আর্কাইভ  বৃহস্পতিবার ● ২৮ মার্চ ২০২৪ ● ১৪ চৈত্র ১৪৩০
আর্কাইভ   বৃহস্পতিবার ● ২৮ মার্চ ২০২৪
 width=
 

 

কুড়িগ্রামের খাবারে বেজায় খুশি ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামের খাবারে বেজায় খুশি ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের নির্ধারিত স্থান পরিদর্শন করলেন ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের নির্ধারিত স্থান পরিদর্শন করলেন ভুটানের রাজা

রানিকে নিয়ে কুড়িগ্রামে পৌঁছেছেন ভুটানের রাজা

রানিকে নিয়ে কুড়িগ্রামে পৌঁছেছেন ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামে সমৃদ্ধির হাতছানি

কুড়িগ্রামে সমৃদ্ধির হাতছানি

 width=
 
শিরোনাম: স্বাস্থ্যের রংপুর বিভাগীয় পরিচালক ফজলুল হক কারাগারে       কুড়িগ্রামের খাবারে বেজায় খুশি ভুটানের রাজা       লালমনিরহাটে পুকুরে জাল ফেলতেই জালে উঠে এলো যুবকের মরদেহ       কুড়িগ্রামে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের নির্ধারিত স্থান পরিদর্শন করলেন ভুটানের রাজা       রানিকে নিয়ে কুড়িগ্রামে পৌঁছেছেন ভুটানের রাজা      

