত্রিবাহি ও পণ্যবাহি নৌকা (ট্রলার) যাতায়াত করে থাকে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক নৌকা ব্যবসায়ি বলেন, ‘ইজারাদারকে নৌকা প্রতি ৫০ হাজার টাকা ঘুষ দেওয়া নাগছে। এছাড়াও প্রতিদিনের টোল তো আছেই।’

একইদিনে দুপুর ১২টার দিকে রৌমারী ঘাটে গিয়ে জানা গেলে রৌমারী ঘাট থেকে চিলমারী, উলিপুর ও কুড়িগ্রামের মোঘলবাসা ঘাটে প্রতিদিন শতাধিক যাত্রি ও পণ্যবাহি নৌকা যাতায়াত করে থাকে। ঘাটে কথা হয় আমজাদ হোসেন নামের এক যাত্রির সঙ্গে। তার বাড়ি বাঘমারা গ্রামে। মামলা সংক্রান্ত বিষয়ে সে নৌপথে কুড়িগ্রামে যাচ্ছেন। তিনি বলেন, ‘নৌকায়ালারা যে ভাবে ভাড়া বাড়াচ্ছে তাতে আমগর মতো গরীব মাইনসের মরা ছাড়া কোনো উপায় নাই।’ মাজেদুল ইসলাম নামের এক এনজিও কর্মী বলেন, ‘রৌমারী থেকে চিলমারী যাওয়ার একজন মানুষের ভাড়া ৭০ টাকা। আবার একটা মোটরসাইকেল সঙ্গে নিলে তার ভাড়াও ৭০ টাকা দিতে হয়। মোটরসাইকেল নৌকা তুলতে নামাতে কুলিরা ১০ টাকার স্থলে নিচ্ছে ৩০ টাকা করে। ঘাটে কোনো প্রতিবাদ করার শক্তি নেই কারো। ঘাটসংশ্লিষ্টদের কাছে যাত্রিরা জিম্মি।

বাংলাদেশ সমাজ তান্ত্রিক দল (বাসদ) এর মহিউদ্দিন জানান, অতিরিক্ত নৌকাভাড়ার প্রতিবাদে এলাকাবাসি বিক্ষোভ মিছিল করেছে। জেলা প্রশাসককে স্মারক লিপি প্রদান করা হয়েছে কিন্তু কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি এখনও। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, কুড়িগ্রামের রৌমারী, রাজীবপুর ও চিলমারী নৌকা ঘাটকে লটঘাট হিসেবে ইজারা প্রদান করা হয়েছে। এতে রাজীবপুর, রৌমারী ও চিলমারী নৌরুটে যাতায়াতকারি যাত্রিভাড়া জন প্রতি ৪০ টাকার বেশি আদায় করতে পারবে না। এছাড়াও নৌকা ঘাটে যাত্রি ও পণ্য সামগ্রী ভাড়া উল্লেখ করে টোলচার্ট টানানোর জন্য ইজারাদারকে নির্দেশ দেওয়া আছে।

সরেজমিনে কোনো ঘাটেই টোল চার্ট টানানো পাওয়া যায়নি। ঘাটে শৌচাগারেরও কোনো ব্যবস্থা নেই। ঘাটসংশ্লিষ্ট একাধিক ব্যক্তি জানান, ইজারাদার শাহজাহান মন্ডল নৌকা প্রতি অর্ধলক্ষ টাকা করে ঘুষ গ্রহণ করেছে। তাকে ওই টাকা না দিলে নৌকা চলাচল করতে দেওয়া হয় না। তার ইচ্ছামতো নৌকা ভাড়া ও টোল ভাড়া আদায় করে থাকে। জানতে চাইলে শাহজাহান মন্ডল বলেন, ‘এবার অনেক টাকায় ঘাট ইজারা নিয়েছি। আমার টাকা তুলতে হলে ভাড়া ও টোল অবশ্যই বেশি নিতে হবে।’

রৌমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আব্দুল হান্নান জানান, অতিরিক্ত ভাড়ার বিষয়টি জেলা প্রশাসককে অবহিত করা হয়েছে। রাজীবপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আব্দুল লতিফ খান জানান, ইজারাদার ডেকে নিয়ে বলা হয়েছে নিয়ম অনুসারে সবকিছু করার জন্য।

মন্তব্য করুন


 

Link copied