আর্কাইভ  শুক্রবার ● ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ● ৬ বৈশাখ ১৪৩১
আর্কাইভ   শুক্রবার ● ১৯ এপ্রিল ২০২৪
 width=
 
 width=
 
শিরোনাম: পলাশবাড়ীতে আসামির ছুরিকাঘাতে বাদীর মৃত্যু, গ্রেফতার ১       মন্ত্রী-সংসদ সদস্যদের সন্তান-স্বজনের ভোটে না দাঁড়ানোর নির্দেশ       ভোজ্যতেলের দাম বাড়ল, খোলা তেলে সুখবর       বিএনপি নেতা সোহেলের নিঃশর্ত মুক্তি দাবিতে রংপুরে  মানববন্ধন ও সমাবেশ        খরার ঝুঁকিতে রংপুর অঞ্চল      

 width=
 

রংপুরে নিয়োগ কমিটি বাতিলের দাবিতে চাকরি প্রত্যাশীদের বিক্ষোভ

শনিবার, ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৩, বিকাল ০৫:৩৩

স্টাফ রিপোর্টার: রংপুর বিভাগীয় কার্যালয়ে আয়কর বিভাগের কর কমিশনার অফিসে ৩য় ও ৪র্থ শ্রেণীর কর্মচারী নিয়োগে লিখিত পরীক্ষার নামে আইওয়াশ, প্রশ্নপত্র ফাঁস, খাতা বদল, প্রশ্নপত্র বাহির থেকে এনে উত্তরপত্র কর্মচারী কর্তৃক লিখে দেয়াসহ বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির প্রতিবাদে কয়েকশ চাকরি প্রত্যাশী পরীক্ষা কেন্দ্রের সামনে বিক্ষোভ করেছে। লিখিত পরীক্ষা বাতিল করে নতুন করে পরীক্ষা গ্রহণ এবং নিয়োগ কমিটি ভেঙ্গে দেয়ার দাবি জানান। চাকরি প্রত্যাশীদের এ ঘটনায় নগরজুড়ে তোলপাড়ের সৃষ্টি হয়েছে। চাকরি প্রত্যাশীরা অভিযোগ করে জানান, রংপুর কর কমিশনার কার্যালয়ে উচ্চমান সহকারী, অফিস সহকারী, কম্পিউটার অপারেটর, নৈশপ্রহরী, এমএলএসএসসহ ৬১টি পদে নিয়োগ দেবার জন্য আবেদনপত্র আহ্বান করে। প্রায় ৭ হাজার আবেদনপত্র জমা পড়ে।

গতকাল শুক্রবার রংপুর পুলিশ লাইন স্কুল এন্ড কলেজে লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। ৩ শিফটে নেয়া পরীক্ষা চলাকালীন কোন নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে পরীক্ষার্থীরা বেঞ্চে এক সঙ্গে বসে একে অপরের খাতা থেকে উত্তর লিখতে থাকে এবং তাতে সহযোগিতা করে পরীক্ষা নিতে আসা আয়কর বিভাগের কর্মকর্তারা। শুধু তাই নয়, অনেকেই প্রকাশ্যই বই নিয়ে পরীক্ষা দেয়। এছাড়াও পরীক্ষা চলাকালীন প্রশ্নপত্র বাহির থেকে এনে উত্তরপত্র লিখে ভেতরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। আর এতে সহযোগিতা করেছে কর কমিশনার অফিসের লোকেরা। ফলে পরীক্ষার নামে প্রহসন করা হয়েছে। সরেজমিন গিয়ে দেখা গেছে, পরীক্ষা নেয়ার দায়িত্বে থাকা কিছু ব্যাক্তি চেয়ারে বসে নীরব দর্শকের ভূমিকাই পালন করেছেন। অনেকে আবার কাগজে উত্তরপত্র লিখে নিয়ে এসে প্রকাশ্যই পরীক্ষা দিয়েছে। বেশ কয়েকজন পরীক্ষার্থীকে আবার আগে থেকে সরবরাহ করা প্রশ্নপত্রের উত্তর তৈরি করে নিয়ে আসা উত্তরপত্র পূরণ করতে। ফলে পরীক্ষা শুরুর আগেই প্রশ্নপত্র ফাঁস করা হয়েছে। এ বিষয়ে কয়েকজন পরীক্ষার্থী অভিযোগ করে বলেন, পরীক্ষা নেয়ার দায়িত্বে নিয়োজিত কর্মকর্তারা আগে থেকে ঘুষের অর্থ চুক্তিকারীদের সুযোগ করে দেবার জন্য এই অপকর্ম করা হয়েছে বলে পরীক্ষার্থীরা অভিযোগ করেছে। তারা অভিযোগ করেছে কর বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা একেক জনের কাছ থেকে তিন থেকে পাঁচ লাখ টাকা ঘুষ নিয়ে আগাম প্রশ্নপত্র সরবরাহ করে এই প্রহসনের পরীক্ষা নিয়েছে। তারা এই পরীক্ষা বাতিল করার দাবি জানান। এদিকে নিয়োগ পরীক্ষার নামে প্রহসন করার ঘটনায় বিক্ষুব্ধ চাকরি প্রত্যাশীরা পরীক্ষা কেন্দ্র থেকে বাইরে এসে বিক্ষোভ করেছে। অনেক পরীক্ষার্থী কেন্দ্রের ভেতরেই বিক্ষোভ করেছে। তবে এ নিয়োগ পরীক্ষা কমিটির সদস্য সচিব উপ-করকমিশনার আমিরুল করিম মুন্সি জনরোষের আশঙ্কায় পরীক্ষা কেন্দ্রে বেশিক্ষণ অপেক্ষা করেননি। একইভাবে করকমিশনারসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের পরীক্ষা কেন্দ্রে দেখা যায়নি বলে পরীক্ষার্থীরা অভিযোগ করে। পরীক্ষার্থীরা এই প্রহসনের পরীক্ষা বাতিলসহ নিয়োগ কমিটি বাতিল করে উচ্চপর্যায়ে নিয়োগ কমিটি গঠন করে নিয়োগ পরীক্ষা পুনরায় নেয়ার জন্য আবেদন জানিয়েছে। এ ব্যপারে কর বিভাগের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, ৬১টি পদের চাকরি দেয়ার নামে অফিসের কর্মকর্তারা ইতিপৃর্বে জনপ্রতি ৩-৪ লাখ করে টাকা নিয়েছে। নিয়োগ আগেই চুড়ান্ত করা করেছে। আইওয়াশ করার জন্য তারা পরীক্ষা নিয়েছেন।

মন্তব্য করুন


 

Link copied