নিয়াজ আহম্মেদ সিপন,লালমনিরহাট প্রতিনিধিঃ লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার ভেলাগুড়ি ইউনিয়নের দুই মুক্তিযোদ্ধা ভুয়া মুক্তিবার্তা ও গেজেট তৈরী করে সম্মানী ভাতাসহ সকল সরকারী সুবিধা ভোগ করে আসছে।
ভেলাগুড়ি ইউনিয়নের মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আকবর আলী অভিযোগ করেন, সাবেক ব্যাংক কর্মকর্তা সমশের আলী ও সাবেক স্কুল শিক্ষক আব্দুল জব্বার আদৌ মুক্তিযোদ্ধা নয়। কিন্তু মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয়ের কতিপয় কর্মকর্তার সহযোগিতায় ভুয়া মুক্তিবার্তা ও গেজেট তৈরী করে সমাজ সেবা অধিদপ্তরের মাধ্যমে দীর্ঘ দিন ধরে মুক্তিযোদ্ধা সম্মানী ভাতা উত্তোলনসহ বিভিন্ন সরকারী সুবিধা ভোগ করে আসছে। তিনি এ বিষয়ে মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয়সহ বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগও করেছেন।
সাবেক ব্যাংক কর্মকর্তা সমশের আলী তার মুক্তি বার্তা নম্বর ৩১০২০৩২০ দাবী করলেও হাতীবান্ধা সমাজ সেবা অধিদপ্তরে খোঁজ নিয়ে দেখা যায়, ওই নম্বরের কোন মুক্তিবার্তা নেই।
সাবেক স্কুল শিক্ষক আব্দুল জব্বার নিজেকে কখনো গেরিলা যোদ্ধা, কখনো মুক্তিযোদ্ধো প্রশিক্ষক দাবী করলেও কোন এলাকায় ও কোন ক্যাম্পের আওতায় যুদ্ধ করেছেন, ওই সময় কয়েক সহযোদ্ধার নাম জানাতে চাইলে তিনি তার কোন সৎউওর দিতে পারে নাই। তার দাবী মতে, ওই সময় তারা ৪ শত গেরিলা যোদ্ধা থাকলে পরবর্তীতে তিনি ছাড়া কেউ মুক্তিযোদ্ধা হিসাবে স্বীকৃতি পায় নাই ।
এক পর্যায়ে সমশের আলী ও আব্দুল জব্বার দু’ জনেই বলেন, তাদের ছেলে-মেয়েরা মুক্তিযোদ্ধা কোটায় বিভিন্ন অধিদপ্তরে চাকুরী করছেন। জীবনের শেষ বেলায় এ নিয়ে লেখা-লেখি না করাটাই ভাল।
হাতীবান্ধা উপজেলা সমাজ সেবা কর্মকর্তা সুলতান আহম্মেদ জানান, অভিযুক্ত ওই দুই মুক্তিযোদ্ধার মুক্তিবার্তা, কল্যান ট্রাষ্ট, ই.বি.আর.সি নম্বর নেই। তারা শুধু মাত্র গেজেটের আলোকে সম্মানী ভাতাসহ সকল সুবিধা ভোগ করে আসছেন। ওই গেজেট ভুয়া কি না তা তদন্ত করা হচ্ছে।
হাতীবান্ধা উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার ফজলুল হক জানান, সমশের আলী ও আব্দুল জব্বারসহ এ উপজেলায় অসংখ্য ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা রয়েছে। মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয়ের কতিপয় কর্মকর্তার সহযোগিতায় তারা ভুয়া গেজেট তৈরী করে সরকারী সুবিধা ভোগ করছে। এ গুলো তদন্ত হওয়া প্রয়োজন।