আর্কাইভ  বুধবার ● ১৭ এপ্রিল ২০২৪ ● ৪ বৈশাখ ১৪৩১
আর্কাইভ   বুধবার ● ১৭ এপ্রিল ২০২৪
 width=
 
 width=
 
শিরোনাম: আজকের মেধাবী শিক্ষার্থীরাই হবে স্মার্ট বাংলাদেশের কারিগর –রংপুরে স্পীকার       রংপুরে বৃষ্টি নামে এক নারীর মরদেহ উদ্ধার       কুড়িগ্রামে অষ্টমীর স্নান করতে এসে মারা গেলেন পুরোহিত       বাস-পিকআপ সংঘর্ষে ১১ জন নিহত       উপজেলা পরিষদ নির্বাচন: রংপুরে ৩০ প্রার্থীর মনোনয়নপত্র দাখিল       

 width=
 

গোবিন্দগঞ্জে শিক্ষিকাকে রড দিয়ে পিটিয়ে জখম

শুক্রবার, ১ ফেব্রুয়ারি ২০১৩, সকাল ০৯:৫৪

মোঃ ছাদেকুল ইসলাম রুবেল গাইবান্ধা থেকে: গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ থানার গোবিন্দপুর কুঠিবাড়ী গ্রামের সন্ত্রাসী গুলজার বাহিনী কর্তৃক স্কুল শিক্ষিকার পৈত্রিক সম্পত্তি দখলের অভিযোগ পাওয়া গেছে। বিষয়টি নিয়ে থানা পুলিশ নীরব ভূমিকা পলন করছে বলে স্কুল শিক্ষকরা অভিযোগ করেন।

স্কুল শিক্ষকরা অভিযোগে বলেন- সন্ত্রাসী গুলজার বাহিনী ও তার ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসীরা আমার পৈত্রিক সম্পত্তি দখলের উদ্দেশ্যে বেশ কিছু দিন যাবত আমাদের পরিবারকে বিভিন্নভাবে হুমকি দিচ্ছে। তারা ইতোমধ্যে আমার নিকট বিশ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে, বলেন চাঁদার টাকা না দিলে আমাদেরকে সপরিবারে পৃথিবী থেকে বিদায় নিতে হবে। এ অবস্থায় ১৩ই জানুয়ারি গোবিন্দগঞ্জ থানায় জিডি করতে গেলে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বাইরে থাকায় ডিউটি অফিসার এসআই আজিজুর রহমান আজিজ জিডি নিতে পারবেনা বলে জানান এবং সন্ত্রাসী গুলজার সঙ্গে আপোষে বিষয়টি মিটাতে বলেন। চাঁদা না দিয়ে থানায় যাবার খবর গুলজার পাওয়া মাত্র ঐ দিন বিকাল ৪ টায় আমার বাড়ী দখল করার উদ্দেশ্যে সন্ত্রাসী গুলজার তার বাহিনীসহ এসআই আজিজুর রহমান আজিজ ও গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যানকে নিয়ে আমার বাড়ীতে এসে জোড় পূর্বক দরজা ভেঙ্গে ঘরের ভিতর প্রবেশ করে জিনিস পত্র ভাংচুর করে। সন্ত্রাসী গুলজার এস আই আজিজ ও গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যানের সামনে আমাকে রড দিয়ে হত্যার উদ্দেশ্য মাথায় আঘাত করে। রডের আঘাতে আমার মাথা ফেটে গেলে আমি মাটিতে লুটিয়ে পড়ি। এসময় গুলজারের সহযোগী রাজিব সহ আরও কয়েকজন সন্ত্রাসী আমার পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের উপরেও হামলা করে। মারাত্মক জখম অবস্থায় আমাকে নিয়ে আমার মেয়ে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জরুরী বিভাগে নিয়ে যায়। ডা. প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদান করেন এবং হাসপাতালে ভর্তি হতে বলেন। এ সময় সন্ত্রাসী গুলজার বাহিনীর প্রধান গুলজার হাসপাতালে ফোন করে কর্তব্যরত চিকিৎসকে চিকিৎসা না করার জন্য নির্দেশ দেয় এবং তাৎক্ষণিক হাসপাতালে সন্ত্রাসী পাঠিয়ে আমার উপর পুনরায় হামলা করে। সেখান থেকে আমাকে নিয়ে এসে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ভর্তি করে।ঐ দিন রাতে গোবিন্দগঞ্জ থানার এস.আই আজিজুর রহমান আজিজ ও গোবিন্দগঞ্জ ইউপি চেয়ারম্যান শাহিন হাসপাতালে আসেন। তারা আমার জবানবন্দি লিখে নেন। আমি মামলা করার কথা বললে তারা দুইজনেই আমাকে থানায় মামলা না করে সালিসের মাধ্যমে বিষয়টি মিটিয়ে ফেলতে বলেন। তারা আরও বলেন থানায় মামলা করলে আপনাদেরকে হয়রানির শিকার হতে হবে কারণ গুলজার প্রভাবশালীদের ছত্রছায়ায় চলাফেরা করে।

মন্তব্য করুন


 

Link copied