আর্কাইভ  শুক্রবার ● ২৯ মার্চ ২০২৪ ● ১৫ চৈত্র ১৪৩০
আর্কাইভ   শুক্রবার ● ২৯ মার্চ ২০২৪
 width=
 

 

কুড়িগ্রামের খাবারে বেজায় খুশি ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামের খাবারে বেজায় খুশি ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের নির্ধারিত স্থান পরিদর্শন করলেন ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের নির্ধারিত স্থান পরিদর্শন করলেন ভুটানের রাজা

রানিকে নিয়ে কুড়িগ্রামে পৌঁছেছেন ভুটানের রাজা

রানিকে নিয়ে কুড়িগ্রামে পৌঁছেছেন ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামে সমৃদ্ধির হাতছানি

কুড়িগ্রামে সমৃদ্ধির হাতছানি

 width=
 
শিরোনাম: রংপুরবাসীর জন্য সরকারি চাকরি, পদ ১৫৯       স্বাস্থ্যের রংপুর বিভাগীয় পরিচালক ফজলুল হক কারাগারে       কুড়িগ্রামের খাবারে বেজায় খুশি ভুটানের রাজা       লালমনিরহাটে পুকুরে জাল ফেলতেই জালে উঠে এলো যুবকের মরদেহ       কুড়িগ্রামে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের নির্ধারিত স্থান পরিদর্শন করলেন ভুটানের রাজা      

 width=
 

মুসলমানের মেয়ের সাথে হিন্দু ছেলের প্রেম প্রতারনা; শালিশের টাকা ভাগ করে নিল মাতব্বরেরা

সোমবার, ১৩ অক্টোবর ২০১৪, রাত ০৮:২৪

নাগেশ্বরী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি: নাগেশ্বরীতে হিন্দু পরিবারের ছেলে মুসলমান সেজে প্রেম প্রতারনা করে এক মুসলমান ভিক্ষুকের কলেজ পড়ুয়া মেয়েকে ধর্ষণ করেছে। ধর্ষককে হাতেনাতে আটক করলেও গোপনে ছেড়ে দিয়েছে স্বয়ং মাতব্বররা। ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পুলিশ রহস্যজনক ফেরত যাওয়ায় হতাশ এলাকাবাসী। ধর্ষকের টাকা মাতব্বরদের ভাগাভাগি করে নেয়ারও অভিযোগ ধর্ষিতার পরিবার ও এলাকাবাসীর। মাতব্বরদের চাপে পালিয়ে বেড়াচ্ছে ধর্ষিতা ও তার মা। নিরুদ্দেশ হয়েছে ধর্ষিতার ভিক্ষুক পিতা। এলাকায় দিনভর উত্তেজনা।

জানা গেছে, উপজেলার সন্তোষপুর ইউনিয়নের আলেপের তেথতি গ্রামের এক ভিক্ষুকের মেয়ে রায়গঞ্জ ডিগ্রি কলেজের এইচএসসি ১ম বর্ষের ছাত্রী কলেজ করার বাকী সময় পার্শ্ববর্তী আলতাফ হোসেনের বাড়িতে ঝিয়ের কাজ করত। দরিদ্র ওই ছাত্রীর অভাবের সুযোগ নেয় উপজেলার রামখানা ইউনিয়নের দক্ষিণ রামখানা গ্রামের শ্রী রজনী কান্ত রায়ের ছেলে শ্রী কৃষ্ণ রায়। একই কলেজের এইচএসসি ২য় বর্ষের ছাত্র কৃষ্ণ রায় নিজেকে আরিফ সাজিয়ে বিয়ের প্রলোভনে ওই ছাত্রীকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে। কৃষ্ণ রায় ওরফে আরিফের কথামত সর্বস্ব বিলিয়ে দেয়। সম্প্রতি আরিফের আসল পরিচয় জানতে পেরে মেয়েটি যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়। মুসলমান হয়ে তাকে শিগগির বিয়ে করবে আবারও আশা দেয় আরিফ। গত শনিবার রাতে ওই আলতাফ হোসেনের বাড়িতে এসে মেয়েটিকে জোড় করে ধর্ষণ করে কৃষ্ণ রায়। পরে কৃষ্ণ রায়কে আটক করে আলতাফ হোসেনের বাড়িতে বেধে রাখা হয়। পরদিন রোববার এলাকবাসীর ভীড় জমে বাড়িতে। খবর পেয়ে নাগেশ্বরী থানার এসআই হারুন অর রশিদ ও রোস্তম আলী সঙ্গীয় ফোর্সসহ ভ্যান নিয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়। কিন্তু রহস্যজনকভাবে সাদা কাগজে উপস্থিত কিছু লোকের লোক দেখানো স্বাক্ষর নিয়ে মেয়ে-ছেলেকে রেখে চলে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে।

