আর্কাইভ  বৃহস্পতিবার ● ১৮ এপ্রিল ২০২৪ ● ৫ বৈশাখ ১৪৩১
আর্কাইভ   বৃহস্পতিবার ● ১৮ এপ্রিল ২০২৪
 width=
 
 width=
 
শিরোনাম: খরার ঝুঁকিতে রংপুর অঞ্চল       সার্ভার ডাউন: রসিকে জন্ম নিবন্ধন নিয়ে ভোগান্তি চরমে       রংপুরে ফটোসাংবাদিক ফিরোজ চৌধুরীর একক আলোকচিত্র প্রদর্শনী       ডোমার ও ডিমলা উপজেলা নির্বাচনে ৩৫ জনের প্রার্থীতা বৈধ ॥ চেয়ারম্যান পদে ১২ জনের মধ্যে আওয়ামীলীগের ৭ জন প্রার্থী       নীলফামারীতে ঐতিহাসিক মুজিব নগর দিবস পালন      

 width=
 

একটুখানি শান্তি || মুহম্মদ জাফর ইকবাল

শুক্রবার, ১৬ জানুয়ারী ২০১৫, সকাল ০৮:১০

আমি জানি না সবাই লক্ষ করেছিল কি না- শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে সব বিশ্ববিদ্যালয়ে চিঠি দেওয়া হয়েছিল যে, এখন থেকে এসএসসি আর এইচএসসির রেজাল্টের ভিত্তিতে বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী ভর্তি হবে। খবরটা জেনে আমি যথেষ্ট উত্তেজিত হয়ে বিষয়টি নিয়ে কিছু একটা লিখতে চেয়েছিলাম কিন্তু এর মধ্যে সারা দেশে অবরোধ শুরু হয়ে গেল- মানুষের কী কষ্ট! এখন কার আর মনের অবস্থা আছে পত্রিকায় বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে লেখা পড়ার? কিন্তু যেহেতু কথা দিয়েছি, প্রতি দুই সপ্তাহে এক বার করে লিখব, তাই কাগজ-কলম নিয়ে বসেছি, কী লিখব নিজেও জানি না।

গণতন্ত্র নিয়ে লেখা যেতে পারে। পত্রপত্রিকায় দেখছি সবাই আজকাল গণতন্ত্র নিয়ে লিখছে, কথা বলছে। পৃথিবীর কতগুলো দেশে গণতন্ত্র আছে দেখার জন্য ইন্টারনেটে ঘাঁটাঘাঁটি করে বেশ অবাক হলাম। ‘খাঁটি গণতন্ত্র’ নাকি আছে মাত্র ২৫টি দেশে; বেশিরভাগই ইউরোপীয় দেশ- তার মধ্যে ভারতবর্ষের নাম নেই! খাঁটি গণতন্ত্রী দেশ হিসেবে আমেরিকা ও জাপানের নাম আছে বলে রক্ষা। এই দেশগুলোতে মোটামুটি মানুষের সংখ্যা বেশি, তা না হলে খাঁটি গণতন্ত্র উপভোগকারী মানুষের সংখ্যা পৃথিবীর জনসংখ্যার ৫ শতাংশ থেকেও কম হতো। আমেরিকা-জাপানকে নিয়ে সংখ্যাটা ১০ শতাংশের কাছাকাছি পৌঁছেছে! আমেরিকার গণতন্ত্র নিয়ে অবশ্য আমার খুবই সন্দেহ- প্যালেস্টাইন নামক ভূখণ্ডের মানুষদের গণতান্ত্রিক অধিকার দূরে থাকুক, মানুষ হিসেবে বেঁচে থাকার অধিকারকে তারা যেভাবে দলিত করে, তখন নিজের দেশে গণতন্ত্র উপভোগ করার বিষয়টুকুকে এক ধরনের উৎকট রসিকতা মনে হয়! বিশেষ করে, মধ্যপ্রাচ্যে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করার প্রজেক্ট হাতে নেওয়ার কারণে সেই দেশগুলোর এখন যা অবস্থা, তাতে গণতন্ত্র শব্দটিকে রীতিমতো ভীতিকর বলে মনে হয়। বাইরে থেকে রপ্তানি করা এই গণতন্ত্রের কারণে শুধু ইরাকেই প্রায় ৫ লাখ মানুষ মারা গেছে।

