আর্কাইভ  শুক্রবার ● ২৯ মার্চ ২০২৪ ● ১৫ চৈত্র ১৪৩০
আর্কাইভ   শুক্রবার ● ২৯ মার্চ ২০২৪
 width=
 

 

কুড়িগ্রামের খাবারে বেজায় খুশি ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামের খাবারে বেজায় খুশি ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের নির্ধারিত স্থান পরিদর্শন করলেন ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের নির্ধারিত স্থান পরিদর্শন করলেন ভুটানের রাজা

রানিকে নিয়ে কুড়িগ্রামে পৌঁছেছেন ভুটানের রাজা

রানিকে নিয়ে কুড়িগ্রামে পৌঁছেছেন ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামে সমৃদ্ধির হাতছানি

কুড়িগ্রামে সমৃদ্ধির হাতছানি

 width=
 
শিরোনাম: স্বাস্থ্যের রংপুর বিভাগীয় পরিচালক ফজলুল হক কারাগারে       কুড়িগ্রামের খাবারে বেজায় খুশি ভুটানের রাজা       লালমনিরহাটে পুকুরে জাল ফেলতেই জালে উঠে এলো যুবকের মরদেহ       কুড়িগ্রামে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের নির্ধারিত স্থান পরিদর্শন করলেন ভুটানের রাজা       রানিকে নিয়ে কুড়িগ্রামে পৌঁছেছেন ভুটানের রাজা      

 width=
 

দুনিয়ার শীর্ষ হ্যাকাররা

শুক্রবার, ১২ ডিসেম্বর ২০১৪, রাত ০১:৫০

ঢাকা: যারা সিঁধ কেটে কিংবা ঘরের তালাটা ভেঙে বাড়ির জিনিসপত্র চুরি করে নিয়ে যায় সাধারণ অর্থে তাদের বলা হয় চোর। কিন্তু যুগ পাল্টেছে। প্রযুক্তির কল্যাণে চুরির ধরনও পাল্টেছে, চোরের সংজ্ঞাও পাল্টেছে। এখন কারো অজ্ঞাতে ইন্টারনেট দুনিয়া থেকে তার ব্যক্তিগত তথ্যে চোখ বুলানোও চুরির মধ্যে পড়ে। এদেরকে বলা হয় হ্যাকার। এই চোররা কিন্তু আবার যে-সে চোর নয়। এদের মধ্যে রয়েছে এমন বাঘা বাঘা চোর যারা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানসহ যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন, জার্মানির মতো দেশকে নাকানি চুবানি খাইয়ে ছেড়েছে। বিশ্ব সেরা এমন দশ চোর সম্বন্ধে জানুন।

১০. কেভিন লি পোলসেন আশির দশকের কুখ্যাত হ্যাকার ছিলেন মার্কিন সাংবাদিক কেভিন লি পোলসেন। টেলিফোন লাইন হ্যাক করতে তিনি ছিলেন সিদ্ধহস্ত। সমস্ত টেলিফোন লাইন হ্যাক করে লস এঞ্জেলেসের রেডিও স্টেশন KIIS-FM-এ দাবি করেন তিনি হলেন ১০২ লাকি কলার এবং Porsche 944 S2 গাড়ির পুরস্কার তারই প্রাপ্য।

ফেডারেল ব্যুরো অব ইনভেস্টগেশন (এফবিআই) তদন্তে নেমে দেখে, পোলসন হলেন কম্পিউটার অপরাধে হেনিবল লেকটার। ১৯৯১ ধরা পড়েন পোলসেন। সাইবার ক্রাইম, কম্পিউটার সংক্রান্ত অপরাধ, স্মাগলিং বিভিন্ন অপরাধে অভিযুক্ত হন তিনি। চার বছর জেল খাটার পর জীবন নতুন দিকে মোড় নেয় পোলসেনের। তিনি এখন ওয়ার নিউজ কোম্পানির সাংবাদিক।

albert দুনিয়ার শীর্ষ হ্যাকাররা৯. অ্যালবার্ট গঞ্জালেস ২০০৫ থেকে ২০০৭ অ্যালবার্ট ও তার গ্রুপ প্রায় ১৭০ মিলিয়ন এটিএম কার্ড ও নম্বর বিক্রি করে খবরের শিরোনামে আসেন। প্রথমবারের মতো এটিএম দুর্নীতি নিয়ে এতবড় হাঙ্গামায় পুলিশ ও প্রশাসন নড়েচড়ে বসে। তবে কীভাবে এটিএম নেটওয়ার্ক বিকল হয়েছিল তার কিনারা করে উঠতে পারেনি তারা । গঞ্জালেস একরকম এসকিউএল ইনজেকশন পদ্ধতি ব্যবহার করেছিলেন, ইন্টারনেট কর্পোরেট নেটওয়ার্কের সমস্ত কম্পিউটার ড্যাটা তার হাতের মুঠোয় ছিল। গ্রেপ্তারের সময় গঞ্জালেসের ঘর থেকে পাওয়া গিয়েছিল নগদ ১ দশমিক ৬ মিলিয়ন ডলার । তিন ফুট লম্বা ড্রামে ১ দশমিক ১ মিলিয়ন ডলার বাড়ির পেছনে মাটির তলায় পুঁতে রেখে ছিলেন তিনি। আদালত কুড়ি বছর কারাদণ্ড দিয়েছিলেন তাকে।

