আর্কাইভ  বৃহস্পতিবার ● ২৮ মার্চ ২০২৪ ● ১৪ চৈত্র ১৪৩০
আর্কাইভ   বৃহস্পতিবার ● ২৮ মার্চ ২০২৪
 width=
 

 

কুড়িগ্রামে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের নির্ধারিত স্থান পরিদর্শন করলেন ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের নির্ধারিত স্থান পরিদর্শন করলেন ভুটানের রাজা

রানিকে নিয়ে কুড়িগ্রামে পৌঁছেছেন ভুটানের রাজা

রানিকে নিয়ে কুড়িগ্রামে পৌঁছেছেন ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামে সমৃদ্ধির হাতছানি

কুড়িগ্রামে সমৃদ্ধির হাতছানি

আন্তর্জাতিক যোগাযোগের গেটওয়ে হবে কুড়িগ্রাম

আন্তর্জাতিক যোগাযোগের গেটওয়ে হবে কুড়িগ্রাম

 width=
 
শিরোনাম: কুড়িগ্রামে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের নির্ধারিত স্থান পরিদর্শন করলেন ভুটানের রাজা       রানিকে নিয়ে কুড়িগ্রামে পৌঁছেছেন ভুটানের রাজা       ২৯ রমজান কি অফিস খোলা?       আজ ঐতিহাসিক রংপুর ক্যান্টনমেন্ট ঘেরাও দিবস       লালমনিরহাটে বিএসএফের গুলিতে নিহত বাংলাদেশি যুবকের মরদেহ হস্তান্তর      

 width=
 

রংপুর বিভাগে শীতকালীন শাকসবজির বাম্পা‌র ফলন

শুক্রবার, ২৫ জানুয়ারী ২০১৩, রাত ০৯:১৫

বৃহত্তর রংপুর-দিনাজপুর অঞ্চলের ৮ জেলায় চলতি মৌসুমে ৫১ হাজার হেক্টর জমিতে সবজি উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধার্য করা হলেও আবহাওয়া অনুকূল থাকায় উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে গেছে। স্থানীয় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের হিসেব মতে, হেক্টর প্রতি গড় উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধার্য করা হয়েছিল ১২ মেট্রিক টন। সেই হিসেবে চলতি মৌসুমে ৮ জেলায় ৬ লাখ ১২ হাজার মেট্রিক টন সবজি উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধার্য করা হয়। যার সর্বনিু বাজার মূল্য দাঁড়িয়েছে প্রায় ৭শ ৭৫ কোটি টাকার উপরে।

রংপুর-দিনাজপুর অঞ্চলের মধ্যে রংপুরের মিঠাপুকুর, পীরগঞ্জ, বদরগঞ্জ, পীরগাছা উপজেলা, নীলফামারী সদর, জলঢাকা, ডিমলা, কুড়িগ্রাম সদর, গাইবান্ধা সদর, গোবিন্দগঞ্জ, পলাশবাড়ি, দিনাজপুর সদর, কাহারোলসহ বিভিন্ন স্থানের শত শত সবজি চাষি প্রতিদিন রিকসা ভ্যানসহ বিভিন্ন যানবাহনে সবজি নিয়ে স্থানীয় পাইকারী হাট-বাজারগুলোতে ভীড় করছেন।

ওইসব বাজার থেকে পাইকারী ব্যবসায়ীরা তা ক্রয় করে ট্রাক বোঝাই সবজি ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে পাঠাচেছ। এসব জেলা থেকে প্রতিদিন প্রায় কোটি টাকার শীতকালীন শাকসবজি ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে পাঠানো হচ্ছ‌ে।

রংপুরের অতিরিক্ত কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, বৃহত্তর রংপুর-দিনাজপুর অঞ্চলের ৮ জেলায় চলতি মৌসুমে ৫১ হাজার হেক্টর জমিতে মুলা, টমেটো, ফুলকপি, বাঁধাকপি, বেগুন, সীমসহ বিভিন্ন শীতকালীন সবজি চাষাবাদ করা হয়েছে।

এর মধ্যে রংপুরে ৮ হাজার হেক্টর, কুড়িগ্রামে ৬ হাজার হেক্টর, লালমনিরহাটে ৫ হাজার হেক্টর, গাইবান্ধায় ৬ হাজার হেক্টর, নীলফামারীতে ৬ হাজার হেক্টর, দিনাজপুরে ১০ হাজার হেক্টর, পঞ্চগড়ে ৪ হাজার হেক্টর ও ঠাকুরগাঁওয়ে ৬ হাজার হেক্টর জমিতে শীতকালীন শাকসবজি আবাদ করা হয়েছে। হেক্টর প্রতি গড় উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধার্য করা হয়েছে ১২ মেট্রিক টন।

সেই হিসেবে চলতি মৌসুমে ৮ জেলায় ৬ লাখ ১২ হাজার মেট্রিক টন সবজি উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা থাকলেও আবহাওয়া অনুকূল থাকায় উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে গেছে। উৎপাদিত সবজির সর্বনিু বাজার মূল্য ৭শ ৬৫ কোটি টাকার উপরে দাঁড়িয়েছে।

 ৮ জেলা থেকে প্রতিদিন গড়ে শতাধিক ট্রাক যোগে বিভিন্ন স্থানে পাঠানো হচ্ছে‌ ওইসব শাকসবজি। দেশের অন্যান্য স্থানে এ অঞ্চলের সবজির বেশ চাহিদা রয়েছে। এছাড়া অন্যান্য জেলাগুলোর তুলনায় এখানে দামও কিছুটা কম। ফলে তারা এখান থেকে সবজি ক্রয় করে ট্রাক যোগে তা ঢাকাসহ বিভিন্ন স্থানে পাঠিয়ে থাকে।

এছাড়া সবজির বাজারকে ঘিরে একটি মধ্যস্বত্ব ভোগী গড়ে উঠায় অনেক কৃষক সঠিক বাজার মূল্য প্রাপ্তিতে বঞ্চিত হচ্ছ‌েন। সবজি সংরক্ষনাগারসহ সবজি চাষে সরকারি পর্যাপ্ত সাহায্য-সহযোগিতা না থাকার পরও এ অঞ্চলের সবজি চাষিরা এবার ৫ হাজার কোটি টাকার উপড়ে সবজির উৎপাদন করে দেশের অর্থনীতির চাকাকে সচল রাখতে বিশাল ভূমিকা রেখেছেন।

মন্তব্য করুন


 

Link copied