আর্কাইভ  শনিবার ● ২০ এপ্রিল ২০২৪ ● ৭ বৈশাখ ১৪৩১
আর্কাইভ   শনিবার ● ২০ এপ্রিল ২০২৪
 width=
 
 width=
 
শিরোনাম: নীলফামারীতে গোপন বৈঠক থেকে জামায়াতের ৩ নেতা গ্রেপ্তার       পলাশবাড়ীতে আসামির ছুরিকাঘাতে বাদীর মৃত্যু, গ্রেফতার ১       মন্ত্রী-সংসদ সদস্যদের সন্তান-স্বজনের ভোটে না দাঁড়ানোর নির্দেশ       ভোজ্যতেলের দাম বাড়ল, খোলা তেলে সুখবর       বিএনপি নেতা সোহেলের নিঃশর্ত মুক্তি দাবিতে রংপুরে  মানববন্ধন ও সমাবেশ       

 width=
 

পানির দরে পাট বিক্রি; বিজিএমসির ক্রয় কেন্দ্রগুলো হাতগুটিয়ে বসে আছে

বুধবার, ৩ সেপ্টেম্বর ২০১৪, দুপুর ০৩:০১

অভিযোগ রয়েছে, ব্যবসায়ীদের বকেয়া টাকা আটকে রেখে চলতি মৌসুমে কোম্পানীগুলো মাত্র ১৪’শ ৫০ টাকা মূল্য নির্ধারন করে দেয়ায় কৃষকরা এ ক্ষতির মূখে পড়েছে। এ বছর প্রতিকুল আবহাওয়ার কারনে কৃষকদের বাড়তি উৎপাদন খরচ গুনতে হয়। কৃষি বিভাগের মতে, প্রতি মন পাট উৎপাদনে খরচ হয়েছে ৯’শ থেকে ১ হাজার টাকা। অথচ বর্তমানে জেলার বিভিন্ন হাট-বাজারে নতুন পাট বিক্রি হচ্ছে, ১১’শ থেকে ১৩’শ টাকায়। বাজারে ক্রেতা কম থাকায় টাউট ফরিয়ারা পানির দরে পাট কিনে অনেকে নারায়নগঞ্জ ও খুলনায় পাঠাচ্ছে, আবার কেউ কেউ পাট কিনে গুদামজাত করছে। কৃষকরা আশা করেছিল পাট বিক্রি করে ঈদুল আযহায় কেনা-কাটা করবেন কিন্তু সে আশা তাদের দুরাশা। কৃষি বিভাগের সুত্রমতে জেলায় এ বছর পাট উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ২১ হাজার ৪’শ ২১ হেক্টর কিন্তু উৎপাদন হয়েছে ২১ হাজার ৬’শ হেক্টর, যার পরিমান ১ লাখ ৮৩ হাজার ৬’শ বেল। যে কৃষক মাথার ঘাম পায়ে ফেলে এক সময়ের সোঁনালী আঁশ উৎপাদন করেছে, আজ ভরা মৌসুমে সে পাট নিয়ে তারা দিশেহারা হয়ে পড়েছে। পাট উৎপাদন করে বাজারে ন্যায্যমূল্য না পেয়ে তারা চরম আর্থিক ক্ষতির মূখে পড়েছে। বেশী ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে প্রান্তিক ও বর্গা চাষিরা। তাদের অনেকে এখন পাটের ন্যায্যমূল্য না পেয়ে পুঁজি হারাতে বসেছে।

জেলার বিভিন্ন উপজেলায় বিজিএমসির আওতাধীন পাট ক্রয় কেন্দ্রগুলো গত ২০১৩-১৪ অর্থ বছর স্থানীয় ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে পাট ক্রয় করলেও সময়মত টাকা পরিশোধ না করায় তারাও হাত গুটিয়ে বসে আছে। এ অবস্থায় হাটে পর্যাপ্ত পাট উঠলেও ক্রেতার অভাবে বাজারে পাটের মূল্য পতন দেখা দেয়। সরকার দ্রুত প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ না নিলে বন্যা কবলিত এ অঞ্চলের কৃষকরা পাটের ন্যায্য মূল্য প্রাপ্তি থেকে বঞ্চিত হওয়ার আশংকা করা হচ্ছে।

জানা যায়, জেলার ভুরুঙ্গামারীতে লতিফ বাওয়ানী জুট মিল্স লিঃ এর ৩৪ লাখ, নাগেশ্বরী উপজেলায় ইষ্টার্ন জুট মিল্স ৪৪ লাখ ও দি ক্রিসেন্ট জুট মিল্স ১ কোটি, উলিপুর উপজেলায় জাতীয় জুট মিল্স ৮০ লাখ ও স্টার জুট মিল্স ৪৪ লাখ, কুড়িগ্রাম সদরে প্লাটিনাম জুট মিল্স ৭৫ লাখ, দি ক্রিসেন্ট জুট মিল্স ৭৭ লাখ ও লতিফ বাওয়ানী জুট মিল্স এর ৩০ লাখ টাকাসহ মোট ৪ কোটি ৮৪ লাখ টাকা বকেয়া রয়েছে। এ ব্যাপারে কোম্পানীগুলোর একধিক ম্যানেজারের সাথে কথা হলে তারা জানান, গত বছর থেকে প্রয়োজনীয় টাকার চাহিদা পত্র উর্দ্ধোতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হলেও টাকা পরিশোধে বিলম্ব হচ্ছে।

মন্তব্য করুন


 

Link copied