levin দুনিয়ার শীর্ষ হ্যাকাররা৮. ভ্লাদিমির লেভিন ভ্লাদিমির লেভিন হলেন ১৯৪০ এর জেমস বন্ড। রুশ বংশোদ্ভূত ভ্লাদিমির ছিলেন মেধাবী গণিতজ্ঞ। সেন্ট পিটারসবার্গ স্টেট ইনস্টিটিউট থেকে বায়োকেমিস্ট্রি নিয়ে পড়াশোনা করেন তিনি। ডায়াল আপ ওয়ার ট্রান্সফার সার্ভিসের মাধ্যেমে ১৯৪৪ সালে ভ্লাদিমির ১০ মিলিয়ন ডলার ট্রান্সফার করেন নিজের অ্যাকাউন্টে। ফিলন্যান্ড, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, নেদারল্যান্ডস, জার্মানি, ইসরায়েলের মতো বিভিন্ন দেশের সিটি ব্যাংকের কয়েক হাজার অ্যাকাউন্ট থেকে অর্থ সংগ্রহ করেন তিনি।

moric দুনিয়ার শীর্ষ হ্যাকাররা৭. রবার্ট টপ্পন মরিস Morris Worm নাম নিশ্চয়ই শুনেছেন! ১৯৮৮ সালের ২ নভেম্বর রবার্ট মরিস তৈরি করেন কম্পিউটার ভাইরাস। এটিই প্রথম ভাইরাস, যা ইন্টারনেটের মাধ্যমে কম্পিউটারে প্রবেশ করে বিভিন্ন মূল্যবান তথ্য নষ্ট করত। ম্যাসাচুসেটস ইনিস্টিটিউট অব টেকনলজি (এমআইটি) থাকা অবস্থায় মরিস ইন্টারনেটে ছাড়েন সেই ভাইরাস। ইন্টারনেটের মধ্যমে কম্পিউটারে প্রবেশ করে এই ভাইরাস দুর্বল পাসওয়ার্ড নষ্ট করে দেয়। ১৯৮৯ সালে United States Code Title 18 লঙ্ঘন করায় কম্পিউটার ফ্রড ও অ্যাবিউস অ্যাক্টে দোষী অভিযুক্ত হন মরিস। তিনিই প্রথম এই আইনে দোষী সাব্যস্ত হন।

kelse দুনিয়ার শীর্ষ হ্যাকাররা৬. মাইকেল কেলস মাইকেল কেল্স হলেন ইন্টারনেট দুনিয়ার ‘মাফিয়া বয়’। মগজে বুদ্ধি ছিল কল্পনাতীত। কিউবেকের এই ‘মাফিয়া বয়’ মাত্র হাইস্কুল পাস করে ইয়াহু, অ্যামাজন, ডেল, ই-বে, সিএনএনের মতো বিশ্বের বড় বড় কোম্পানিগুলোকে ঘোল খাইয়েছিলেন। ২০০০ সালে মাইকেল কেলস তৈরি করেন denial-of-service যা বড় বড় কমার্সিয়াল ওয়েবসাইট হ্যাক করার ক্ষমতা রাখে। তিনি এক ঘণ্টার জন্য ওই সময় সার্চ ইঞ্জিন ইয়াহু হ্যাক করেন। এছাড়া যেকোনও ওয়েবসাইটকে নিজের খুশি মতো হ্যাক করার ক্ষমতা রাখতো তার গ্রুপ TNT। ২০০১ সালে আদালত ৮ মাসের জন্য মাইকেলকে নজরদারি রাখার নির্দেশ দেন ও ইন্টারনেট ব্যবহার না করার নিষেধাজ্ঞা জারি করেন।

smith দুনিয়ার শীর্ষ হ্যাকাররা৫. ডেভিড স্মিথ ম্যালিসা ম্যাক্রো ভাইরাস তৈরি করে বেশ নাম করেছিলেন তিনি। প্রোগ্রামার ডেভিড স্মিথ নিজেকে কিউজিবো নামে পরিচয় দিতেন। তার তৈরি ভাইরাসের বিশেষত্ব হলো আউটলুকের মাধ্যমে কম্পিউটারে প্রবেশ করে মাইক্রোসফট ওয়ার্ডের মূল্যবান ফাইলগুলো নষ্ট করা। মাইক্রোসফট, ইনটেল ও লুসেন্ট ইমেইল গেটওয়েতে ম্যালিসা ভাইরাস প্রতিরোধে যথাসাধ্য চেষ্টা করে। কিন্তু ব্যর্থ হয় তারা। দেখা গেছে উত্তর আমেরিকায় বড় বড় কোম্পানির কম্পিউটারে ম্যালিসা ভাইরাস আক্রমণে ৮০ মিলিয়ন ডলার ক্ষতি হয়েছে।

