আর্কাইভ  বৃহস্পতিবার ● ২৮ মার্চ ২০২৪ ● ১৪ চৈত্র ১৪৩০
আর্কাইভ   বৃহস্পতিবার ● ২৮ মার্চ ২০২৪
 width=
 

 

রানিকে নিয়ে কুড়িগ্রামে পৌঁছেছেন ভুটানের রাজা

রানিকে নিয়ে কুড়িগ্রামে পৌঁছেছেন ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামে সমৃদ্ধির হাতছানি

কুড়িগ্রামে সমৃদ্ধির হাতছানি

আন্তর্জাতিক যোগাযোগের গেটওয়ে হবে কুড়িগ্রাম

আন্তর্জাতিক যোগাযোগের গেটওয়ে হবে কুড়িগ্রাম

কুড়িগ্রামে ভুটানিজ বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল আলোর মুখ দেখতে বসেছে

কুড়িগ্রামে ভুটানিজ বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল আলোর মুখ দেখতে বসেছে

 width=
 
শিরোনাম: রানিকে নিয়ে কুড়িগ্রামে পৌঁছেছেন ভুটানের রাজা       ২৯ রমজান কি অফিস খোলা?       আজ ঐতিহাসিক রংপুর ক্যান্টনমেন্ট ঘেরাও দিবস       লালমনিরহাটে বিএসএফের গুলিতে নিহত বাংলাদেশি যুবকের মরদেহ হস্তান্তর       কুড়িগ্রামে সমৃদ্ধির হাতছানি      

 width=
 

বেরোবিতে উপাচার্যের স্বেচ্ছাচারিতা;৩৪তম বিসিএস থেকে শিক্ষার্থীরা বঞ্চিত

শনিবার, ৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৩, রাত ১০:৫৪

কায়সার আলম,শিক্ষার্থী, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, রংপুর

ক্লাশ, পরীক্ষা, টিউটোরিয়াল ও অন্যান্য প্রশাসনিক কার্যক্রম সবকিছু ঠিকঠাক চলতে থাকলে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের অন্তত দুটি বিভাগের (অ্যাকাউন্টিং এন্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগ ও মার্কেটিং বিভাগ) ২০০৮-২০০৯ শিক্ষাবর্ষের ১ম ব্যাচের শিক্ষার্থীরা এই ৩৪তম বি

নভেম্বর ২০১২ থেকে আজ ফেব্রুয়ারি ২০১৩ পর্যন্ত প্রমাণিত দুর্নীতিবাজ উপাচার্য এবং তার সন্ত্রাসী বাহিনীর জন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি বন্ধ রয়েছে। শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা সবাই দেখেছে, জেনেছে, বুঝেছে। দু বছর আগে একটি ক্লাসে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন করে প্রশাসন। কিন্তু শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে উপাচার্য নতুন করে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালনের কথা দিলেও সেই কথা রাখেননি তিনি। গত বছরও প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর ঠিক আগেই শিক্ষার্থী কর্তৃক শিক্ষক লাঞ্ছিত-অপমানিত ও শারীরিক ভাবে আক্রমণের শিকার হলে ওই শিক্ষার্থীর বহিষ্কারের দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয় অচল হয়ে পরে । শুধুমাত্র ওই শিক্ষার্থীকে বাঁচানোর জন্য উপাচার্য বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ করে দেন দেড় মাস। শুধু তাই নয় টানা দেড় মাস ক্যাম্পাস বন্ধ করে রাখলে যখন সকলে তার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে সোচ্চার হতে চাইলো তখন তিনি তা জানতে পেরে এক উদ্ভট উপায়ে মোবাইল এসএমএস এর মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয় পাঁচ দিন বন্ধ বাড়িয়ে দেন। কিন্তু ক্যাম্পাস খুললে শুরু হয় সেই প্রত্যাশিত ও অবিসম্ভাব্য আন্দোলন। যে আন্দোলন ছিলো একদম যৌক্তিক ও ন্যায়সঙ্গত। শিক্ষার্থীরা দীর্ঘদিন লাঞ্ছিত-বঞ্চিত হয়ে দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেলে আন্দোলন করবে নাতো কি? নিজেদের অধিকার আদায়ের এই আন্দোলনে লোক লাগিয়ে শিক্ষার্থীর মাথা ফাটিয়েই শুধু তিনি ক্ষান্ত হননি, লোক লাগিয়ে শিক্ষককে অ্যাসিডও মেরেছেন। শিক্ষার্থীরা যখন গভীর রাতে আমরণ অনশন-রত, তাদের নিরাপত্তার কথা না ভেবেই পুলিশ লাগিয়ে ক্যাম্পাস থেকে বের করে দিয়েছেন তাদের। নিজেকে বাঁচানোর জন্য শিক্ষার্থীদের মহামূল্যবান সময়ের কথা না ভেবে ক্যাম্পাস বন্ধ ঘোষণা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি ও তার অর্থলোভী দোসররা মিলে। ফলে তৈরি হয়েছে সেশন জট। আর এই সেশন জটের দায়ভার একমাত্র তারই, অন্য কারোও নয়।

