আর্কাইভ  শুক্রবার ● ২৯ মার্চ ২০২৪ ● ১৫ চৈত্র ১৪৩০
আর্কাইভ   শুক্রবার ● ২৯ মার্চ ২০২৪
 width=
 

 

কুড়িগ্রামের খাবারে বেজায় খুশি ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামের খাবারে বেজায় খুশি ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের নির্ধারিত স্থান পরিদর্শন করলেন ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের নির্ধারিত স্থান পরিদর্শন করলেন ভুটানের রাজা

রানিকে নিয়ে কুড়িগ্রামে পৌঁছেছেন ভুটানের রাজা

রানিকে নিয়ে কুড়িগ্রামে পৌঁছেছেন ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামে সমৃদ্ধির হাতছানি

কুড়িগ্রামে সমৃদ্ধির হাতছানি

 width=
 
শিরোনাম: স্বাস্থ্যের রংপুর বিভাগীয় পরিচালক ফজলুল হক কারাগারে       কুড়িগ্রামের খাবারে বেজায় খুশি ভুটানের রাজা       লালমনিরহাটে পুকুরে জাল ফেলতেই জালে উঠে এলো যুবকের মরদেহ       কুড়িগ্রামে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের নির্ধারিত স্থান পরিদর্শন করলেন ভুটানের রাজা       রানিকে নিয়ে কুড়িগ্রামে পৌঁছেছেন ভুটানের রাজা      

 width=
 

৪ বছর ধরে খুচরা যন্ত্রাংশের আমদানি বন্ধ; কেন্দ্রীয় লোকোমেটিভ কারখানায় উৎপাদন অর্ধেকে নেমে এসেছে

বৃহস্পতিবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৪, বিকাল ০৫:১১

পার্বতীপুর রেলওয়ে কেন্দ্রীয় লোকোমোটিভ কারখানা সূত্রে জানা গেছে-সর্বশেষ ১৯৮৫ সালে দেশের রেল যোগাযোগ ব্যবস্থায় বাস্প চালিত রেল ইঞ্জিনের পরিবর্তে ডিজেল চালিত ইঞ্জিনের প্রতিস্থাপনের কাজ শেষ হয়। এসময় থেকে দেশে ডিজেল ইঞ্জিন মেরামতের কারখানা প্রতিষ্ঠার প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয়। এসময় রেলওয়ে পশ্চিমাঞ্চলের পার্বতীপুর, পূর্বঞ্চলের পাহাড়তলী ও ঢাকায় স্থাপিত ছোট আকারের (পকেট সাইজ) এ তিন ডিজেল কারখানার ত্রুটিপুর্ন ডিজেল চালিত রেল ইঞ্জিন মেরামত করা হতো। কিন্তু এতে চাহিদা মত ভারী মেরামত সম্ভব না হওয়ায় ১৯৯২ সালে সৌদি উন্নয়ন তহবিলের সহযোগিতায় ২০৩ কোটি টাকা ব্যয়ে ১শ ১১একর জায়গার উপরে পার্বতীপুরে কেন্দ্রীয় লোকোমোটিভ কারখানা (কেলোকা) প্রতিষ্ঠা করা হয়।

১৯৯৪ সাল থেকে এখানে বাংলাদেশ রেলওয়েতে ব্যবহৃত সকল ডিজেল চালিত রেল ইঞ্জিনের প্রতি ৬ বছর পরপর ভারী মেরামত করা হয়। প্রায় ২২ হাজার যন্ত্রাংশে প্রস্তুত প্রতিটি রেল ইঞ্জিনের ভারী মেরামতের সময় এর প্রতিটি যন্ত্রাংশ আলাদা করে পরিস্কার করা হয়। ত্র“টিপুর্ন যন্ত্রাংশ মেরামত যোগ্য হলে মেরামত করে অথবা না হলে বাদ দিয়ে নতুন যন্ত্রাংশ লাগানো হয়। এভাবে পুনঃ সংযোজিত ইঞ্জিনটি নতুনের মত কর্মক্ষম হয়ে উঠে। এসব কাজে ব্যবহৃত শতকরা ৯৫ ভাগ যন্ত্রাংশ দরপত্রের মাধ্যমে বিদেশ থেকে আমদানি করা হয়। অবশিষ্ট ৫ ভাগ যন্ত্রাংশ দেশিও বাজার থেকে সংগ্রহ করা হয়। একারনে এ কারখানার বার্ষিক উৎপাদন লক্ষমাত্রা অর্জন বহুলাংশে নির্ভর করে চাহিদা মত খচুরা যন্ত্রাংশ সরবরাহ ও বার্ষিক বাজেট বরাদ্ধের উপর।

