প্রশ্ন উঠেছে কেন মৃত্যুর আগ মুহূর্ত পর্যন্ত ড. শফিউল হাতছাড়া করতে চাননি মোবাইলটি। তবে কি বড় কোনো প্রমাণ লুকিয়ে আছে মোবাইলটিতে? হয়তো তিনি হামলাকারীদের ফোন রেকর্ড করেছিলেন। কিংবা ভিডিও বা এসএমএস (খুদেবার্তা) কিংবা কল নাম্বার সংরতি রেখেছেন। এমন নানা সন্দেহ ঘুরপাক খাচ্ছে শিক্ষকসহ হত্যার কু অনুসন্ধানে নামা আইন-শৃক্সখলাবাহীর সদস্যদের মধ্যে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই শিক্ষক বলেন, স্যারের ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটি হতে পারে হত্যাকান্তের রহস্য উদঘাটনের বড় ‘কু’। হামলার পর থেকে জ্ঞান হারানোর আগ পর্যন্ত স্যার তার মোবাইল ফোনটি হাতছাড়া করেননি। তিনি মনে করেন, পুলিশ যখন কোনো কারণ উদ্ধার করতে পারছে না তখন নিহতের ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটিই হতে পারে বড় কু।রাজশাহী মহানগর পুলিশের উপপরিদর্শক (ওসি) আব্দুল মজিদ বলেন, সাক্ষী হিসেবে একটি মোবাইল ফোন পেয়েছি। সেটি নিয়ে আমরা এরই মধ্যে কাজ শুরু করে দিয়েছি। তিনটি বিষয় নিয়ে আমরা সামনে এগুচ্ছি। তবে এখন পর্যন্ত নির্দিষ্ট কাউকে শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি।
এছাড়াও হত্যাকাণ্ডের পরে নিহত শফিউলের বাসা থেকে উদ্ধারকৃত সমাজ বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্রীর প্রেমিক জাহাঙ্গীর জড়িত থাকতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। আটককৃত ছাত্রীর প্রেমিক একই বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী। নিহত ড. শফিউলের সাথে জাহাঙ্গীরের সুুম্পর্ক ছিল। জাহাঙ্গীরের মাধ্যেমেই স্যারের সাথে পরিচিত হন ওই ছাত্রী। পরে স্যারের সাথে ছাত্রীর গভীর সম্পর্ক গড়ে উঠে এবং প্রেমিক জাহাঙ্গীরকে এড়িয়ে চলতে থাকে। পরে আস্তে আস্তে তাদের সম্পর্কে অবনতি ঘটে। সংশ্লিষ্ট বিভাগের শিক্ষার্থীরা মনে করেন, প্রতিশোধ নিতে প্রেমিক জাহাঙ্গীর এই হত্যাকা- ঘটাতে পারে।
সার্বিক বিষয়ে নগরীর মতিহার থানার কর্মকর্তা (ওসি) আলমগীর বলেন, ওই ছাত্রীকে আটকের পর গোয়েন্দা দপ্তরে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল মজিদ বলেন, তদন্তের স্বার্থে এখনও কিছু বলা যাচ্ছে না। পরবর্তীতে আপনাদের জানানো হবে।প্রসঙ্গত, শনিবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন চৌদ্দপাই এলাকায় দুর্বৃত্তদের হামলায় গুরুতর আহত হন বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক প্রফেসর ড.একেএম শফিউল ইসলাম। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তিনি মারা যান। এ হত্যার ঘটনায় রোববার রাবি রেজিস্ট্রার প্রফেসর ড. এন্তাজুল হক বাদী হয়ে অজ্ঞতনামা ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।