অষ্টম শ্রেণীর এক ছাত্রীকে বাড়ি থেকে অপহরণ ও ধর্ষণের অভিযোগে পৃথক দুটি ধারায় ৪৪ বছর সশ্রম কারাদণ্ড ও ১৫ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো ৮ মাস সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছে পঞ্চগড় জেলা দায়রা জজ আদালত।
এজলাসে বিচারকের রায় শুনে আসামি কাঠগড়ায় অজ্ঞান হয়ে পড়ে যায়। এ সময় বিচারক তার মাথায় পানি ঢালার নির্দেশ দেন। পরে স্বাভাবিক হলে কড়া নিরাপত্তার মধ্যে তাকে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে জেলার দায়রা জজ আদালতের হাকিম মুহাম্মদ মাহবুব উল ইসলাম এ দণ্ডাদেশ দেন। মামলার অপর পলাতক আসামি খায়রুল বাশারের (২২) বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাকে খালাস দেয়া হয়েছে।
দণ্ডপ্রাপ্ত যুবকের নাম আলমগীর হোসেন। তিনি আটোয়ারী উপজেলার রাধানগর গ্রামের ইউসুফ আলীর ছেলে।
আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০০০ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৭ ধারায় আসামি আলমগীর ১৪ বছর সশ্রম কারাদণ্ড ও পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো দুই মাস সশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়। একই আইনের ৯(১) ধারায় তাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো ছয় মাস সশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। রায়ে বলা হয়েছে, পৃথকভাবে এ সাজা ভোগ করতে হবে আসামিকে।
মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণে জানা গেছে, আলমগীর হোসেনসহ আরো কয়েকজন মিলে ২০১১ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর সকালে পিতা মাতার অনুপস্থিতিতে আটোয়ারী উপজেলা সদরের ছোটদাপ গ্রামের অস্টম শ্রেণীর এক ছাত্রীকে বাড়ি থেকে জোর করে অপরহণ করে নিয়ে ধর্ষণ করে।
এ ঘটনায় মেয়েটির পিতা বাদী হয়ে আটোয়ারী থানায় আলমগীর হোসেন, মো. রেজাউল করিম (৩৫), আব্দুর রাজ্জাক (২৮) ও ইউসুফ আলীর নামে আটোয়ারী থানায় অপহরণ ও ধর্ষণের অভিযোগে মামলা দায়ের করেন।
আটোয়ারী থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. সেলিম জাহাঙ্গীর ২০১১ সালের ৩০ নভেম্বর তিনজনকে অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দিয়ে মো. আলমগীর হোসেন ও নতুন করে খায়রুল বাশারের নামে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।