কেলোকার প্রয়োজনীয় যন্ত্রাংশ দেশী ও বিদেশী বিভিন্ন ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান থেকে দরপত্রের মাধ্যমে ক্রয় করা হয়। বাংলাদেশ রেলওয়ের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (ওহভৎধংঃৎঁপঃঁৎব)’ র নেতৃত্বে ৭ সদস্যের ক্রয় কমিটি টেন্ডারের মাধ্যমে তালিকাভুক্ত ঠিকাদার দের নিকট থেকে এসব যন্ত্রাংশ সংগ্রহ করে থাকে। ক্রয় কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন অতিরিক্ত মহাপরিচালক (আরএস), অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অর্থ), বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষক, পানি উন্নয়ন বোডের্র প্রধান প্রকৌশলী, বাংলাদেশ রেলওয়ের প্রধান সরঞ্জাম নিয়ন্ত্রক ও প্রধান যান্ত্রিক প্রকৌশলী (ইঞ্জিন)।

সংশিষ্ট কর্তৃপক্ষ সুত্রে জানা গেছে- কেন্দ্রীয় লোকোমেটিভ কারখানায় রেলইঞ্জিনের ভারী মেরামতের জন্য কমপক্ষে ৬০০০ হাজার ধরনের যন্ত্রাংশ আমদানি করার দরকার ছিল। কিন্তু গত ৬ বছরে ৬০ টির বেশি যন্ত্রাংশ আমদানি করা সম্ভব হয়নি। সর্বশেষ ২০১২ সালের ১০ জুন মাত্র ৮৪৮ ধরনের যন্ত্রাংশ আমদানির জন্য আন্তর্জাতিক দরপত্র আহবান করা হয়। এতে তালিকাভুক্ত ২৬-২৭টি বিদেশী ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান দরপত্র দাখিল করে। দরপত্র খোলা হয় একই বছরের ৩ সেপ্টেম্বর। কিন্তু দরপত্র প্রক্রিয়া চুড়ান্ত করতে না পারায় ২১/১১/২০১২ প্রথম দফা, ১৯/০২/২০১৩ দ্বিতীয় দফাও গত ১৫/০৭/২০১৩ তৃতীয় দফা দরপত্রের মেয়াদ কাল বাড়ানো হয়। কেলোকা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন-বর্তমান ক্রয় পদ্ধতি একটি জটিল প্রক্রিয়া। পূর্বে ১৯৯২ সাল পর্যন্ত মূল ইঞ্জিন প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানই (ঙঊগ- ঙজএওঘঅখ ঊছটওচগঊঘঞ গঅঘটঋঅঈঞটজঊজ) খুচরা যন্ত্রাংশ সরবরাহ করতো।

এজন্য প্রতি বছর তারা পরিবহন খরচসহ খুচরা যন্ত্রাংশের মুল্য তালিকা পাঠাতো। বাংলাদেশ রেলওয়ের মূখ্য সরঞ্জাম নিয়ন্ত্রক (সিসিএস) কোন টেন্ডার ছাড়াই প্রত্যক্ষ ক্রয় পদ্ধতিতে যেকোন মুহুর্তে চাহিদা মত যন্ত্রাংশ কিনতে পারতো। দাতা সংস্থা কানাডিয়ান ইন্টারন্যাশনাল ডেভলপমেন্ট এজেন্সি-(ঈওউঅ)১৯৯৬-৯৮ সালে বিকল্প সরবরাহকারীদের নিকট থেকে প্রতিযোগীতামুলক দামে যন্ত্রাংশ ক্রয়ের সুপারিশ করে এবং রেল কর্তৃপক্ষও তা গ্রহন করেন। তখন থেকে তালিকাভূক্ত ঠিকাদার দের নিকট থেকে দরপত্রের মাধ্যমে যন্ত্রাংশ ক্রয় প্রক্রিয়া শুরু হয়। কেলোকা কর্তৃপক্ষের অভিযোগ-এর ফলে খুচরা যন্ত্রাংশ সংগ্রহ প্রক্রিয়া জটিল হয়ে পড়ে ও ক্রয়কৃত মালামালের গুনগত মানও পড়ে যায়। গত রোববার বিকেলে কেলোকার প্রধান নির্বাহী মৃণাল কান্তি বনিক বলেন খুচরা যন্ত্রাংশের আভাবে পুরাতন লোকোমোটিভ ইঞ্জিন থেকে পুরাতন যন্ত্রাংশ নিয়ে গত অর্থবছরে ১৭টি লোকোমোটিভ ইঞ্জিন মেরামত করা হয়েছে। এ ১৭টি লোকোমোটিভ ইঞ্জিন চলাচলে পুরো নিশ্চিত নয়। যে কোন সময় আবারও বিকল হতে পারে।

মন্তব্য করুন


 

Link copied