হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জাহাঙ্গীর সেলিম জানান, দেশের উত্তর জনপদের সাধারণ মানুষ উন্নত চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত রয়েছে। উচ্চবিত্ত শ্রেণীর রোগিরা রাজধানীর নামকরা হাসপাতালে ব্যয়বহুল চিকিৎসা নিলেও মধ্যবিত্ত ও সাধারণ শ্রেণীর রোগিরা ঢাকায় চিকিৎসা করানোর সুযোগ পাননা। তাই এলাকার সব শ্রেণীর মানুষের সময় ও অর্থ অপচয়ের হাত থেকে বাঁচাতে এবং রাজধানী সমমানের চিকিৎসা দিতে বিরামপুরে যৌথ বিনিয়োগে প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে আমেরিকা অস্ট্রেলিয়া বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশীপ হাসপাতাল।
হাসপাতালটির মিডিয়া এন্ড মাকেটিং পরিচালক মোরশেদ মানিক জানান, এখানে বিশ্বমানের সর্বাধুনিক প্রযুক্তি সম্পন্ন যন্ত্রপাতি দিয়ে কালার আল্টাসনোগ্রাম, এমআরআই, সিটিস্কান, লেজার রশ্মির সাহায্যে সকল প্রকার রোগ নিরূপনের ব্যবস্থা রয়েছে। হাসপাতালে থাকছে ৪টি অপারেশন থিয়েটার, এসি, নন-এসি ক্যাবিন, আইসিইউ, বেবী ইনকুবেটর, জেনারেল ওয়ার্ড ও বার্ণ ইউনিট। বিশেষজ্ঞ ডাক্তারগণ এখানে কিডনী, মেডিসিন, বক্ষব্যাধি, ইএনটি, গাইনী, মা-শিশু, চর্ম-যৌন, দন্ত, চক্ষু, ডায়াবেটিস, অর্থপেডিক সহ অন্যান্য রোগের চিকিৎসা দিবেন। অপারেশন ছাড়া রোগ নিরাময়ের জন্য রয়েছে লেজার ও থেরাপী চিকিৎসা। এ হাসপাতালটি বাণিজ্যিক স্বার্থে নয়, মানব সেবায় সুলভে চিকিৎসা সেবা দেয়ার ব্রত নিয়ে এগিয়ে যাবে।
ঢাকার আমেরিকা বাংলাদেশ স্পেশালাইজ হাসপতালের চেয়ারম্যান বিশিষ্ট প্লাস্টিক সার্জন ডাঃ শামসুজ্জামান এ হাসপাতালটিরও চেয়ারম্যান।
বিরামপুর জেলা বাস্তবায়ন আইনজীবী পরিষদের সভাপতি এ্যাডভোকেট মওলা বক্স ঢাকার নামী-দামী হাসপাতালের সমকক্ষ এ হাসপাতাল দেখে বলেন, এটি চালু হলে এলাকাবাসী উন্নত সেবা পাবে এবং এটি বিরামপুর উন্নয়নে মাইল ফলক হিসাবে সমুজ্জল থাকবে।