কচাকাটা, কুড়িগ্রাম প্রতিনিধিঃ কুড়িগ্রামের কচাকাটা থানার কেদার ইউনিয়ন ভূমি উপ-সহকারীর দুর্নীতি চরমে। ভুক্তভোগী কর্তৃক ভূমি সহকারী কমিশনার বরাবর অভিযোগ করা হয়েছে।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, কেদার ইউনিয়ন ভূমি উপ-সহকারী আবুল ফজল স্থানীয় কতিপয় দালাল চক্র মারফত বিভিন্ন সময়ে ভুয়া কবুলিয়াত মূলে কিছু লোককে জমি দেওয়ার নিশ্চয়তা প্রদান করে এবং ঐ সকল ভুয়া কবুলিয়াত এর জমির বিপরীতে ভূমি অফিসে হোলডিং খুলে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। তথ্য সূত্রে জানা যায় দীর্ঘদিন হতে উক্ত ভূমি উপ-সহকারী কেদার ইউনিয়নের আব্দুল কফিল ও কচাকাটা ইউনিয়নের আব্দুল করিমের মাধ্যমে এরকম দুর্নীতি করে আসছে। অভিযোগে আরও উল্লেখ আছে কেদার ইউনিয়নের কচারদ্বারা মৌজার ১ নং খাস খতিয়ানভূক্ত জমি যার দাগ নং ৫২৯৫ পরিমাণ ৪.৯২ শতক আনুমানিক মূল্য ৪০ লক্ষ টাকা যাহা ভূমি উপ-সহকারীর সহযোগিতায় তার একান্ত ঘনিষ্ঠ ভূমি-খাদক আব্দুল করিম নিজ নামে একটি ভুয়া কবুলিয়াত তৈরি করে এবং পুরাতন তারিখে একটি হোলডিং খোলে। অথচ ঐ সকল জমি বিগত ৩ বছর থেকে সরকার এক সনা বন্দোবস্ত স্থানীয় লোকজনদের দিয়ে আসছে। অভিযোগকারী আব্দুল নজরুল বলেন এ রকম কবুলিয়াত ভূমি উপ-সহকারীর দালাল কফিল ও করিম এলাকার আরও অনেককে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে দিয়েছে যা উপ-সহকারীর জানা আছে।
অভিযোগের প্রেক্ষিতে উপজেলা ভূমি সহকারী অফিস তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানায়। অন্যদিকে উক্ত ভূমি উপ-সহকারী জানান এ ধরনের কবুলিয়াত সম্পর্কে তিনি জানেনা, এবং ঐ চক্রকে খুঁজে বেড়াচ্ছেন।
হোলডিং খোলার ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, কে বা কাহারা উক্ত হোলডিং খুলেছে তার জানা নেই।তবে উক্ত কবুলিয়াতের কোন ভিত্তি নেই বলে তিনি জানান।কবুলিতের মালিক আব্দুল করিম এ ব্যাপারে মুখ খুলতে অসম্মতি জানিয়েছে। এধরনের কবুলিয়াত কিভাবে তৈরি হয় জানতে চাইলে তিনি জানান, একধরনের জালিয়াতি চক্রের মাধ্যমে এগুলো হয়ে থাকে।