এলাকাবাসীর অভিযোগ, ছেলেপক্ষের মোটা অংকের অর্থ নিয়ে সটকে পরে পুলিশ। এসআই রোস্তম আলী জানান, গ্রামে শালিশ করতে চাচ্ছে, তাই তাদের রেখে আসা হয়েছে। এ ঘটনায় তেপথি বাজারসহ পুরো গ্রামে দিনভর থাকে উত্তেজনা। ওইদিন সন্ধ্যায় শালিশ বসানোর কথা থাকলেও বাড়ির মালিক আলতাফ হোসেন, তার ছোট ভাই আফজাল হোসেন, মিজু মিয়া, আব্দুল বাতেনসহ স্থানীয় কিছু মাতব্বর পার্শ্ববর্তী রায়গঞ্জ বাজারে ছেলের পরিবারের সাথে গোপনে বসে। সেখান থেকে ধর্ষককে বাড়ি পাঠিয়ে দেয়া হয়। সাদা কাগজে ধর্ষিতা ও তার মাতার স্বাক্ষর চাইলে শালিশের রায় জানতে চায় ধর্ষিতার মাতা। রায় পরে হবে জেনে স্বাক্ষর দিতে অস্বীকৃতি জানায় তারা। এ সময় স্বাক্ষর না দিলে তাদের গ্রামছাড়া করার হুমকী দেয় মাতব্বররা। পরে মা-মেয়ে ওই বাড়ি থেকে পালিয়ে পার্শ্ববর্তী গ্রামের এক বাড়িতে আশ্রয় নেয়। এলাকাবাসী অভিযোগ তুলেছে মাতব্বররা শালিশের নাম করে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে ছেলেকে তার পরিবারের লোকজনের কাছে তুলে দিয়েয়ে। বর্তমানে আত্মহত্যা ছাড়া পথ নেই বলেও জানায় ধর্ষিতা মেয়েটি। মেয়েটির মা জানান, ভিক্ষার সংসার। মেয়ের আশা পড়বে। সে কারণে মেয়ে পড়ার খরচ জোগাতে অন্যের বাড়িতে কাজ করে। এখন সব শেষ। এ ঘটনা জানার পর নিরুদ্দেশ ধর্ষিতার পিতা।

মাতব্বর আলতাফ হোসেন জানান, ‘মেয়েটি’ বড় অন্যায় করেছে। মুসলমানের জাত মেরেছে। এখানে করার কিছু নেই, তাই ছেলেকে তার ভাইকে দেয়া হয়েছে। মেয়েটি গরীব তাকে ২০হাজার টাকা দিতে চেয়েছে ছেলের পরিবার। দিলে মেয়েটিকে দিয়ে দেয়া হবে।

নাগেশ্বরী থানার ওসি (তদন্ত) বদরুল আলম জানান, ওই ছেলে আর মেয়েটি ফ্রেন্ড। ছেলেটি বেড়াতে এসেছিল।

মন্তব্য করুন


 

Link copied