আর্কাইভ  শুক্রবার ● ২৯ মার্চ ২০২৪ ● ১৫ চৈত্র ১৪৩০
আর্কাইভ   শুক্রবার ● ২৯ মার্চ ২০২৪
 width=
 

 

কুড়িগ্রামের খাবারে বেজায় খুশি ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামের খাবারে বেজায় খুশি ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের নির্ধারিত স্থান পরিদর্শন করলেন ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের নির্ধারিত স্থান পরিদর্শন করলেন ভুটানের রাজা

রানিকে নিয়ে কুড়িগ্রামে পৌঁছেছেন ভুটানের রাজা

রানিকে নিয়ে কুড়িগ্রামে পৌঁছেছেন ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামে সমৃদ্ধির হাতছানি

কুড়িগ্রামে সমৃদ্ধির হাতছানি

 width=
 
শিরোনাম: রংপুরবাসীর জন্য সরকারি চাকরি, পদ ১৫৯       স্বাস্থ্যের রংপুর বিভাগীয় পরিচালক ফজলুল হক কারাগারে       কুড়িগ্রামের খাবারে বেজায় খুশি ভুটানের রাজা       লালমনিরহাটে পুকুরে জাল ফেলতেই জালে উঠে এলো যুবকের মরদেহ       কুড়িগ্রামে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের নির্ধারিত স্থান পরিদর্শন করলেন ভুটানের রাজা      

 width=
 

ডিমলা উপজেলায় দ্বিখণ্ডিত বিএনপিতে চলছে উত্তেজনা আহবায়কের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন

শনিবার, ৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৩, রাত ১০:০৫

নিজস্ব সংবাদদাতা,নীলফামারী॥ নীলফামারী ডিমলা উপজেলা দ্বি-খণ্ডিত বিএনপিতে চলছে চরম উত্তেজনা। যে কোন দিন বা সময়ে সংঘর্ষ ঘটতে পারে । এ অবস্থায় দলের খণ্ডিত একটি বড় অংশ শনিবার দুপুরে দলের উপজেলা আহবায়ক কমিটির বর্তমান আহবায়ক অধ্যাপক রইসুল ইসলামের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ এনে সংবাদ সম্মেলন করেছে। ডিমলা উপজেলা বিএনপির একাংশের দলীয় কার্যালয়ে উপজেলা বিএনপির সহ সভাপতি রবিউল করিমের সভাপতিত্বে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আরিফ-উল ইসলাম লিটন। সংবাদ সম্মেলনে দলীয় স্বার্থ-বিরোধী কর্মকাণ্ডের জন্য রইসুল আলম ও তার অনুগত সকল কমিটিকে প্রত্যাখ্যান করার ঘোষণা দেওয়া হয়। এ ছাড়া অধ্যাপক রইসুল ইসলাম কে অপসারণ করা না হলে বিএনপি ত্যাগের ঘোষণা দেয়া হয়। সংবাদ সম্মেলনে দাবী করা হয় চলতি কাউন্সিলের মাধ্যমে প্রত্যক্ষ নির্বাচনে অধ্যাপক আবুল কাশেম সভাপতি ও আরিফ-উল - ইসলাম লিটন কে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত করা হয়। এই অবস্থায় নীলফামারী জেলার অন্য কোন উপজেলা কমিটি ভেঙ্গে না দিয়ে শুধু মাত্র ডিমলা উপজেলা বিএনপির কমিটির মেয়াদ পূরণের আগেই গঠনতন্ত্র না মেনে ভেঙ্গে দিয়ে অধ্যাপক রইসুল আলমকে আহবায়ক করে একটি আহবায়ক কমিটি গঠন করে দেওয়া হয়। আর আহবায়কের দায়িত্ব পেয়ে অধ্যাপক রইসুল আলম ত্যাগী নেতাদের বাদ দিয়ে তার আত্মীয় স্বজন ও আজ্ঞাবহদের কমিটিতে এনে বসায়। অদৃশ্য এক শক্তির দাপটে তিনি দলের সকল অঙ্গ সংগঠনে তার অনুগত অরাজনৈতিক ব্যক্তিদের নিয়ে গঠন করেন। যেমন আহবায়ক তার স্ত্রী সেতারা সুলতানা কে উপজেলা মহিলা দলের সভানেত্রী বানিয়ে দেন। কোন প্রকার সম্মেলন ছাড়াই উপজেলা যুবদলের পুর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করেন । যাতে সভাপতি করা হয় ডিমলা আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক গোলাম রাব্বানী প্রধান কে। যে বিএনপির দলীয় নির্বাচনের বিরোধিতা কারী এবং যার নেতৃত্বে দুইবার বিএনপির কার্যালয় ভাংচুর করা হয় । সংবাদ সম্মেলনে আরো বলা হয় রইসুল ইসলাম ছাত্রদলকে বাবা দলে পরিণত করেছেন। এই দলের সভাপতি সাধারণ সম্পাদক, সাংগঠনিক সম্পাদক সকলেই বিবাহিত ব্যবসায়ী ও সন্তানের জনক। চলতি বছরের ১১ জানুয়ারি রইসুল আলমের বাসায় সম্মেলন দেখিয়ে ছাত্রদলের সভাপতি করেন ডিমলা বিএম আই কলেজের প্রদর্শক এক সন্তানের জনক স্বপন উজ জামান কে। আর সাধারণ সম্পাদক করা হয় যার কোন ছাত্রত্ব নেই এমন এক ব্যবসায়ী ২ সন্তানের জনক তবিবুল ইসলাম ও সাংগঠনিক সম্পাদক করা হয় গেঞ্জি ব্যবসায়ী এক সন্তানের জনক আইয়ুব আলী কে। কৃষক দলের সভাপতি করেছেন ঘাটের পাড় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বাবুল হোসেনকে। সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা বিএনপির সদস্য নুরুজ্জামান,সাংগঠনিক সম্পাদক বদিউজ্জামান উপজেলা ছাত্রদলের আশিকুল ইসলাম প্রমুখ। এ ব্যাপারে ডিমলা উপজেলা বিএনপির আহবায়ক রইসুল আলম চৌধুরীর সাথে কথা বলা হলে তিনি সাংবাদিকদের বলেন যারা সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করছে তারা বিএনপির কেউ না। আমি তাদের কাউতেই চিনিনা।এদিকে দ্বিখণ্ডিত ওই উপজেলা বিএনপির মধ্যে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। যে কোন সময় তাদের মধ্যে সংঘর্ষ ঘটতে পারে বলে এলাকাবাসী আশংকা করছে।

মন্তব্য করুন


 

Link copied