আর্কাইভ  শনিবার ● ২০ এপ্রিল ২০২৪ ● ৭ বৈশাখ ১৪৩১
আর্কাইভ   শনিবার ● ২০ এপ্রিল ২০২৪
 width=
 
 width=
 
শিরোনাম: লালমনিরহাটে মোবাইল ফোনে কথা বলছিল, হঠাৎ পিছন থেকে ট্রেনের ধাক্কায় কাটা পড়লেন যুবক       ঠাকুরগাঁওয়ে নিখোঁজের ২ দিন পরে ছাত্রের মরদেহ উদ্ধার       ছুটি বাড়ল সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে       ডিমলা উপজেলা নির্বাচন॥ এমপির ভাই, ভাতিজা ও ভাতিজি বউ প্রার্থী-তৃণমূলে ক্ষোভ       কিশোরী গৃহকর্মীকে খুন্তির ছ্যাকা; রংপুর মেডিকেলে মৃত্যু যন্ত্রণায় পাঞ্জা লড়ছে নাজিরা      

 width=
 

সৈয়দ নজরুল ইসলামের বাড়িটি এখন শুধুই স্মৃতি

সোমবার, ৩ নভেম্বর ২০১৪, দুপুর ১১:১৫

ময়মনসিংহ প্রতিনিধি : সাবেক অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি ও জাতীয় চার নেতার অন্যতম শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলামের জন্ম কিশোরগঞ্জে যশোদলপুর হলেও ময়মনসিংহ শহর ছিল তার প্রিয় শহর। যে কারণে স্ত্রী সৈয়দা নাফিসা ইসলামসহ সন্তানদের নিয়ে শহরের কলেজ রোডের বাড়িতেই নিয়মিত বসবাস করতেন তিনি। দোতলা এ বাড়িটি এখন শুধুই স্মৃতি। রজব আলী নামে এক কেয়ারটেকার বাড়িটি রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব পালন করেন। চুন-রঙ বা ধোঁয়া-মুছাও নেই বললেই চলে। শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলামের বড় ছেলে এলজিআরডিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম বছরে দু’একবার রাত্রিযাপন ছাড়া বাকি সময় অলস পড়ে থাকে বাড়িটি। এ ছাড়া বাড়ির আঙ্গিনায় বছরে একবার ফুলেল শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়, সেদিনটি হলো ৩ নভেম্বর জেল হত্যা দিবসে। সাদামাটা আয়োজনেই প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধার্ঘ্য অর্পণ করেন শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম স্মৃতি পরিষদ অথবা জাতীয় চার নেতা স্মৃতি পরিষদ অথবা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ। এরই ধারাবাহিকতায় এবারও পূষ্পার্ঘ্য অর্পণ, মিলাদ মাহফিল, শোক র‌্যালি ও আলোচনা সভার আয়োজন করেছে শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম স্মৃতি পরিষদ ও জেলা আওয়ামী লীগ। জেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে সোমবার সকাল ১০টায় রেলওয়ে কৃষ্ণচূড়া চত্বরে জমায়েত হয়ে শোক র‌্যালি শেষে কলেজ রোডের বাসভবনে পূষ্পার্ঘ্য অর্পণ এবং বিকেল ৩টায় শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম স্মৃতি পরিষদ বার মিলনায়তনে মিলাদ, কুরআনখানি ও আলোচনা সভার আয়োজন করেছে। এ ছাড়া টাউনহল মোড় নজরুল ইসলামের নামে প্রতিষ্ঠিত শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম কলেজের সামনে প্রতিকৃতিতে পূষ্পার্ঘ অর্পণ, মিলাদ, কুরআনখানি ও আলোচনাসভা করবে কলেজের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। জাতীয় চার নেতা স্মৃতি পরিষদের আহ্বায়ক প্রবীণ আওয়ামী লীগ নেতা মজিবুর রহমান খান মিল্কী বলেন, ‘স্যার ময়মনসিংহকে খুব বেশি পছন্দ করতেন। থাকতেরও সপরিবারে শহরের কলেজ রোডের বাসায়। ১৯৬১ সালের দিকে ময়মনসিংহ শহরের গোলকীবাড়ি এলাকায় একটি ভাড়া বাসায় সপরিবারে বসবাস করলেও ৬৪ সালের দিকে কলেজ রোড এলাকায় একটু জমি কিনে টিনসেড নির্মাণ করে নিয়মিত বসবাস শুরু করেন তিনি। এরপর তিন রুমের টিনসেডের বাড়িটি পাকা করা হয়। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার পর ৩ নভেম্বর জেলখানায় চার নেতাকে হত্যা করা হয়। তাদেরই অন্যতম সৈয়দ নজরুল ইসলাম। তার মৃত্যর পর স্ত্রী সৈয়দা নাফিসা ইসলাম তার ৪ ছেলে (সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম, সৈয়দ মঞ্জুরুল ইসলাম মঞ্জু, সৈয়দ শরিফুল ইসলাম ও সৈয়দ সায়ায়েতুল ইসলাম) ও দুই মেয়ে শহরের বাড়িটিতে বেশির ভাগ সময়ই থাকতেন। তবে নিয়মিত বসবাস করতেন সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম।’ স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, তার স্মৃতি ধরে রাখতে তৎকালীন আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দকে নিয়ে ১৯৮০ সালের দিকে গঠন করা হয় শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম স্মৃতি পরিষদ। প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মনোনীত করা হয় অ্যাডভোকেট এম জুবেদ আলীকে। এরপর নেতৃত্বের টানাপোড়ন ও আইনজীবীঘেষা নেতৃত্বের কারণে দ্বিধাবিভক্ত হয়ে পড়েন তারা। এরপর আওয়ামী লীগের প্রবীণ নেতা মজিবুর রহমান খান মিল্কীকে আহ্বায়ক করে ৯৬ সালে গঠিত হয় জাতীয় চার নেতা স্মৃতি পরিষদ। শহীদের স্মৃতিকে স্মরণে রাখতে ১৯৯৯ সালে টাউনহল মোড়ে প্রতিষ্ঠিত হয় শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম কলেজ। যা বর্তমানে শহরের স্বনামধন্য ইন্টামিডিয়েট কলেজ। এ ছাড়া ৭ বছর আগে টাউনহল মোড়ের সৌন্দর্যবর্ধণ করে নতুন নামকরণ করা হয় ‘শহীদ সৈয়দ নজরুল স্কয়ার’। শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম স্মৃতি পরিষদ নেতা অ্যাডভোকেট মোয়াজ্জেম হোসেন বাবুল জানান, নজরুল ইসলাম ক্ষমতায় থাকাকালীন কোনো অপব্যবহার করেননি। ময়মনসিংহ প্রিয় শহর হলেও এখানে ছোট্র একটি বাড়ি ছাড়া আর কোনো স্মৃতি, কোনো সম্পত্তি বা ব্যবসা প্রতিষ্ঠান নেই তার।

মন্তব্য করুন


 

Link copied