আর্কাইভ  শুক্রবার ● ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ● ৬ বৈশাখ ১৪৩১
আর্কাইভ   শুক্রবার ● ১৯ এপ্রিল ২০২৪
 width=
 
 width=
 
শিরোনাম: পলাশবাড়ীতে আসামির ছুরিকাঘাতে বাদীর মৃত্যু, গ্রেফতার ১       মন্ত্রী-সংসদ সদস্যদের সন্তান-স্বজনের ভোটে না দাঁড়ানোর নির্দেশ       ভোজ্যতেলের দাম বাড়ল, খোলা তেলে সুখবর       বিএনপি নেতা সোহেলের নিঃশর্ত মুক্তি দাবিতে রংপুরে  মানববন্ধন ও সমাবেশ        খরার ঝুঁকিতে রংপুর অঞ্চল      

 width=
 

রংপুরে শিক্ষক কর্তৃক ছাত্রী ধর্ষন; বিচারের নামে মাতব্বরদের টাকা আত্নসাৎ

শুক্রবার, ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৩, রাত ১১:৫৩

সেন্ট্রাল ডেস্ক: রংপুরের কাউনিয়া উপজেলার গদাই গ্রামে সহায় সম্বলহীন হতদরিদ্র এক স্কুল ছাত্রীর দারিদ্রতার সুযোগ নিয়ে বিয়ে করার প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষন করেছে তারই স্কুলের এক শিক্ষক। এ ঘটনার বিচার চাইতে গিয়ে গ্রামের মাতব্বররা উল্টো ৫০ হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। শুধু তাই নয় এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের করার পর ধর্ষিতা স্কুল ছাত্রী তার মা সহ স্বজনদের নিয়ে এখন পালিয়ে বেড়াচ্ছে। রংপুরের কাউনিয়া উপজেলা সদরে অবস্থিত বালিকা বিদ্যালয়ের দশম শ্রেনীর ছাত্রীকে বিভিন্ন ভাবে উত্যাক্ত করতো ওই বিদ্যালয়ের অংকের শিক্ষক সুলতান আলী। পিতৃহীন স্কুল ছাত্রীর পরিবারের দারিদ্রতার সুযোগ নিয়ে তাকে বিয়ে করার প্রলোভন দেখিয়ে তাকে কয়েক দফা ধর্ষন করে। এ ব্যাপারে ধর্ষিত স্কুল ছাত্রী শিক্ষক সুলতারকে বিয়ে করার জন্য বললে তাকে নানান হুমকী প্রদান করা হয়। এ ঘটনায় স্থানীয় মাতববরদের কাছে বিচার দিলে তারা শিক্ষকের সাথে বিয়ে পড়িয়ে দেবে বলে ৫০ হাজার টাকা দাবি করে। উপায়ন্তর না দেখে স্কুল ছাত্রীর পরিবার শেষ সম্বল ২টি গরু বিক্রি করে ৫০ হাজার টাকা তুলে দেয় মাতব্বরদের হাতে। কিন্তু তারা বিচার না করে উল্টো পক্ষ নেয় ধর্ষক শিক্ষকের। বাধ্য হয়ে এ ঘটনায় ধর্ষিতা স্কুল ছাত্রী নিজেই বাদী হয়ে কাউনিয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করে।

পুলিশ আসামীকে গ্রেফতার না করে বরং তাকে সরে থাকার পরামর্শ দেয়। এই সুযোগে ধর্ষক স্কুল শিক্ষক সুলতান ও তার স্বজনরা এখন প্রান নাশের হুমকী দিচ্ছে ধর্ষিতা স্কুল ছাত্রীকে। ফলে মাসহ বাড়ি ঘর ছেড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে তারা। এলাকাবাসি ধর্ষিতা স্কুল ছাত্রীর বিচার চাইলেও আসামীরা এলাকার প্রভাবশালী হওয়ায় তারা প্রকাশ্যই মুখ খুলছেনা। তবে সকলেই চাইছে লম্পট শিক্ষককে গ্রেফতার করে দৃষ্টান্ত মুলক শাস্তি। মেয়েটি নানা হুমকি দিচ্ছে মামলা তুলে নেওয়ার জন্য আর লেখা পাড়া প্রায় বন্ধ হবার উপক্রম।বিচারের নামে টাকা হাতিয়ে নিয়েছে গ্রামের কয়েকজন নেতা। আবার অনেকে বলছেন টাকার কাছে বিচার বিক্রি হয়ে গেছে যার কারনে গবির মানুষের কোন বিচার নাই। তারা সঠিক বিচার চায় ।পুলিশ অবশ্য বলছে তারা নাকি আসামীকে খুজে পাচ্ছেনা। তবে গ্রেফতারের চেষ্টা করছে।  ধর্ষিতা স্কুল ছাত্রীর মা সামান্য ফেরি ব্যাবসা করে জীবিকা নির্বাহ করেন সংসারে কোন পুরুষ মানুষ না থাকায় ধর্ষিতা এখন নিরাপত্তাহীনতায় ভুকছেন ।দারিদ্রতার সুযোগ নিয়ে স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষন কারী ল¤পট শিক্ষককে অবিলম্বে গ্রেফতার করে কঠোর শাস্তি দেয়া হবে এমনটাই দাবি করেছেন এলাকার সকল স্তরের ।

মন্তব্য করুন


 

Link copied