আর্কাইভ  বৃহস্পতিবার ● ২৮ মার্চ ২০২৪ ● ১৪ চৈত্র ১৪৩০
আর্কাইভ   বৃহস্পতিবার ● ২৮ মার্চ ২০২৪
 width=
 

 

রানিকে নিয়ে কুড়িগ্রামে পৌঁছেছেন ভুটানের রাজা

রানিকে নিয়ে কুড়িগ্রামে পৌঁছেছেন ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামে সমৃদ্ধির হাতছানি

কুড়িগ্রামে সমৃদ্ধির হাতছানি

আন্তর্জাতিক যোগাযোগের গেটওয়ে হবে কুড়িগ্রাম

আন্তর্জাতিক যোগাযোগের গেটওয়ে হবে কুড়িগ্রাম

কুড়িগ্রামে ভুটানিজ বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল আলোর মুখ দেখতে বসেছে

কুড়িগ্রামে ভুটানিজ বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল আলোর মুখ দেখতে বসেছে

 width=
 
শিরোনাম: রানিকে নিয়ে কুড়িগ্রামে পৌঁছেছেন ভুটানের রাজা       ২৯ রমজান কি অফিস খোলা?       আজ ঐতিহাসিক রংপুর ক্যান্টনমেন্ট ঘেরাও দিবস       লালমনিরহাটে বিএসএফের গুলিতে নিহত বাংলাদেশি যুবকের মরদেহ হস্তান্তর       কুড়িগ্রামে সমৃদ্ধির হাতছানি      

 width=
 

পায়রাবন্দে বেগম রোকেয়ার শেষ স্মৃতি চিহ্ন যেন মুছে না যায়

মঙ্গলবার, ৯ ডিসেম্বর ২০১৪, দুপুর ১০:৩৬

মুরাদ মাহমুদ

বেগম রোকেয়ার প্রতি সম্মান প্রদর্শন করে ১৯৯৫ সাল হতে ৯ ডিসেম্বর সরকারীভাবে পায়রাবন্দে রোকেয়া দিবস পালনের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়। প্রতিবছর এই দিনটিকে কেন্দ্র করে নানা কর্মসূচী পালন করা হয়ে থাকে। রোকেয়ার স্মৃতি রক্ষার্থে সারাদেশে তার অনুরাগী মানুষের দাবীর পরিপ্রেক্ষিতে তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার ১৯৯৭ সালে রোকেয়ার স্মৃতি বিজড়িত বাড়ী সংলগ্ন ৩ একর জমিতে ৩ কোটি ৭৮ লাখ ৮৬ হাজার টাকা ব্যয়ে বেগম রোকেয়া স্মৃতি কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করে। স্মৃতি কেন্দ্রটি চালু হতে না হতেই সরকারের পালাবদলের কারণে এর কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়। স্মৃতি কেন্দ্রে রোকেয়ার উত্তরসূরিদের ব্যবহৃত জিনিসপত্র সংরক্ষণের জন্য একটি সংগ্রহ শালা, সংগীত কার্যক্রম, পাঠাগার, সেমিনার কক্ষ ও একটি অডিটোরিয়াম আছে। বিগত তত্বাবধায়ক সরকার ২০০৮ সালের মার্চে স্মৃতি কেন্দ্রটি বিকেএমইএ কে দিয়ে দেয়। বর্তমানে সেখানে গার্মেন্টস প্রশিক্ষণ কার্যক্রম চলছে।

বেগম রোকেয়ার নার্স নেলির লেখা একটি ছোট গল্প থেকে জানাযায়, সাড়ে তিনশ’ বিঘা জমিতে অরণ্য বেষ্টিত ছিল রোকেয়ার বসতবাড়ি। কিন্তু দিন দিন তা বেদখল হয়ে গেছে। তার স্মৃতির ভগ্নাবশেষ চিহ্ন সংবলিত আতুড় ঘর বলে খ্যাত স্থানটিতে মাত্র ৪০ শতাংশ জমি সংরক্ষণ করে জেলা পরিষদ প্রাচীর নির্মাণ করেছে। বেগম রোকেয়ার বসত ঘরের দুই টি জানালা সম্বলিত ছোট্ট একটি দেয়াল ছাড়া আর কিছুই অবশিষ্ট নেই।

কেয়ারটেকার জানায়, এই জানালার কাছে বসেই বেগম রোকেয়া মোম জ্বালিয়ে লেখাপড়া করেছে। দেয়ালের যে অংশ অবশিষ্ট আছে তাও একটু একটু করে ভেঙ্গে পরছে।

পায়রাবন্দ গ্রামে গিয়ে দেখা গেছে, বেগম রোকেয়ার বাস্তুভিটার ধ্বংসাবশেষ ছাড়া আর কিছুই নেই। কিছু ইটের গাথুনী দাঁড়িয়ে আছে। বাস্তভিটার অস্তিত্ব অনেক আগেই নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে। ইটের যে কয়টি দেয়াল এখনো টিকে আছে সেগুলোর রক্ষণাবেক্ষণেও কোন পদক্ষেপ নেই। এ স্মৃতিচিহ্ন টুকুও নিশ্চিহ্ন হয়ে যাওয়ার আশংকা করছেন প্রত্মতত্ত্ববিদরা।

লেখক: প্রকাশক, উত্তরবাংলা ডটকম

মন্তব্য করুন


 

Link copied