আর্কাইভ  শুক্রবার ● ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ● ৬ বৈশাখ ১৪৩১
আর্কাইভ   শুক্রবার ● ১৯ এপ্রিল ২০২৪
 width=
 
 width=
 
শিরোনাম: পলাশবাড়ীতে আসামির ছুরিকাঘাতে বাদীর মৃত্যু, গ্রেফতার ১       মন্ত্রী-সংসদ সদস্যদের সন্তান-স্বজনের ভোটে না দাঁড়ানোর নির্দেশ       ভোজ্যতেলের দাম বাড়ল, খোলা তেলে সুখবর       বিএনপি নেতা সোহেলের নিঃশর্ত মুক্তি দাবিতে রংপুরে  মানববন্ধন ও সমাবেশ        খরার ঝুঁকিতে রংপুর অঞ্চল      

 width=
 

কর্তৃপক্ষের খামখেয়ালীপনায় বিদ্যালয় নদীগর্ভে বিলীন

সোমবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০১৪, দুপুর ০৪:৪৫

উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সূত্র জানায়, ২০০৯ সালে এলজিইডি ২৮ লাখ টাকা ব্যয়ে উপজেলার গজারিয়া ইউনিয়নের আংগারিদহ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতলভবন নির্মাণ করা হয়। ক্রমাগত ব্রহ্মপুত্র নদী ভাঙ্গতে ভাঙ্গতে বিদ্যালয়ের দোড়গোড়ায় এসে পৌঁছে। ফলে গত ২ সেপ্টেম্বর ৩ লাখ ৪৫ হাজার টাকার পাকাওয়ালসহ টিনসেট ঘর এবং ৯টি রেইনট্রি গাছ মাত্র ৪৮ হাজার ৫০০ টাকায় নিলামে বিক্রি করা হয়। কিন্ত নদী ভাঙ্গনের মুখে বিদ্যালয় ভবনটি থাকলেও প্রধান শিক্ষক, ম্যানেজিং কমিটি ও সংশি¬ষ্ট কর্তৃপক্ষ নদীগর্ভে যাবেনা মর্মে একমত হয়ে সেই সময় ভবনটি নিলাম দেয়নি। নাম প্রকাশ না করার শর্তে ম্যানেজিং কমিটির এক সদস্য বলেন, শনিবার বিকেলেই নদী ভাঙ্গনের মুখে থাকা ৩টি বড় রেইনট্্ির গাছ, বিদ্যালয় দ্বিতলভবনের দরজা-জানালা, ইট ও লোহার রড যোগসাজস করে প্রধান শিক্ষক সবুজ পাঠান আতœসাতের উদ্দেশ্যে বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি সুরুজ মিয়ার বাড়িতে রাখেন। স্থানীয়রা জানান, এক সপ্তাহ ধরে ব্রহ্মপুত্রে ভাঙ্গন শুরু হলে রোববার রাতে হঠাৎ করেই ব্যাপক ভাঙ্গনে মুর্হুতের মধ্যেই বিদ্যালয়ের দ্বিতল ভবনটি বিকটশব্দে নদীতে ভেঙ্গে পড়ে যায়।

গজারিয়া ইউনিয়নের সাবেক ইউপি সদস্য শহিদুল ইসলাম বলেন, এলাকার লোকজন বারবার নিলামের তাগাদা দিলেও কর্তৃপক্ষের গাফিলতির কারণে বিদ্যালয় ভবনটি নদীতে বিলীন হয়ে গেল। দু’দিন আগেও নিলামে দিলে সরকারের কয়েকলাখ টাকা রাজস্ব আয় হত।

সহকারি উপজেলা শিক্ষা অফিসার শহিদুল ইসলাম জানান, প্রথম বন্যায় বিদ্যালয়টির এতটা ঝুঁকিছিল না, কিন্তু এ দফার বন্যা ও ভাঙ্গনের তীব্রতা এতই বেশি যে গত রবিবার রাতে হঠাৎ করেই ভবনটি বিলীন হয়ে যায়। উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম বলেন, বিদ্যালয়টি নদীতে দেবে যাওয়ার কারণে নিলাম দেয়া সম্ভব হয়নি। তবে শুকনো মৌসুমে নদীতে পড়ে যাওয়া ভবনটি নিলাম দেয়া হবে।

উপজেলা প্রকৌশলী আকতারুজ্জামান বলেন, স্পট কোটেশনের জন্য গত রোববার মাইকিংসহ ব্যাপক প্রচারনা চালানো হয়। কিন্ত গতকাল সোমবার সকালে আংগারিদহ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় নিলাম দিতে এসে দেখি বিদ্যালয় ভবনটি নদীগর্ভে চলে গেছে।

মন্তব্য করুন


 

Link copied