 width=
 

শুরু হোক নতুন পথচলা

বৃহস্পতিবার, ১ জানুয়ারী ২০১৫, রাত ০৩:৫৫

দেখতে দেখতেই চলে গেল আনন্দ-বেদনার আরেকটি বছর ২০১৪। বিদায় ২০১৪। স্বাগতম ২০১৫। নতুন বছর দুয়ারে সমাগত। মহাকালের গহ্বরে হারিয়ে গেল আরেকটি বছর। ইংরেজি দিনপঞ্জিতে স্থান করে নিল খ্রিস্টীয় সাল ২০১৫। বিগত বছরের প্রাপ্তির আনন্দ ও অপূর্ণতার বেদনা সবই এখন অতীত। সাফল্য সমৃদ্ধির পথে, প্রাপ্তি ও প্রত্যাশা পূরণের আকাঙ্খায় নতুন বছরে সবাইকে স্বাগতম। ২০১৪ সালে আমরা হারিয়েছি বেশকিছু বরেণ্য প্রিয় ব্যক্তিত্বকে। তারা হলেন সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান, সাংবাদিক এবিএম মূসা, মাহবুবুল আলম, জগ্লুল আহ্মদ চৌধুরী, শিক্ষাবিদ জিল্লুর রহমান সিদ্দিকী, সরদার ফজলুল করিম, সালাহউদ্দীন আহমেদ, ভাষাসৈনিক আব্দুল মতিন, চিত্রশিল্পী কাইয়ুম চৌধুরী, সংগীত শিল্পী ফিরোজা বেগম, বিজ্ঞানী মাকসুদুল আলমসহ অসংখ্য গুণীকে। অন্যদিকে আমাদের প্রাপ্তিও রয়েছে অনেক। তার মধ্যে অন্যতম আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশের নেতৃত্ব। সংসদবিষয়ক আন্তর্জাতিক দুটি সংস্থার সর্বোচ্চ পদে জয় পেয়েছেন বাংলাদেশের প্রার্থীরা। আমরা পেয়েছি বেশ কয়েকটি মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলার রায়। যা ছিল তরুণ প্রজন্মের দীর্ঘ প্রত্যাশা। পুরনো বছরের ব্যর্থতা, গ্লানি, বেদনা, হিংসাকে পেছনে ফেলে ইংরেজি নববর্ষ ২০১৫ আমাদের ব্যক্তিগত ও পারিবারিক জীবনে শান্তি ও সমৃদ্ধি বয়ে আনুক এমনটাই প্রত্যাশা। গত বছরের আনন্দ-বেদনা, সাফল্য-ব্যর্থতার পটভূমিতে আমাদের এই প্রিয় বাংলাদেশ নতুন বছরে সব বিপর্যয় কাটিয়ে উঠবে এমনটাই কামনা করি। বিশ্বের নানা প্রান্তেই বর্ষবিদায় এবং বর্ষবরণের বিচিত্র ও বর্ণাঢ্য আয়োজন করা হয়। এ থেকে আমাদের সোনার বাংলাদেশও বাদ থাকে না। কিন্তু ইদানিং কিছু উশৃঙ্খল লোকজন এবং আইন প্রয়োগকারী সংস্থার বাড়াবাড়িতে বর্ষবরণের যে আনন্দ তা প্রায় ম্লান হতে চলেছে। নানা ঝক্কি-ঝামেলার ভিতর দিয়েই চলে আমাদের দেশে নতুন বছরকে স্বাগত জানানোর আয়োজন। বিশেষ করে তরুণ সমাজ এ দিনকে তাদের নিজেদের মতো করে উদযাপন করে। কোন বাধাই তাদের দমাতে পারে না। তাই নববর্ষের এ রাতটি হয়ে ওঠে বর্ণিল। বিশ্বব্যাপি নববর্ষের এমন আবেদন বা প্রভাব একদিনে সৃষ্টি হয়নি। এর পেছনে রয়েছে ইতিহাস। যীশু খ্রিস্টের জন্ম তারিখ হতে যে দিন ক্ষণ মাস বছরের হিসেব শুরু হয়েছিল তা আজ গ্রেগোরিয়ান বা খ্রিস্টাব্দ বর্ষ হিসেবে স্বীকৃত। এক সময় বিশ্বের এক বিশাল অংশই ছিল ব্রিটিশ শাসনাধীনে। ফলে ইংরেজ জাতির উদ্ভাবিত প্রযুক্তি, জ্ঞান, শিক্ষা-দীক্ষা ইত্যাদির ব্যাপক প্রভাব পড়েছে তার অধীনস্থ দেশগুলোর ওপর। অধীনস্থ দেশসমূহের অনেকেরই নিজস্ব পঞ্জিকা বা বর্ষ থাকলেও শাসকগোষ্ঠীর সর্বব্যাপি রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক প্রভাবের কারনে কালক্রমে তা গৌণ হয়ে পড়ে। সব মিলে খ্রিস্টাব্দ নববর্ষ আমাদের নিজস্ব সংস্কৃতিজাত বিষয় না হলেও আমাদের রাষ্ট্রীয় ও ব্যক্তিগত জীবনের সর্বত্রই প্রভাব ফেলেছে। যা অস্বীকার করার জো নেই। বরাবরের মতো এবারও সকল উৎসব-আয়োজনকে ছাপিয়ে উঠেছে শান্তি, সম্প্রীতি ও অগ্রগতির জন্য বিশ্বজনীন এক আকুলতা। যদিও আমরা রাজনৈতিক অস্থিরতায় হাপিয়ে উঠেছি। নববর্ষের দিনেও দেশ জুড়ে চলছে হরতাল। অন্যদিকে শীতের তীব্রতা। শীতের তীব্রতায় খেটে খাওয়া নিরন্ন মানুষগুলো অনেকটাই অসহায় হয়ে পড়েছে। রাজনৈতিক দলগুলোর বেহায়াপনায় তারা আরো সংকটাপন্ন। অবশ্যই মানবসৃষ্ট দুর্যোগের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে চলেছে প্রাকৃতিক দুর্যোগের নির্মম তাণ্ডবও। প্রকৃতির এ ক্রমবর্ধমান রুদ্রমূতির জন্যও মানুষের বাড়াবাড়িই যে দায়ী তা বৈজ্ঞানিকভাবে প্রমাণিত। কালের গহ্বরে হারিয়ে গেল একটি বছর। সামনে চলে এসেছে নতুন বছর। কৃষি, অর্থনীতি, শিক্ষা, সংস্কৃতি, রাজনীতিসহ সার্বিক পেক্ষাপট বিশ্লেষনে বলা যায়, নতুন বছর ২০১৫ সালের কাছে অনেক প্রত্যাশার বীজ বুনে বিদায় নিয়েছে ২০১৪। সব ব্যর্থতা ঘুচিয়ে দিয়ে আমাদের নিয়ে যাবে সাফল্যের দুয়ারে। একটি দীর্ঘ অথচ নির্দিষ্টকালের সূর্যাস্তের পরে নতুন বছরের সূর্যোদয় সূচিত হোক আনন্দ আর সুন্দরের মিশ্র রঙের পসরা। মঙ্গলালোকে উদ্ভাসিত হোক সারাবিশ্ব। নতুন বছরের সূচনালগ্নে প্রত্যাশা দূর হোক দেশের রাজনৈতিক অস্থিরতা। ফিরে আসুক স্বস্তি। সবাইকে নতুন বছরের শুভেচ্ছা অফুরান। হ্যাপি নিউ ইয়ার ২০১৫। লেখক : সাংবাদিক, শিল্পসমালোচক ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক, ঢাকা সাব-এডিটরস কাউন্সিল।

azad_chaty@yahoo.com

মন্তব্য করুন


 

Link copied