আর্কাইভ  শনিবার ● ২০ এপ্রিল ২০২৪ ● ৭ বৈশাখ ১৪৩১
আর্কাইভ   শনিবার ● ২০ এপ্রিল ২০২৪
 width=
 
 width=
 
শিরোনাম: লালমনিরহাটে মোবাইল ফোনে কথা বলছিল, হঠাৎ পিছন থেকে ট্রেনের ধাক্কায় কাটা পড়লেন যুবক       ঠাকুরগাঁওয়ে নিখোঁজের ২ দিন পরে ছাত্রের মরদেহ উদ্ধার       ছুটি বাড়ল সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে       ডিমলা উপজেলা নির্বাচন॥ এমপির ভাই, ভাতিজা ও ভাতিজি বউ প্রার্থী-তৃণমূলে ক্ষোভ       কিশোরী গৃহকর্মীকে খুন্তির ছ্যাকা; রংপুর মেডিকেলে মৃত্যু যন্ত্রণায় পাঞ্জা লড়ছে নাজিরা      

 width=
 

শাড়ির আঁচল কীভাবে হয়ে যায় মরণফাঁদ

মঙ্গলবার, ২৬ আগস্ট ২০১৪, দুপুর ১১:৪৫

‘কেউ কিছু বলবে না?’ জানতে চাইলে বেশ দৃঢ়তার সঙ্গে তিনি বলেন, ‘কেডা কী কইবো। ট্যাকা দিয়া গতর খাটাই।’ এভাবেই বেশ কিছুক্ষণ কথা চলার পর জানা যায় তার নাম রূপালী। নামটি আদৌ সত্য কি না সে বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া না গেলেও এটুকু নিশ্চিত হওয়া গেছে যে, কিছু একটা রহস্য এখানে আছে।

অবস্থান পরিবর্তন করে এবার দাঁড়ানো হলো আঞ্জুমান মফিদুলের সামনে। ওই পথ ধরে যাতায়াত করা প্রায় সব পথচারীকেই অনৈতিক কাজের টোপ দিচ্ছেন তিন নারী। অবশ্য, সবাই সেই টোপে থামছেন না। কিন্তু বোকাপ্রকৃতির অনেকেই আবার হুট করে থেমে পড়ছেন।

ঠিক এমনই থেমে যাওয়াদের মধ্যে একজন মুরাদ। একটি পোশাক তৈরি কারখানায় কাজ করেন তিনি। ওভারটাইম ডিউটি শেষ করে বাসায় ফিরছিলেন। পথে কাকরাইল মোড়ে আসতেই তিনি টার্গেট হয়ে যান যৌনকর্মীদের।

মুরাদের ভাষ্যমতে, প্রথমে ‘যৌনকর্মীরা’ তাকে ইশারায় ডাকেন। পরে তাকে ফুটপাতের পাশে থেমে থাকা একটি গাড়ির আড়ালে নিয়ে যাওয়া হয়। প্রথমে তিনজন থাকলেও কয়েক মিনিটের মধ্যেই বোরকা পড়া আরও দুজন ঘটনাস্থলে হাজির হয়ে সবাই মিলে মুরাদকে আড়ালে নিয়ে গিয়ে পাবলিক দিয়ে মার খাওয়ানোর ভয় দেখিয়ে টাকা পয়সা নিতে চাই। এতে মুরাদ খুব একটা বিচলিত না হলেও পুলিশে দেয়ার কথা শুনে সে ভয় পেয়ে যায়।

এমন পরিস্থিতিতে ভয় পেয়ে যাওয়ারই কথা। কারণ, ‘যৌনকর্মীরা’ মুরাদকে নিয়ে যে স্থানটিতে অবস্থান নিয়েছেন তার ঠিক বিপরীতে অর্থাৎ ইসলামী ব্যাংক হাসপাতালের নীচে অবস্থান করছিলেন কয়েকজন পুলিশ সদস্য। এসব কিছু মিলিয়ে মুরাদ পরে যান এক গোলক ধাঁধাঁয়। আর ঠিক এই ফাঁকেই তার পকেটে থাকা টাকা ও মোবাইল ফোনটি তুলে নেন ‘যৌনকর্মীরা’।

মুরাদের মুখে পুরো কাহিনী শোনার পরে রাস্তার ওপাশে থাকা পুলিশ সদস্যদের সঙ্গে কথা বলতে গেলে সটকে পরেন ওই যৌনকর্মীরা। এ সময় কথা হয় সেখানে কর্তব্যরত রমনা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আনিছের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘ওপাশের কিছু আমি খেয়াল করিনি। আর আমার সাথে এ ধরণের কোনো মহিলার পরিচয়ও নেই। তবে রাতে মাঝে মাঝে এখানে কিছু হিজরার উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়। মুরাদ হয়তো তাদের হাতেই পরেছিলেন।’

শুধু কাকরাইল মোড়েই নয় রাত নামতেই রাজধানীর ফার্মগেটের আনন্দ সিনেমা হলের সামনে, কাওরানবাজার, বিজয় সরণিসহ আরও অনেক গুরুত্বপূর্ণ স্থানেই ফাঁদ পেতে বসেন যৌনকর্মীরা।

দ্বিতীয় পর্বে পাঠকদের সামনে তুলে ধরা হবে গভীর রাতে ফার্মগেটের আনন্দ সিনেমা হলের সামনে কারা অবস্থান নেয়, কী হয় সেখানে রাত নামতেই, শাড়ির আঁচল কীভাবে হয়ে যায় মরণফাঁদ।

নেহাল হাসনাইন, বাংলামেইল

মন্তব্য করুন


 

Link copied