আমাদের দেশে গণতন্ত্রের কতটুকু ভেতরে আমরা যেতে পেরেছি আমি জানি না, বলা যেতে পারে বড়জোর কয়েকবার নির্বাচন করেছি। মজার কথা হলো নির্বাচনের পর সব সময়েই যে দল হেরে গেছে, তারা ঘোষণা দিয়েছে, এই নির্বাচনে ‘কারচুপি’ হয়েছে এবং এই নির্বাচনের ফলাফল তারা মানে না। আরো মজার কথা হলো, শেষ পর্যন্ত হেরে যাওয়া দল যদি বা নির্বাচনের ফলাফল মেনে নিয়েছে, তারা কিন্তু কখনোই সংসদে যায় না! ট্যাক্স ফ্রি গাড়ি ছাড়া সংসদে যাওয়ার কোনো আগ্রহ নেই। সংসদে হাজির না থাকলে সংসদ সদস্য পদ বাতিল হয়ে যাবে বলে দল বেঁধে এক দিন সংসদে হাজির হয়েছে কিন্তু এর বেশি তাদের কাউকে কিছু করতে দেখিনি। তাই আমাদের দেশে কেউ যখন গণতন্ত্র গণতন্ত্র বলে মুখে ফেনা তুলে ফেলেন, তখন আমার খুব জানতে ইচ্ছে করে, তারা কোন ধরনের গণতন্ত্রের কথা বলছেন? সাংসদদের ট্যাক্স ফ্রি গাড়ি কি গণতন্ত্র? নাকি সংসদ সদস্য পদ টিকিয়ে রাখার জন্য এক দিন সংসদে হাজির হওয়া গণতন্ত্র? এটুকুতেই আমরা খুশি থাকব?

আমাদের দেশের সাধারণ মানুষ নির্বাচনে ভোট দিতে খুব পছন্দ করেন। বেশি ভোট পেয়ে একজন নির্বাচিত হন, যিনি হেরে যান তিনিও কম ভোট পান না। তাই নির্বাচিত সাংসদেরা যখন একেবারেই সংসদে যান না, তারা কিন্তু এই দেশের মানুষের সঙ্গে রীতিমতো বেইমানি করেন। আমাদের দেশে নির্বাচন, ভোট, গণতন্ত্র এইসব বিষয় নিয়ে অনেক আলোচনা হয় কিন্তু নির্বাচিত হয়ে এক দিনও সংসদে না গিয়ে পুরো গণতন্ত্রের বারোটা বাজিয়ে দেওয়া হয়, সেটা নিয়ে কোনো আলাপ-আলোচনা হয় না। কাজেই যখন সবাই গণতন্ত্রের কথা বলছেন তখন আমার জানার কৌতূহল হয়, এটা কি শুধু নির্বাচন করে সরকার গঠন করার প্রক্রিয়া, নাকি তার চেয়ে বেশি কিছু? যদি এটা শুধু সরকার গঠন করা হয়, তখন হঠাৎ করে এই পুরো ব্যাপারটাতে আমি উৎসাহ হারিয়ে ফেলি। যারা সরকার গঠন করেন তারা কিন্তু দেশ চালানোর ‘দায়িত্ব’ গ্রহণ করেন না, ‘ক্ষমতা’ গ্রহণ করেন। আমার মনে হয়, শব্দটা যে ‘দায়িত্ব’ মোটেও ‘ক্ষমতা’ নয়, সেটা সবাইকে ভালো করে বুঝিয়ে দেওয়া দরকার।

যদি ধরে নিই, আমাদের দেশে নির্বাচনই হচ্ছে গণতন্ত্র, এর চেয়ে বেশি আশা করা আহাম্মকি, তাহলেও আমার একটা প্রশ্ন থেকে যায়। এই নির্বাচনে অংশ নেবে কারা?

আমি এক চক্ষু হরিণের মতো, এই দেশের সবকিছুকে একবার হলেও মুক্তিযুদ্ধের ফিল্টার দিয়ে পাঠ করে দেখি। বাংলাদেশটা তো এমন নয় যে এটা গাছে ধরেছিল, একদিন পেকে টুপ করে নিচে পড়েছে আর আমরা তুলে এনেছি। ভয়ংকর একটা যুদ্ধ করে এই দেশ স্বাধীন হয়েছিল, সেই যুদ্ধে এই দেশের একটি পরিবারও ছিল না, যাদের কোনো-না-কোনো আপনজন হারিয়ে যায়নি। এই যুদ্ধে আমরা টিকে গিয়েছিলাম, কারণ একাত্তরে আমরা একসঙ্গে ছিলাম, আমরা স্বাধীন একটা দেশের স্বপ্ন দেখেছিলাম। কেউ কল্পনাও করতে পারবে না, আমরা কত বড় সৌভাগ্যবান জাতি যে মাত্র নয় মাসে আমরা আমাদের স্বাধীনতা পেয়ে গিয়েছিলাম। স্বাধীনতার জন্য যুদ্ধ করে এই পৃথিবীতে কত জাতি নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে, কত জাতি প্রজন্মের পর প্রজন্ম রিফিউজি ক্যাম্পে কাটিয়ে দিয়েছে, আমরা কি কখনো চিন্তা করে দেখেছি?