lamo দুনিয়ার শীর্ষ হ্যাকাররা৪. আদ্রিয়ান লামো ছদ্মনাম ‘দ্য হোমলেস হ্যাকার’। ২০০৩ সালে আদ্রিয়ান লামো খবরের শিরোনামে উঠে আসে মাইক্রোসফট, ইয়াহু, দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমস, এমসিআই ওয়ার্ল্ডকমের হাইপ্রোফাইল কম্পিউটার নেটওয়ার্ক ভাঙার কারণে। টাইমস অভিযোগ দায়ের করলে লামোর নামে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়। কয়েক বছর নজরদারি থাকার পর ২০১০ ফের লামো খবরের শিরোনামে আসেন। ২০০৭ সালে ১২ জুলাই বাগদাদে বিমান হামলার ভিডিও ফাঁস হওয়ার পেছনে ব্রাডলি ম্যানিং ছিলেন- এই খবর মার্কিন সেনাবাহিনীর কাছে প্রকাশ করেন। এই নিয়ে তোলপাড় হয়ে যায় যুক্তরাষ্ট্রে। এখন তিনি একজন থ্রেট অ্যানালিস্ট হিসেবে কাজ করছেন একটি অলাভজনক সংস্থায়।

hotz দুনিয়ার শীর্ষ হ্যাকাররা৩. জর্জ হটজ জর্জ হটজ হলেন প্রথম ব্যক্তি যিনি আইফোন অপারেটিং সিস্টেম ব্রেক করেছিলেন। ২০০৭ সালে মাত্র ১৭ বছর বয়সে আইফোন অপারেটিং সিস্টেম ব্রেক করে চমকে দিয়েছিলেন বিশ্বকে। এছাডা, তিনি ডেভেলপ করেন আইফোন অপারেটিং সিস্টেম নষ্ট করার জন্য জেলব্রেক টুল ও বুট্রম। সনি প্লে-স্টেশন থ্রি ব্রেক করার পর সনি কোম্পানির সঙ্গে তুমুল আইনি লড়াই চলে। প্লে-স্টেশন নেটওয়ার্ক হ্যাক করে ৭৭ মিলিয়ন ব্যবহারকারীদের তথ্য চুরি করে জর্জ হটজের হ্যাকার গ্রুপ।

james দুনিয়ার শীর্ষ হ্যাকাররা২. জনাথন জেমস মাত্র ১৬ বছর বয়সে জনাথন জেমস সাইবার অপরাধে জেল খাটেন। নাসা ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মতো প্রতিষ্ঠানের সিস্টেম হ্যাক করেছিলেন মাত্র ১৫ বছর বয়সে। তিনি নাকি প্রায় ১ দশমিক ৭ মিলিয়ন ডলার মূল্যের সফটওয়ার চুরি করেছিলেন। ২০০৮ জেমস আত্মহত্যা করেন। তিনি তার সুইসাইড নোটে লিখেছিলেন- বিচার ব্যবস্থার প্রতি আমার আস্থা নেই…যাই হোক আজকের আমার কাজ ও চিঠি জনগণের কাছে এই বার্তা পৌঁছাবে…আমি সবকিছুর নিয়ন্ত্রণের বাইরে আর এখান থেকে বেরিয়ে আসার এটাই একমাত্র পথ…।

garry দুনিয়ার শীর্ষ হ্যাকাররা১. গ্যারি ম্যাককিনন ১২ বছর আগে মার্কিন প্রতিরক্ষা অফিসের কম্পিউটারে একটি বার্তা এসেছিল…‘Your security system is crap, I am Solo. I will continue to disrupt at the highest levels.’ খোদ প্রতিরক্ষা দপ্তরের নিরাপত্তায় অশনি সংকেত! অনেক তদন্তের পর জানা যায়, এই কর্মকাণ্ডের পেছনে রয়েছেন স্কটিশ সিস্টেম ডেভেলপার গ্যারি ম্যাককিনন। গ্যারি নিজের কাজের মধ্যে সারাক্ষণ ডুবে থাকতেন। নিজেকে সম্পূর্ণভাবে বিচ্ছিন্ন করে রাখতেন বাইরের জগত থেকে। ডাক্তারি ভাষায় তিনি অ্যাসপারজার রোগে ভুগছেন। কিন্তু তার সফটওয়ার সম্বন্ধে গভীরতা ও জ্ঞান দেখে বিস্মিত হয়েছেন বাঘা বাঘা হ্যাকাররা। যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, নাসার মতো বড় বড় সরকারি দপ্তরে ৯৭টি কম্পিউটার হ্যাক করেন তিনি ।

মন্তব্য করুন


 

Link copied