তিনি বলেন, বেগম খালেদা জিয়া তার স্বামী জেনারেল জিয়ার মত একই অপকৌশলে রাজনীতি শুরু করেছেন। জঙ্গীবাদের সাথে সাথে দোস্তি, হরতালের নামে নাশকতা, ইতিহাস বিকৃতি, মিথ্যাচার এবং অন্তর্ঘাত ও অশান্তির রাজনীতির মাধ্যমে তিনি অব্যাহত রেখেছেন। খালেদা ও তার পুত্র তারেক রহমান যতই মিথ্যাচার করুক না কেন তারা কখনই বঙ্গবন্ধুর মহিমাকে ম্লান করতে পারবে না। তাকেই জামায়াত-রাজাকার স্বাধীনতা বিরোধী ও জঙ্গীদের সমর্থনে আর কোন সরকার গঠন করতে দেয়া হবে না। তাই খালেদা জিয়ার এই অসুস্থ এবং জনগণ বঞ্চিত এই রাজনীতিকে বাদ দিয়েই নতুন করে দেশ ও জনগণের উন্নয়নের রাজনীতি সাজাতে হবে।
তিনি উল্লেখ করেন, জঙ্গীবাদ রাজাকারদের নির্বাচন থেকে দুরে রাখতে হবে। মহাজোটের সরকার প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ পরিচালনায় দলবাজি এবং টেন্ডারবাজিকে উৎখাত করে দুর্নীতিমুক্ত ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে ঐক্যবদ্ধ ও নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। মহাজোট সরকার আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা এবং সুশাসন ও শোষনমুক্ত অসাম্প্রদায়িক ও গণতান্ত্রিক দেশ পরিচালনায় অঙ্গীকারবদ্ধ। গাইবান্ধা জেলা শহরের পৌর শহীদ মিনার চত্বরে জেলা জাসদের সম্মেলন ও নির্বাচন উপলক্ষে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখতে তিনি এসব কথা বলেন।
জেলা জাসদের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সেলেকুজ্জামান রুবেলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই সম্মেলনের উদ্বোধন করেন প্রবীণ জাসদ নেতা মুক্তিযোদ্ধা ধীরেন্দ্রনাথ সাহা। আলোচনায় অংশ নেন জাসদ কেন্দ্রীয় কমিটির নাজমুল হক প্রধান এমপি, রেজাউল করিম তানসেন এমপি এবং গাইবান্ধার বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও মুক্তিযোদ্ধা সংসদের পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের ফরহাদ আব্দুল্যাহ হারুন বাবলু, আবু বকর সিদ্দিক, ওয়ার্কার্স পার্টির আমিনুল ইসলাম গোলাপ, ন্যাপের লুৎফর রহমান রঞ্জু, অধ্যাপক মাজহার-উল মান্নান, মুক্তিযোদ্ধা মাহমুদুল হক শাহজাদা ও মমিনুল হক জুবেল। স্থানীয় জাসদ নেতৃবৃন্দের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জাসদ জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক গোলাম মারুফ মনা, মুক্তিযোদ্ধা শাহ শরিফুল ইসলাম বাবলু, এসএম খাদেমুল ইসলাম খুদি, একরাম হোসেন, অধ্যাপক আনসার আলী, নুরুজ্জামান প্রধান, মুসলিম আলী সরকার, অ্যাড. সিরাজুল ইসলাম বাবু, জিয়াউল হক জনি, সুজন প্রসাদ, সাঈদ হোসেন জসিম, রফিকুল ইসলাম মিলন, কাজী ইব্রাহিম খলিল উলফাত, ফরিদ আহমেদ, নিলুয়ার ইয়াসমিন লাকি, মামুনুর রশীদ রুবেল প্রমুখ।
বক্তারা দেশ ও জাতির কল্যাণে সমাজ বদলের প্রত্যয়ে জঙ্গীবাদ, সাম্প্রদায়িকতা, দলবাজি ও দুর্নীতি প্রতিরোধ করে অসাম্প্রদায়িক ও দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ গঠনের প্রত্যয়কে আরও বেগবান করার আহবান জানান।
সম্মেলনের প্রথম অধিবেশন শেষে একটি বর্ণাঢ্য র্যালী শহর প্রদক্ষিণ করে। পরে বিকেলে জেলা জাসদ কার্যালয়ে জেলা জাসদের কাউন্সিল অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়।