আমাদের এই দেশটির জন্যে এককভাবে অবদান রেখেছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। আমাদের মতো সবাই যারা একাত্তরকে নিজের চোখে দেখেছে, তারা সবাই জানে সেই উত্তাল সময়ে বাংলাদেশ আর বঙ্গবন্ধু আসলে সমার্থক ছিলেন। তিনি হঠাৎ করে উঠে আসেননি। এই দেশে দীর্ঘদিন রাজনীতি করেছেন, জেল খেটেছেন, কষ্ট করেছেন। আমি সুযোগ পেলেই সবাইকে বলি তাঁর ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ বইটা একবার পড়ে দেখতে। দেশের জন্য রাজনীতি করতে হলে একজনকে কত বড় আত্মত্যাগ করতে হয়, সেটি এই বই পড়লে বোঝা যায়।

বাংলাদেশ এবং বঙ্গবন্ধু সমার্থক। বাংলাদেশের মাটিতে বাস করে বাংলাদেশকে অস্বীকার করে যেমন বাংলাদেশের রাজনীতিতে অংশ নেওয়া যায় না, ঠিক সে রকম বঙ্গবন্ধুকে অস্বীকার করেও এই দেশের রাজনীতিতে অংশ নিয়ে গণতন্ত্রের জন্য জান কোরবান করে দেওয়া যায় না। খালেদা জিয়ার পুত্র তারেক রহমান বঙ্গবন্ধুকে শুধু অস্বীকার করেনি তাকে অসম্মান করার জন্য এমন আপত্তিকর শব্দ ব্যবহার করেছে, যেটি আমার পক্ষে কাগজেও লেখা সম্ভব নয়। যেকোনো রাজনৈতিক দলই ছোট-বড় ভুল করে থাকে। কাজেই বিএনপিও যে ভুল করবে না, তা নয়। কিন্তু তারেক রহমানের বক্তব্যকে মেনে নিয়ে কিংবা তার পক্ষে সাফাই গেয়ে তারা সম্ভবত রাজনীতির সবচেয়ে বড় ভুলটি করে বসেছে। আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি, জামায়াতের সঙ্গে রাজনীতি করে বিএনপি এই দেশে রাজনীতি করার নৈতিক অধিকার হারিয়েছিল। বঙ্গবন্ধুকে অস্বীকার করে তারা সম্ভবত তাদের কফিনে এখন পাকাপাকিভাবে পেরেক ঠুকে দিয়েছে। এই দলটি এখন কি এই দেশের মানুষের কাছে কোনো সমবেদনা খুঁজে পাবে?

দুই.

আমি যখন এই লেখাটি লিখছি তখন দেশে অনির্দিষ্টকালের জন্য অবরোধ চলছে। হরতাল বলতে কী বোঝায় আমরা সেটা মোটামুটি জানি। অবরোধ শব্দটির অর্থ আমরা বুঝতে পারি কিন্তু এই দেশের বেলায় অবরোধ বলতে কী বোঝায়, সেটা আমি জানি না। শুধু আমি না, আমার ধারণা কেউই জানেন না। যারা অবরোধের ডাক দিয়েছে তারাও জানেন না। হরতালের আগের রাতে গাড়ি পোড়ানো আর কিছু মানুষ মারার রেওয়াজ আছে। অবরোধের সময় কখন গাড়ি পোড়ানো হবে? হরতাল ডাকতে হয়; যারা হরতাল সমর্থন করেন তারা তখন ঘর থেকে বের হবেন না, দোকানপাট খুলবেন না। কিন্তু হরতালের মতো অবরোধ ‘ডাকা’ যায় না, অবরোধ ‘করতে’ হয়। এখানে কে অবরোধ করবে ব্যাপারটি পরিষ্কার নয়। বিএনপি দেশবাসীকে অবরোধ করতে বলেছে কিন্তু আমি মোটামুটি নিশ্চিত, দেশবাসী গায়ে পড়ে এই দেশের রেলগাড়ি, স্টিমার, লঞ্চ অবরোধ করার জন্য এগিয়ে যাবে না। অবরোধের কাজটি তাদের নিজেদেরই করতে হবে।

তারা নিজেরা সেই কাজটি কেমন করছে? এখন পর্যন্ত ১২ থেকে ১৩ জন মানুষকে হত্যা করা হয়েছে। আহত হয়েছে কয়েক শত মানুষ। অসংখ্য গাড়ি পোড়ানো হয়েছে। ট্রেন লাইনের ফিশপ্লেট খুলে ট্রেন ফেলে দেওয়া হয়েছে। আমার খুবই অবাক লাগে যে, একটি রাজনৈতিক দল ভেবেচিন্তে খুবই ঠান্ডা মাথায় এই কাজগুলো করার সিদ্ধান্ত নিতে পারে? খবরে দেখেছি, বিএনপির পক্ষ থেকে দেশের মানুষকে এই কষ্ট সহ্য করার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। দেশের মানুষকে পথে নেমে আসতে বলা হয়েছে, জানানো হয়েছে সরকারকে উৎখাত না করা পর্যন্ত এই অবরোধ চলতে থাকবে।

সত্যিই কি এইভাবে একটা সরকারকে উৎখাত করা সম্ভব? চরম অরাজক একটা অবস্থা তৈরি করার পর দেশে সামরিক বাহিনী নেমে গিয়ে সবকিছু ওলটপালট করে দেওয়া ছাড়া আর কী সম্ভব হতে পারে আমি ভেবে পাই না।

তিন.

