সাদেকুল ইসলাম রুবেল: উত্তরাঞ্চলের ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী হিলি, হাকিমপুর দিনাজপুর জেলার বিভিন্ন পয়েন্ট দিয়ে পুলিশ ও বিজিবির চোখ ফাঁকি দিয়ে অনায়াশে প্রবেশ করছে ভারতীয় আগ্নেয়াস্ত্র। আর সেসব অস্ত্র চলে যাচ্ছে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে। উত্তরাঞ্চলের বিভিন্ন সীমান্ত গড়িয়ে ভারত থেকে অস্ত্র এলেও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তথ্য মতে, সবচেয়ে বেশি অস্ত্র আসে দিনাজপুরে হিলি সীমান্ত দিয়ে।
এদিকে রাজশাহী র্যাব-৫ গত বছরে ৮৫টি এবং চলতি বছরের এ পর্যন্ত উদ্ধার করেছে ২৫টি আগ্নেয়াস্ত্র। এসব অস্ত্র বহনের সময় র্যাব আটক করেছে ৪৩ জনকে। ভারত থেকে যাতে কেউ অস্ত্র চোরাচালান করে নিয়ে আসতে না পারে, সে দিকে বিজিবি সজাগ রয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানায়, হিলি দিয়ে আগে যারা সাধারণ মালামাল চোরাচালান করতো, তাদের অনেকেই এখন অস্ত্র চোরাচালানের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েছে। ভারত থেকে সোনা মসজিদ স্থলবন্দর দিয়ে বৈধভাবে আমদানি করা বিভিন্ন মালামালের ট্রাকের ভেতরে অনেক সময় পিস্তল নিয়ে আসে অস্ত্র চোরাচালানকারী সিন্ডিকেট। আর একাজের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েছে সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টদের কেউ কেউ। অস্ত্রের বাজার চাঙ্গা হয়ে ওঠার হালে প্রভাবশালী ও মাদক ব্যবসায়ীরাও অবৈধ এ ব্যবসায় জড়িয়ে পড়েছে।
তথ্য মতে, যারা অস্ত্র ব্যবসার সঙ্গে জড়িত তাদের চাহিদা অনুযায়ী অস্ত্রের নাম ও টাকা দিলে জায়গা মত তারা অস্ত্র পৌঁছে দেয়।
সূত্রে জানায়, চোরাচালান সিন্ডিকেটের সদস্যরা ভারতীয় অস্ত্র ব্যবসায়ীদের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রক্ষা করে। অনেক সময় ওপারের অস্ত্র ব্যবসায়ীদের সঙ্গে অস্ত্রের দাম নিয়ে সমঝোতা হলে সীমান্তে প্রহরারত বিজিবির চোখ ফাঁকি দিয়ে এপারের অস্ত্র ব্যবসায়ীরা কাঁটাতারের বেড়ার ওপর দিয়ে টাকা ফেলে দেয় ওপারে।
টাকা হাতে পেয়ে ওপারের ব্যবসায়ীরা অস্ত্র ফেলে দেয় এপারে। কয়েক হাত ঘুরে সেই সব অস্ত্রের বেশিরভাগই চলে যায় ঢাকায়।
সূত্র আরও জানায়, ১২ থেকে ১৫ হাজার টাকায় ভারতীয় ব্যবসায়ীদের নিকট হতে কেনা অস্ত্র ঢাকায় বিক্রি হয় ৩০ থেকে ৫০ হাজার টাকায়। অস্ত্র ব্যবসায়ীরা অস্ত্রের দাম বাড়াতে কখনো কখনো অস্ত্রের কৃত্রিম সংকটও তৈরি করে।