আহত পোস্ট মাষ্টার মোস্তাফিজার রহমান গোলাপ জানান, রোববার সকাল সাড়ে এগারোটার দিকে মাহমুদুল হক তুষারের নেতৃত্বে অস্ত্রধারী একদল সন্ত্রাসী পোস্ট অফিসের ভিতরে ঢুকে তাকে ধারালো অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ২ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করেন। এসময় তিনি চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে তুষারের সহযোগিরা।
তিনি অভিযোগ করেন, কাঞ্চচগাড়ি গ্রামের আব্দুল হক সরকারের পুত্র চিন্থিত সন্ত্রাসী মাহমুদুল হক তুষারের নেতৃত্বে প্রায় ২০/২৫ জন মিলে অতর্কিতভাবে পোস্ট অফিসের ভিতরে আসবাবপত্র ভাংচুরসহ জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাটানো ছবি ভাংচুর ও পদদলিত করে। এসময় ক্যাশে থাকা ৮’শ ৫৫ টাকা ৫০ পঞ্চাশ পয়সা, ১ হাজার টাকার রাজস্ব ষ্ট্যাম্পসহ প্রয়োজনীয় সিলমোহর লুটপাট চালায়। এখবর পেয়ে স্থানীয়রা এগিয়ে এলে গোলজার, রাজু ও খুশিকে নামে তিনজনকে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে শরীরের বিভিন্নস্থানে আঘাত জখম করে সন্ত্রাসীরা।
স্থানীয় ব্যবসায়ী সবুজ মিয়া জানান, ইউপি নির্বাচনের পর থেকে জয়ী ইউপি সদস্য গোলাপের সাথে পরাজিত তুষারের সম্পর্কে দা কুড়ালে রূপ নেয়। এনিয়ে প্রায়ই দু’জনের ঝগড়া লাগত। রোববার ঘটনার দিন তুষার বেশ কিছু লোক নিয়ে এসে পোস্ট অফিসের ভিতরে হামলা চালিয়ে ভাংচুর করে।
মাহমুদুল হক তুষারের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি সাংবাদিক পরিচয় পেয়ে ক্ষিপ্ত হয়ে বলেন, যা লেখার লিখেন, এতে কোনো লাভ হবে না। কি কারণে এঘটনা ঘটেছে জানতে চাইলে তিনি ফোনের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন।
এব্যাপারে রায়পুর ইউপি চেয়ারম্যান আনিছুল হক সরকার বলেন, ইউপি সদস্য ও পোস্ট মাস্টার গোলাপ সন্ত্রাসী হামলার স্বীকার হয়েছে বলে জানতে পেরেছি। এটা খুবই দুঃখজনক ব্যাপার। তিনি অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।
এদিকে পীরগঞ্জ থানার অফিসার্স ইনচার্জ (ওসি) মো. আখতারুজ্জামান জানান, রায়পুর বাজারে ভাংচুরের ঘটনার কথা জানতে পেরেছি। এব্যাপারে থানায় কোনো মামলা ও অভিযোগ দায়ের হয়নি।