মঙ্গলবার, ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৩, দুপুর ০৪:৪৩
নাগেশ্বরী প্রতিনিধি: নাগেশ্বরীতে মাইকিং করে ক্রেতা আকৃষ্ট করে ১ টাকায় এক কেজি ফুলকপি বিক্রি করছে চাষিরা। একটা কিনলে একটা ফ্রিও দেওযা হচ্ছে। ফলন ভাল হলেও দাম কম হওয়ায় মূলধন হারাতে বসেছে চাষিরা। উপজেলা কৃষি অফিস জানায় অণুকুল আবহাওয়ার কারণে উপজেলায় ১৮০ হেক্টর জমিতে ফুলকপি চাষের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়েছে। মৌসুম শুরুতে প্রতিকেজি ফুলকপি ৩০ থেকে ৪০ টাকা বিক্রি হলেও শেষের দিকে বিক্রি প্রতি কেজি ১ টাকায়। দাম কম হওয়ার পরও ক্রেতা সংকটে চাষিরা। ক্রেতাদের আকৃষ্ট করতে ফুলকপির দোকানে মাইক লাগিয়ে প্রচার চালিয়ে বিক্রি করা হচ্ছে। কখনও আবার একটি কিনলে একটি ফ্রি দেওয়া হচ্ছে। তারপরও অবিক্রীত ফুলকপি বাড়িতে গরুকে খাওয়াচ্ছেন তারা। ভিতরবন্দ বাজারে সবজি হাটে রসুলপুর গ্রামের ফুলকপি চাষি বাবু মিয়া (৩৮) জানান, তিনি এক একর জমিতে ফুলকপি চাষ করেছেন। আজ প্রায় ৫ হাজার ফুলকপি বাজারে এনেছেন। কাঙ্ক্ষিত ক্রেতার উপস্থিতি না থাকায় মাইক লাগিয়ে প্রতিকেজি ফুলকপি এক টাকা, একটি কিনলে একটি ফ্রি অনবরত ঘোষণা দিয়ে বিক্রির চেষ্টা করছেন। বাবু মিয়া জানান, চলতি মৌসুমে ৮ বিঘা জমিতে ফুলকপি চাষে তার খরচ হয়েছে প্রায় ৪০ হাজার টাকা। এক টাকায় কেজি বিক্রি করে খরচের অর্ধেক টাকা উঠানোর সম্ভব নয়। একই এলাকার নাইম উদ্দিন বলেন, ৪ বিঘা জমিতে ফুলকপি চাষ করে তিনিও মূলধন হারাতে বসেছেন। বাধ্য হয়ে অবিক্রীত ফুলকপি গরুকে খাওয়াচ্ছেন তিনি। সবজি ব্যবসায়ী সুলতান (৫৫) বলেন ৬০ টাকায় দুই মন কপি কিনে ৮০ টাকায় বিক্রি করছি। মনপ্রতি ২০ টাকা লাভ দিয়ে সংসার চলে না। উপজেলা কৃষি অফিসার মাসুদুর রহমান বলেন, এবারে কপির ক্ষেতে তেমন আপদ বালাই ছিল না ফলে কপি খুব ভাল হয়েছে।
মন্তব্য করুন
টপ নিউজ’র আরো খবর
সংশ্লিষ্ট
ভারত থেকে ৩ দিনের মধ্যে পেঁয়াজ আসবে: বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী
পেঁয়াজ রপ্তানি অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করল ভারত
মালিকপক্ষকে জলদস্যুদের ফোন, যে কথা হলো
কমলো সোনার দাম