আন্দোলন করা গণতান্ত্রিক অধিকার। পরিস্থিতি সামলে উঠতে তিনি আন্দোলনকারীদের সাথে কথা বলতে পারতেন, এমন কি আন্দোলন অনৈতিক হলে ব্যবস্থাও নিতে পারতেন। তা না করে বরং তিনি কিছু শিক্ষার্থীকে টাকা দিয়ে কিনে নিয়ে খুব সকালে লিফলেট বিলিয়েছেন।

মজার ব্যাপার হলো, এক শিক্ষার্থী ভিসিকে আন্দোলনকারীদের তৈরি করা দুর্নীতিবিরোধী মঞ্চে উপস্থিত যেতেবললে তিনি বলেন, ‘সেখানে গেলে আমার নিরাপত্তা কে দেবে?’ কথাটি সত্যি হাস্যকর, কীভাবে তিনি যাবেন শিক্ষার্থীদের সামনে, যখন শিক্ষার্থীদের সামনে যাবার সকল নৈতিক সাহসটুকুও তিনি হারিয়েছেন।

ইতোমধ্যেই প্রমাণিত হয়েছে যে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্দোলন কোন ভাবেই অবৈধ কিংবা অযৌক্তিক নয়। দুর্ণীতির প্রমাণ মেলায় ইউজিসি কর্তৃক তার সকল নিয়োগ দেওয়ার কালোহাত ভেঙে দেওয়া হয়েছে। কারণ আন্দোলনকারীরা যে এনআইডিএস বন্ধের জন্য আন্দোলন করেছে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী আইনুন্নাহার সেটিকে কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না সেই মর্মে উকিল নোটিশ পাঠিয়েছেন। কিন্তু এরই মধ্যে খবর এসেছে, উপাচার্য ইউজিসির আদেশ অমান্য করে পূর্ব তারিখ দিয়ে ২৮৬ জনকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। সূত্র:দৈনিক যুগান্তরে।

এত সব কিছুর পর তার প্রতি ঘৃণা জানানোর ভাষা আমাদের জানা নেই। এদিকে শিক্ষার্থীদের এ পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়কে দেওয়া বিভিন্ন খাতের টাকা ব্যাংক অ্যাকাউন্টে নেই, এই টাকা তসরুফ হয়েছে, না কোথায় গিয়েছে তার হিসেব উপাচার্যকেই দিতে হবে। উপাচার্য নিজেই অনিয়ম, দুর্নীতি করবেন, নিজের স্বার্থ রক্ষায় বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করবেন, তা হতে পারে না। তারই স্বেচ্ছাচারিতার জন্য শিক্ষার্থীদের মহামূল্যবান সময় নষ্ট হবে, সেশন জটে পড়বে, তাও হতে পারে না।

এরই মধ্যে অনেক শিক্ষার্থীই বিসিএস এর প্রস্তুতি নিয়েও ফেলেছিল। তাই এটাও মেনে নেয়া কঠিন যে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ৩৪তম বিসিএস পরীক্ষাটি দেওয়ার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হতে যাচ্ছে। এ পরিস্থিতির আরও অবনতি হতে পারে বলে আশঙ্কা আমাদের। আমরা মনে করি এই মুহূর্তে আচার্য মহামান্য রাষ্ট্রপতির হস্তক্ষেপ-ই বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়কে রক্ষা করতে পারে।

মন্তব্য করুন


 

Link copied