আমি চুরানব্বই সালে দেশে ফিরে এসে আমার বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগ দিয়েছিলাম। যোগ দেওয়ার কিছুদিন পরেই বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রছাত্রীদের সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতার আয়োজন করে ছাত্রদলের ছেলেরা। মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে নানা অনুষ্ঠান, নানা প্রতিযোগিতা, রাজাকারদের দুষ্কর্ম নিয়ে বক্তৃতা বিতর্ক ছিল। ছা্ত্রশিবির খেপে গিয়ে ছাত্রদলের একজনের পায়ের রগ কেটে দিল। একজনের পিঠে চাকু মেরে দিল, আমি নিজে সেই তদন্ত করেছি।

এখন সেই রাজনৈতিক সংগঠন জামায়াতের সাথে হাত মিলিয়েছে সেই রাজনৈতিক দল যুদ্ধাপরাধীর পক্ষে, আমি এই রাজনৈতিক দলের ভেতরের কাউকে চিনি না কিন্তু তার পরও আমি বলতে পারি, এই রাজনৈতিক দলের সদস্যরা নিশ্চয়ই যুদ্ধাপরাধী দলের সহযোগী দল পরিচয়ে বিন্দুমাত্র গৌরব অনুভব করেন না। আমি সব সময় স্বপ্ন দেখি এই দেশের সরকারি দল আর বিরোধী দল দুটিই হবে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের দল। দুটি দলই বঙ্গবন্ধুকে বাংলাদেশের স্থপতি হিসেবে মেনে নেবে। যত দিন সেটি না হচ্ছে তত দিন গণতন্ত্র নিয়ে স্বপ্ন দেখার কোনো সুযোগ নেই।

চার.

জানুয়ারির ৫ তারিখ এই দেশে সবকিছু নিয়ে এক ধরনের শঙ্কা ছিল। আমি তখন ঢাকায়, খবরে নানা ধরনের প্রস্তুতির খবর দেখছি। বালু, ইট বোঝাই ট্রাক, পুলিশ, মিটিং মিছিলের প্রস্তুতি, দেশের মানুষকে পথে নেমে আসার আহ্বান। বাসে আগুন। ঝটিকা মিছিল।

আমি যেখানে থাকি, তার ঠিক পাশে একটা বিল্ডিং তৈরি হচ্ছে। শ্রমিকেরা কাজ করছিল, সকাল থেকে সেখানে তারা কিছু একটা করছে, ঠক-ঠক শব্দে কান ঝালাপালা! কানের কাছে এই বিকট শব্দে আমার বিরক্ত হওয়ার কথা ছিল কিন্তু আমি বিরক্ত অনুভব করছিলাম না। আমি জানি, এই শ্রমিক সারা দিন কাজ করে সন্ধ্যাবেলা তার পারিশ্রমিক নিয়ে বাড়ি ফিরে যাবে, তার স্ত্রী সন্তানদের মুখে খাবার তুলে দেবে। আমার বিরক্ত হবার অধিকার নেই!

আমার খুব ইচ্ছে করছিল সেই শ্রমিকটিকে গিয়ে জিজ্ঞেস করি, পুরো দেশের এই অবস্থায় তার মনের ভাবনাটি কী?

আমি তাকে জিজ্ঞেস করিনি কিন্তু আমি নিশ্চিভাবে জানি, সে কী উত্তর দেবে। শ্রমিকটি বলবে, আপনাদের দোহাই লাগে, আমাদের শান্তিতে থাকতে দিন। কীভাবে দেবেন, আমার জানার প্রয়োজন নেই কিন্তু আমরা শান্তিতে থাকতে চাই।

এই মুহূর্তে এই দেশের মানুষের মনের কথা সম্ভবত একটাই, আমরা শান্তিতে থাকতে চাই। কীভাবে সেই শান্তি আসবে আমরা জানি না; কিন্তু এই দেশের মানুষ হিসেবে এইটুকু চাওয়ার অধিকার নিশ্চয়ই আছে।

লেখক : অধ্যাপক, প্রাবন্ধিক, কথাসাহিত্যিক

মন্তব্য করুন


 

Link copied